১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপার্চায, ইসি বৈঠকের অনুমতি দিচ্ছে না শিক্ষা দফতর

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, শুক্রবার
  • / 74

পুবের কলম প্রতিবেদক: স্থায়ী উপার্চাযদরে ক্ষমতা ক্ষীণ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও গুরুত্বর্পূণ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না র্কতৃপক্ষ। একাধকি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসমিতির বৈঠক চেয়ে উচ্চ শক্ষিা দফতরে আবদেন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপার্চায না থাকার কারণে কর্মসমিতির বৈঠক করতে অনুমতি দেয়নি উচ্চ শক্ষিা দফতর।

শুক্রবার সমার্বতন অনুষ্ঠানের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্ম সমিতির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেইমতো উচ্চ শক্ষিা দফতরের কাছে আগেই আবেদন জানিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেই বৈঠকে অনুমতি দিল না উচ্চশক্ষিা দফতর। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠক করার বিষয়ে বিপাকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় র্কতৃপক্ষ। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়রে সমার্বতন অনুষ্ঠানরে ভবষ্যিৎ নিয়েও অনশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, স্থায়ী উপার্চায না থাকার জন্যই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। উচ্চ শক্ষিা দফতর একইভাবে গত ৪ নভম্বের বিশ্ববিদ্যালয়কে কর্মসমিতির বৈঠক করায় অনুমতি দেয়নি। এর ফলে সেক্ষেত্রে কর্মসমিতির বৈঠক স্থগিত রাখতে হয়েছিল। তবে কর্মসমিতির বৈঠকে অনুমতি না দেওয়ায় বিরক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায বুদ্ধদেব সাউ।

আরও পড়ুন: BREAKING, প্রকাশিত হল  নিট ইউজি ২০২৫ সালের ফলাফল, প্রথম মহেশ কুমার

উল্লেখ্য, গত ৪ নভম্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক স্থগতি রাখতে হয়েছিল। উচ্চশক্ষিা দফতররে পক্ষ থকেে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে কর্মসমিতির বৈঠক নিয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছিল। রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, এই বৈঠক রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করার সামিল। বৈঠকে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও অনুমোদন দেওয়া হবে না। অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ স্থায়ী উপার্চায নন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে দায়ত্বি দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী উপার্চাযের। নিয়ম অনুযায়ী একজন স্থায়ী উপার্চায এই বৈঠক ডাকতে পারনে।

আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণ: স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

 

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির

জানা গিয়েছে, মোট ৪ টি ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমার্বতন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি সাম্মানিক ডিগ্রি পাপকদের নাম সুপারিশ করে। দ্বিতীয় ধাপে ডিলিট প্রাপকদের ডিএসসি ডিগ্রি দেওয়া জন্য তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তৃতীয় ধাপে কোর্ট এবং রাজ্যপালের সম্মতিতে সমার্বতন অনুষ্ঠান হয়। সে ক্ষেত্রে কর্মসমিতির বৈঠকে এই সমস্ত সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কর্ম সমিতির বৈঠক না হওয়ায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভবষ্যিৎ অনশ্চিতি হয়ে পড়েছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপার্চায, ইসি বৈঠকের অনুমতি দিচ্ছে না শিক্ষা দফতর

আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: স্থায়ী উপার্চাযদরে ক্ষমতা ক্ষীণ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও গুরুত্বর্পূণ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না র্কতৃপক্ষ। একাধকি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসমিতির বৈঠক চেয়ে উচ্চ শক্ষিা দফতরে আবদেন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপার্চায না থাকার কারণে কর্মসমিতির বৈঠক করতে অনুমতি দেয়নি উচ্চ শক্ষিা দফতর।

শুক্রবার সমার্বতন অনুষ্ঠানের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্ম সমিতির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেইমতো উচ্চ শক্ষিা দফতরের কাছে আগেই আবেদন জানিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেই বৈঠকে অনুমতি দিল না উচ্চশক্ষিা দফতর। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠক করার বিষয়ে বিপাকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় র্কতৃপক্ষ। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়রে সমার্বতন অনুষ্ঠানরে ভবষ্যিৎ নিয়েও অনশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, স্থায়ী উপার্চায না থাকার জন্যই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। উচ্চ শক্ষিা দফতর একইভাবে গত ৪ নভম্বের বিশ্ববিদ্যালয়কে কর্মসমিতির বৈঠক করায় অনুমতি দেয়নি। এর ফলে সেক্ষেত্রে কর্মসমিতির বৈঠক স্থগিত রাখতে হয়েছিল। তবে কর্মসমিতির বৈঠকে অনুমতি না দেওয়ায় বিরক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায বুদ্ধদেব সাউ।

আরও পড়ুন: BREAKING, প্রকাশিত হল  নিট ইউজি ২০২৫ সালের ফলাফল, প্রথম মহেশ কুমার

উল্লেখ্য, গত ৪ নভম্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক স্থগতি রাখতে হয়েছিল। উচ্চশক্ষিা দফতররে পক্ষ থকেে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে কর্মসমিতির বৈঠক নিয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছিল। রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, এই বৈঠক রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করার সামিল। বৈঠকে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও অনুমোদন দেওয়া হবে না। অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ স্থায়ী উপার্চায নন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে দায়ত্বি দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী উপার্চাযের। নিয়ম অনুযায়ী একজন স্থায়ী উপার্চায এই বৈঠক ডাকতে পারনে।

আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণ: স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

 

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির

জানা গিয়েছে, মোট ৪ টি ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমার্বতন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি সাম্মানিক ডিগ্রি পাপকদের নাম সুপারিশ করে। দ্বিতীয় ধাপে ডিলিট প্রাপকদের ডিএসসি ডিগ্রি দেওয়া জন্য তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তৃতীয় ধাপে কোর্ট এবং রাজ্যপালের সম্মতিতে সমার্বতন অনুষ্ঠান হয়। সে ক্ষেত্রে কর্মসমিতির বৈঠকে এই সমস্ত সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কর্ম সমিতির বৈঠক না হওয়ায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভবষ্যিৎ অনশ্চিতি হয়ে পড়েছে।