১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাঞ্চল্য কুলতলিতে

জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বানিয়ে সরকারি প্রকল্পে প্রতারণার অভিযোগ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 40

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : এবার ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে সরকারি প্রকল্পে প্রতারণার অভিযোগে চাঞ্চল্য  কুলতলিতে।

সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে জীবিত মহিলাকে মৃত দেখানো হয়েছে। ওই মহিলার নামে ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে তা সরকারি দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন: ৯৩ কোটির প্রতারণা, দিল্লির দম্পতির অভিযোগে মুকুন্দপুরে ইডির হানা

অভিযোগ, এর পিছনে আছে কুলতলির কীর্তনখোলার বাসিন্দা সাহাদুল লস্কর। তিনিই ওই জাল সার্টিফিকেট বার করেন বলে দাবি করেছে ওই মহিলার পরিবার।

আরও পড়ুন: বিদেশ ভ্রমণের নামে প্রতারণা, কলকাতায় এসে বিপাকে গুজরাতি পরিবার

কুলতলি ব্লকের কুন্দখালি গোদাবর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সাবানা নস্করের নামে গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে একটি ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে সরকারি খরচে লাগাম, প্রকল্প অনুমোদনে নতুন ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করল নবান্ন

অথচ ওই মহিলা গোপালগঞ্জের বাসিন্দা নন। তার পরেও কী ভাবে ওই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।

তবে এ ব্যাপারে সাবানার বাবার দাবি, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে ২ লক্ষ টাকা এক কালীন সাহায্য পেতে নকল নথি জমা দেওয়া হয় কুলতলির এডিও অফিসে। জমা দেওয়া নথিগুলির মধ্যে আধার বাদে সবই জাল। এমন কী সাবানার নামে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে ও অভিযোগ করেন তিনি।

 

জানা যায়, সাবানার বাবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তাঁর শ্বশুরবাড়ির ঠিকানায় ট্রান্সফার করতে চেয়েছিলেন। তখনই তিন জানতে পারেন যে তাঁর মেয়ের নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে গিয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং সাবানার বাবার নাম একই। তবে তাঁদের দু’জনের বুথ নম্বর এবং পিতৃপরিচয়ের মধ্যে ফারাক রয়েছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমল সরদার বলেন, এইভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা নয়। তাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

একই কথা বলেন, কুলতলি ব্লকের এডিএলআর ও সৌরভ পাড়িয়া। তিনি বলেন,বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এই নিয়ে তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া করা হবে।

তবে সাবানার পরিবারের অভিযোগ, এই নিয়ে কুলতলি থানায় এবং কুলতলি বিডিও অফিসে জানানো হলেও শুরুতে তাঁদের কথার কোনো আমল দেওয়া হয় নি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে অভিযুক্ত এবং জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এব্যাপারে কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চাঞ্চল্য কুলতলিতে

জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বানিয়ে সরকারি প্রকল্পে প্রতারণার অভিযোগ

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : এবার ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে সরকারি প্রকল্পে প্রতারণার অভিযোগে চাঞ্চল্য  কুলতলিতে।

সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে জীবিত মহিলাকে মৃত দেখানো হয়েছে। ওই মহিলার নামে ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে তা সরকারি দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন: ৯৩ কোটির প্রতারণা, দিল্লির দম্পতির অভিযোগে মুকুন্দপুরে ইডির হানা

অভিযোগ, এর পিছনে আছে কুলতলির কীর্তনখোলার বাসিন্দা সাহাদুল লস্কর। তিনিই ওই জাল সার্টিফিকেট বার করেন বলে দাবি করেছে ওই মহিলার পরিবার।

আরও পড়ুন: বিদেশ ভ্রমণের নামে প্রতারণা, কলকাতায় এসে বিপাকে গুজরাতি পরিবার

কুলতলি ব্লকের কুন্দখালি গোদাবর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সাবানা নস্করের নামে গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে একটি ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে সরকারি খরচে লাগাম, প্রকল্প অনুমোদনে নতুন ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করল নবান্ন

অথচ ওই মহিলা গোপালগঞ্জের বাসিন্দা নন। তার পরেও কী ভাবে ওই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।

তবে এ ব্যাপারে সাবানার বাবার দাবি, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে ২ লক্ষ টাকা এক কালীন সাহায্য পেতে নকল নথি জমা দেওয়া হয় কুলতলির এডিও অফিসে। জমা দেওয়া নথিগুলির মধ্যে আধার বাদে সবই জাল। এমন কী সাবানার নামে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে ও অভিযোগ করেন তিনি।

 

জানা যায়, সাবানার বাবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তাঁর শ্বশুরবাড়ির ঠিকানায় ট্রান্সফার করতে চেয়েছিলেন। তখনই তিন জানতে পারেন যে তাঁর মেয়ের নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে গিয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং সাবানার বাবার নাম একই। তবে তাঁদের দু’জনের বুথ নম্বর এবং পিতৃপরিচয়ের মধ্যে ফারাক রয়েছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমল সরদার বলেন, এইভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা নয়। তাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

একই কথা বলেন, কুলতলি ব্লকের এডিএলআর ও সৌরভ পাড়িয়া। তিনি বলেন,বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এই নিয়ে তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া করা হবে।

তবে সাবানার পরিবারের অভিযোগ, এই নিয়ে কুলতলি থানায় এবং কুলতলি বিডিও অফিসে জানানো হলেও শুরুতে তাঁদের কথার কোনো আমল দেওয়া হয় নি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে অভিযুক্ত এবং জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এব্যাপারে কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।