২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হবেন: প্রাক্তন মোসাদ প্রধান 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
  • / 306

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: ইসরাইলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের জিম্মি ও নিখোঁজ ইউনিটের সাবেক প্রধান রামি ইগ্রা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সময় ফুরিয়ে আসছে এবং তিনি যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে বাধ্য হবেন।

বুধবার রেডিয়ো ১০৩ এফএম-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নেতানিয়াহুর জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

রামি ইগ্রা বলেন, ‘এই যুদ্ধ আর বন্দি সেনাদের জন্য নয়, বরং নেতানিয়াহুর নিজের রাজনৈতিক টিকে থাকার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।’

 

তিনি ইসরাইলের পক্ষ থেকে হামাসকে দেওয়া সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ‘প্রতিরোধ আন্দোলনের কাছে উপস্থাপিত সবচেয়ে কঠিন প্রস্তাব’ বলে অভিহিত করেন।

 

প্রস্তাবটিতে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত শর্ত যুক্ত থাকলেও তিনি মনে করেন, তা বাস্তবতা বিচারে গ্রহণযোগ্য নয়। ‘হামাস শুরু থেকেই তাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে আছে। এমন প্রস্তাবে তারা রাজি হবে না,’ বলেন তিনি।

 

ইগ্রা আরও দাবি করেন, আন্তর্জাতিক চাপ এবং কূটনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে নেতানিয়াহুকে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে। এই পর্যায়ে মিশরের একটি পরিকল্পনার আওতায় গাজায় একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠনের সম্ভাবনার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধে হেরে গেছি, এবং আমাদের সামনে কোনও বাস্তব বিকল্প নেই।’ নেতানিয়াহুর ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে ইসরাইল এমন এক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে, যেখানে হামাসের শাসনের কোনও কার্যকর বিকল্প তুলে ধরা হয়নি।

ট্রাম্পের আসন্ন সউদি সফর, ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এবং সউদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়িয়েছে বলে ইগ্রা মনে করেন। তার ভাষায়, ‘নেতানিয়াহু এখন এমন এক অবস্থায় পড়েছেন, যেখানে আমেরিকানরাও তার কথা শুনছে না।’

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হবেন: প্রাক্তন মোসাদ প্রধান 

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: ইসরাইলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের জিম্মি ও নিখোঁজ ইউনিটের সাবেক প্রধান রামি ইগ্রা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সময় ফুরিয়ে আসছে এবং তিনি যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে বাধ্য হবেন।

বুধবার রেডিয়ো ১০৩ এফএম-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নেতানিয়াহুর জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

রামি ইগ্রা বলেন, ‘এই যুদ্ধ আর বন্দি সেনাদের জন্য নয়, বরং নেতানিয়াহুর নিজের রাজনৈতিক টিকে থাকার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।’

 

তিনি ইসরাইলের পক্ষ থেকে হামাসকে দেওয়া সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ‘প্রতিরোধ আন্দোলনের কাছে উপস্থাপিত সবচেয়ে কঠিন প্রস্তাব’ বলে অভিহিত করেন।

 

প্রস্তাবটিতে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত শর্ত যুক্ত থাকলেও তিনি মনে করেন, তা বাস্তবতা বিচারে গ্রহণযোগ্য নয়। ‘হামাস শুরু থেকেই তাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে আছে। এমন প্রস্তাবে তারা রাজি হবে না,’ বলেন তিনি।

 

ইগ্রা আরও দাবি করেন, আন্তর্জাতিক চাপ এবং কূটনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে নেতানিয়াহুকে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে। এই পর্যায়ে মিশরের একটি পরিকল্পনার আওতায় গাজায় একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠনের সম্ভাবনার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধে হেরে গেছি, এবং আমাদের সামনে কোনও বাস্তব বিকল্প নেই।’ নেতানিয়াহুর ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে ইসরাইল এমন এক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে, যেখানে হামাসের শাসনের কোনও কার্যকর বিকল্প তুলে ধরা হয়নি।

ট্রাম্পের আসন্ন সউদি সফর, ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এবং সউদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়িয়েছে বলে ইগ্রা মনে করেন। তার ভাষায়, ‘নেতানিয়াহু এখন এমন এক অবস্থায় পড়েছেন, যেখানে আমেরিকানরাও তার কথা শুনছে না।’