২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি ভবনে চিনা ক্যামেরা বসানো বন্ধ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 34

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে সরকারি  ভবনগুলোতে চিনের তৈরি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এ বিষয়ে সংসদে এক লিখিত বিবৃতিতে ব্রিটিশ ক্যাবিনেট অফিস মিনিস্টার অলিভার ডাউডেন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারি সিস্টেম বসানোর সঙ্গে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপে শুরু হচ্ছে আবেদন

তিনি বলেন, ওই পর্যালোচনা এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, চিনা নজরদারি ব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা ব্রিটিশ নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং এর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, চিন সর্বদা তার কোম্পানিগুলোকে বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনার সময় স্থানীয় আইন মেনে চলতে বলে। তিনি আরও বলেন, ‘চিন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে কিছু লোক চিনা কোম্পানিগুলোকে দমিয়ে রাখতে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে, আমরা যার বিরোধিতা করি।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

 

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির

তবে চিন সরকার চিনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর আইনি অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করবে।’ উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে ব্রিটেনের কিছু সাংসদ ‘হিকভিশন’ এবং ‘ডাহুয়া’ কোম্পানির নজরদারি ক্যামেরা বিক্রি ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ, চিন তার নাগরিকদের ক্ষেত্রে কোম্পানি দু’টির তৈরি পণ্যের ব্যবহারের মাধ্যমে মানবাধিকার ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে আসছে। এ কারণেই সাংসদরা ওই ক্যামেরা বসানো বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই ব্রিটিশ সরকার ক্যামেরা বসানো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সরকারি ভবনে চিনা ক্যামেরা বসানো বন্ধ

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে সরকারি  ভবনগুলোতে চিনের তৈরি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এ বিষয়ে সংসদে এক লিখিত বিবৃতিতে ব্রিটিশ ক্যাবিনেট অফিস মিনিস্টার অলিভার ডাউডেন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারি সিস্টেম বসানোর সঙ্গে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপে শুরু হচ্ছে আবেদন

তিনি বলেন, ওই পর্যালোচনা এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, চিনা নজরদারি ব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা ব্রিটিশ নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং এর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, চিন সর্বদা তার কোম্পানিগুলোকে বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনার সময় স্থানীয় আইন মেনে চলতে বলে। তিনি আরও বলেন, ‘চিন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে কিছু লোক চিনা কোম্পানিগুলোকে দমিয়ে রাখতে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে, আমরা যার বিরোধিতা করি।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

 

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির

তবে চিন সরকার চিনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর আইনি অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করবে।’ উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে ব্রিটেনের কিছু সাংসদ ‘হিকভিশন’ এবং ‘ডাহুয়া’ কোম্পানির নজরদারি ক্যামেরা বিক্রি ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ, চিন তার নাগরিকদের ক্ষেত্রে কোম্পানি দু’টির তৈরি পণ্যের ব্যবহারের মাধ্যমে মানবাধিকার ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে আসছে। এ কারণেই সাংসদরা ওই ক্যামেরা বসানো বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই ব্রিটিশ সরকার ক্যামেরা বসানো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।