০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিয়োগের দাবিতে আবারও আন্দোলনের পথে প্রাইমারি টেট পাশ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরি প্রার্থীরা

পুবের কলম
  • আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, শনিবার
  • / 81

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ প্রাইমারি প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের দ্রুত চাকরির দাবিতে বৃহৎ আকারে একটি Rally-র পরিকল্পনা নিয়েছে ‘একতা মঞ্চ’। এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য অমিত কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর একটি বিশাল Rally-র আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কয়েক হাজারেরও বেশি চাকরি প্রার্থী এই Rally-তে শামিল হবেন।  

অমিত কুমার মণ্ডল জানান, এটি আমাদের  কোনও সরকার বিরোধী Rally নয়। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, ২০১৪ টেট পাস প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যে সকল টেট প্রার্থীরা এখনও চাকরি পাননি, তাদের দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করা হোক। কারণ চাকরির বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, ফলে এই অবস্থা খুব স্বাভাবিকভাবে আমাদের কাছে একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন প্রতিশ্রুতি মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করলে আমরা উপকৃত হব’।

আরও পড়ুন: আগস্টের ফের প্রাথমিকের নিয়োগ

অমিত কুমার মণ্ডল আরও বলেন, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরি প্রার্থীদের ধাপে ধাপে নিয়োগ দেওয়া হবে। সেই কথার রেশ ধরেই তৎকালীন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিকের টেটের ইন্টারভিউ শুরু

সেখানে বলা হয়, প্রায় ২০ হাজার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রাইমারি টেট বিএড, ডিএলএড প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে ১৬ হাজার ৫০০ নেওয়া হবে। নথি যাচাই করে বাকি প্রার্থীদের নিয়োগ হবে। সেই সময় যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়।

আরও পড়ুন:   প্রাথমিকের টেটের ফল দ্রুত প্রকাশের তৎপরতা পর্ষদের

কিন্তু সেখানেই বাদ সাধেন প্রাইমারি পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথা উনি কোনওভাবেই রাখেননি। প্রথমে উনি ইন্টারভিউ চালু করলেন। এর পরবর্তীতে মানিকবাবু আনলেন ইন ক্লুডেড প্রার্থী, নন-ইনক্লুডেড প্রার্থী। মেধাতালিকা তৈরি করলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় কিন্তু কোনও মেধাতালিকার কথা উল্লেখ ছিল না। এই নিয়ে দু’বার সাংবাদিক বৈঠকও হয়েছে। এখনও প্রায় ১১ হাজারের কিছু বেশি রিক্রুটমেন্ট করা হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার নিয়োগ এখনও বাকি। পর্ষদ এই ব্যাপারটি এখনও গুরুত্ব দিয়ে বিচার করছে না।  ইতিমধ্যেই ডি-আই, ডি-এম, কমিশনারেটের অফিসে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।

অমিতবাবু আরও জানান, এই অবস্থায় আমরা খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছি। সকলের হয়ে আমাদের আবেদন, সরকার যদি আমাদের এই অবস্থা দ্রুত বিচার করে নিয়োগ সম্পন্ন করেন, তাহলেই আমরা এই করুণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাব।  

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিয়োগের দাবিতে আবারও আন্দোলনের পথে প্রাইমারি টেট পাশ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরি প্রার্থীরা

আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ প্রাইমারি প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের দ্রুত চাকরির দাবিতে বৃহৎ আকারে একটি Rally-র পরিকল্পনা নিয়েছে ‘একতা মঞ্চ’। এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য অমিত কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর একটি বিশাল Rally-র আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কয়েক হাজারেরও বেশি চাকরি প্রার্থী এই Rally-তে শামিল হবেন।  

অমিত কুমার মণ্ডল জানান, এটি আমাদের  কোনও সরকার বিরোধী Rally নয়। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, ২০১৪ টেট পাস প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যে সকল টেট প্রার্থীরা এখনও চাকরি পাননি, তাদের দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করা হোক। কারণ চাকরির বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, ফলে এই অবস্থা খুব স্বাভাবিকভাবে আমাদের কাছে একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন প্রতিশ্রুতি মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করলে আমরা উপকৃত হব’।

আরও পড়ুন: আগস্টের ফের প্রাথমিকের নিয়োগ

অমিত কুমার মণ্ডল আরও বলেন, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরি প্রার্থীদের ধাপে ধাপে নিয়োগ দেওয়া হবে। সেই কথার রেশ ধরেই তৎকালীন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিকের টেটের ইন্টারভিউ শুরু

সেখানে বলা হয়, প্রায় ২০ হাজার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রাইমারি টেট বিএড, ডিএলএড প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে ১৬ হাজার ৫০০ নেওয়া হবে। নথি যাচাই করে বাকি প্রার্থীদের নিয়োগ হবে। সেই সময় যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়।

আরও পড়ুন:   প্রাথমিকের টেটের ফল দ্রুত প্রকাশের তৎপরতা পর্ষদের

কিন্তু সেখানেই বাদ সাধেন প্রাইমারি পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথা উনি কোনওভাবেই রাখেননি। প্রথমে উনি ইন্টারভিউ চালু করলেন। এর পরবর্তীতে মানিকবাবু আনলেন ইন ক্লুডেড প্রার্থী, নন-ইনক্লুডেড প্রার্থী। মেধাতালিকা তৈরি করলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় কিন্তু কোনও মেধাতালিকার কথা উল্লেখ ছিল না। এই নিয়ে দু’বার সাংবাদিক বৈঠকও হয়েছে। এখনও প্রায় ১১ হাজারের কিছু বেশি রিক্রুটমেন্ট করা হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার নিয়োগ এখনও বাকি। পর্ষদ এই ব্যাপারটি এখনও গুরুত্ব দিয়ে বিচার করছে না।  ইতিমধ্যেই ডি-আই, ডি-এম, কমিশনারেটের অফিসে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।

অমিতবাবু আরও জানান, এই অবস্থায় আমরা খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছি। সকলের হয়ে আমাদের আবেদন, সরকার যদি আমাদের এই অবস্থা দ্রুত বিচার করে নিয়োগ সম্পন্ন করেন, তাহলেই আমরা এই করুণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাব।