০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাকবা দিবসের স্বীকৃতি চেয়ে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব উঠল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 44

পুবের  কলম ওয়েবডেস্কঃ   ফিলিস্তিনের নাকবা দিবসকে স্বীকৃতি দিতে কংগ্রেসে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন মার্কিন কংগ্রেসওম্যান রাশিদা ত্লাইব। ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকালে যেসকল  ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তার স্মরণেই পালিত হয় নাকবা। সোমবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নক্ষ) এই দিবসকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেন রাশিদা। নাকবার ৭৪তম বার্ষিকীতে এই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। প্রস্তাব তোলার বিষয়টি নিজেই ট্যুইটারে জানান রাশিদা। তিনি বলেন, ‘নাকবার পক্ষে ব্যাপক তথ্য প্রমাণ রয়েছে এবং এখনও একই আচরণ অব্যাহত আছে। তাই আমাদের অবশ্যই মানতে হবে যে, ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবতার কথাকে অস্বীকার করা হয়েছে। ইসরাইল যে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তা কেউ চিহ্নিত করেনি’। রাশিদা ত্লাইব নিজেও ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। এই প্রস্তাব উত্থাপনে রাশিদাকে সমর্থন দিয়েছেন কংগ্রেস সদস্য বেটি ম্যাককলাম, ম্যারি নিউম্যান, ইলহান ওমর এবং আলেকজান্ড্রিয়া ওকাসিও-করটেজ। তবে এই প্রস্তাব পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ কংগ্রেসে বরাবরই ইহুদিপন্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখা গেছে। এদিকে এই প্রস্তাবকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনি অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো। ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্ট আন্ডারস্টান্ডিং জানায়, রাশিদা বাস্তবতার পক্ষে কথা বলেছেন এবং ফিলিস্তিনিরা যে কষ্ট ও অন্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরেছেন। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের ৭৫ শতাংশকেই উচ্ছেদ করতে হয়েছিল। হাজারো ফিলিস্তিনির গ্রাম ধ্বংস করতে হয়েছিল। জায়নবাদীরা এই পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই করে আসছিল যাতে তারা ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করতে পারে। এখনও কয়েক লক্ষ ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীর ও প্রতিবেশী আরব দেশগুলোতে বাস করছে। তাদের একটি বড় অংশই ইসরাইলের হাতে উচ্ছেদ হয়েছিল। ফিলিস্তিনের শরনার্থী শিবিরগুলোতে তাদের বংশোধরেরা বাস করেন। অথচ মার্কিন রাজনীতিতে নাকবা নিয়ে তেমন কোনও কথাই হয় না। উল্টো ইসরাইল প্রথম থেকেই মার্কিন রাজনীতিবিদদের থেকে একতরফা সমর্থন পেয়ে আসছে। প্রতিবছর ইসরাইল সামরিক সহায়তা বাবদ আমেরিকার থেকে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পায়। এই বছর ওয়াশিংটন ইসরাইলকে আরও এক বিলিয়ন ডলার বেশি দিচ্ছে। গত বছর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে যে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে সেই ব্যয়টাও বহন করছে বাইডেন সরকার।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের অনুমতি না নিয়েই ইয়েমেনে হামলা, মার্কিন সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন জো বাইডেন!

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নাকবা দিবসের স্বীকৃতি চেয়ে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব উঠল

আপডেট : ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের  কলম ওয়েবডেস্কঃ   ফিলিস্তিনের নাকবা দিবসকে স্বীকৃতি দিতে কংগ্রেসে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন মার্কিন কংগ্রেসওম্যান রাশিদা ত্লাইব। ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকালে যেসকল  ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তার স্মরণেই পালিত হয় নাকবা। সোমবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নক্ষ) এই দিবসকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেন রাশিদা। নাকবার ৭৪তম বার্ষিকীতে এই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। প্রস্তাব তোলার বিষয়টি নিজেই ট্যুইটারে জানান রাশিদা। তিনি বলেন, ‘নাকবার পক্ষে ব্যাপক তথ্য প্রমাণ রয়েছে এবং এখনও একই আচরণ অব্যাহত আছে। তাই আমাদের অবশ্যই মানতে হবে যে, ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবতার কথাকে অস্বীকার করা হয়েছে। ইসরাইল যে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তা কেউ চিহ্নিত করেনি’। রাশিদা ত্লাইব নিজেও ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। এই প্রস্তাব উত্থাপনে রাশিদাকে সমর্থন দিয়েছেন কংগ্রেস সদস্য বেটি ম্যাককলাম, ম্যারি নিউম্যান, ইলহান ওমর এবং আলেকজান্ড্রিয়া ওকাসিও-করটেজ। তবে এই প্রস্তাব পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ কংগ্রেসে বরাবরই ইহুদিপন্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখা গেছে। এদিকে এই প্রস্তাবকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনি অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো। ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্ট আন্ডারস্টান্ডিং জানায়, রাশিদা বাস্তবতার পক্ষে কথা বলেছেন এবং ফিলিস্তিনিরা যে কষ্ট ও অন্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরেছেন। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের ৭৫ শতাংশকেই উচ্ছেদ করতে হয়েছিল। হাজারো ফিলিস্তিনির গ্রাম ধ্বংস করতে হয়েছিল। জায়নবাদীরা এই পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই করে আসছিল যাতে তারা ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করতে পারে। এখনও কয়েক লক্ষ ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীর ও প্রতিবেশী আরব দেশগুলোতে বাস করছে। তাদের একটি বড় অংশই ইসরাইলের হাতে উচ্ছেদ হয়েছিল। ফিলিস্তিনের শরনার্থী শিবিরগুলোতে তাদের বংশোধরেরা বাস করেন। অথচ মার্কিন রাজনীতিতে নাকবা নিয়ে তেমন কোনও কথাই হয় না। উল্টো ইসরাইল প্রথম থেকেই মার্কিন রাজনীতিবিদদের থেকে একতরফা সমর্থন পেয়ে আসছে। প্রতিবছর ইসরাইল সামরিক সহায়তা বাবদ আমেরিকার থেকে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পায়। এই বছর ওয়াশিংটন ইসরাইলকে আরও এক বিলিয়ন ডলার বেশি দিচ্ছে। গত বছর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে যে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে সেই ব্যয়টাও বহন করছে বাইডেন সরকার।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের অনুমতি না নিয়েই ইয়েমেনে হামলা, মার্কিন সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন জো বাইডেন!