১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেউচা পাচামি: কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিরোধী আন্দোলনের প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভায় ফাটল

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৭ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 44

ছবি-তথাগত চক্রবর্তী

কৌশিক সালুই, বীরভূম: ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় কয়লা বিরোধী আন্দোলনের সংগঠন প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভায় ফাটল। প্রকল্প এলাকার আদিবাসীরা সরকারের কাছ থেকে পাট্টা গ্রহণ করলেন। পাশাপাশি বহু আদিবাসী কয়লা শিল্পের পক্ষে সম্মতি জানিয়ে মঙ্গলবার সিউড়িতে দরবার করলেন জেলা প্রশাসনের কাছে। যদিও সংগঠনে ভাঙন ভিত্তিহীন বলে দাবি মহাসভার।

ডেউচা পাচামি: কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিরোধী আন্দোলনের প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভায় ফাটল

আরও পড়ুন: রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনার ভবিষ্যতের আলো জ্বালবে দেওচা পাঁচামি

ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের দেওয়ানগঞ্জ হরিণ সিঙ্গা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ডেউচা পাচামি ব্লকের প্রায় ৩ হাজার মানুষজন শিল্পের পক্ষে প্রশাসনের কাছে সম্মতি জানিয়েছেন। সেই সমস্ত মানুষজনের কাছ থেকে প্রথম পর্যায়ের ব্লক থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ জনের রেজিস্ট্রি করেছে। পর্যায় ক্রমে আরও প্রায় ৩০০ জনের কাছ থেকে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে দ্রুত গতিতে। এলাকার সিংহভাগ আদিবাসীরা সম্মতি জানিয়ে ছিল আগেই। কয়লা বিরোধী আন্দোলনকারী সংগঠন মহাসভার ডাকে কিছু আদিবাসী সেখানে সামিল হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ডেউচা পাঁচামী কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় শাসক দলের প্রতি আস্থা রাখল মানুষজন

এবার সেই সমস্ত মানুষজন প্রশাসনের ডাকে সম্মতি জানিয়েছেন। এদিন প্রায় দেড়শো জনের বেশি সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও অনেকেই এদিন জমি দেওয়ার সম্মতি জানিয়েছেন পাশাপাশি আবার অনেকে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ডেউচা পাচামি শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিজেপির হাতে থাকা একমাত্র পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল

বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, ‘এদিন প্রকল্প এলাকার বেশ কিছু আদিবাসী মানুষের হাতে জমির পাট্টা কাগজ দেওয়া হয়েছে। অনেকে জমি দেওয়ায় সম্মতি জানিয়েছেন। এছাড়াও জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য আবেদন করেছেন। যে সমস্ত মানুষজন ভুলবুঝে প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার ডাকে কয়লা বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়েছিল সে সমস্ত মানুষজন এদিন এসে প্রশাসনের কাছে দরবার করেছেন”।

যদিও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রশাসনের দাবি ভিত্তিহীন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডেউচা পাচামি: কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিরোধী আন্দোলনের প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভায় ফাটল

আপডেট : ৭ জুন ২০২২, মঙ্গলবার

কৌশিক সালুই, বীরভূম: ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় কয়লা বিরোধী আন্দোলনের সংগঠন প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভায় ফাটল। প্রকল্প এলাকার আদিবাসীরা সরকারের কাছ থেকে পাট্টা গ্রহণ করলেন। পাশাপাশি বহু আদিবাসী কয়লা শিল্পের পক্ষে সম্মতি জানিয়ে মঙ্গলবার সিউড়িতে দরবার করলেন জেলা প্রশাসনের কাছে। যদিও সংগঠনে ভাঙন ভিত্তিহীন বলে দাবি মহাসভার।

ডেউচা পাচামি: কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিরোধী আন্দোলনের প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভায় ফাটল

আরও পড়ুন: রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনার ভবিষ্যতের আলো জ্বালবে দেওচা পাঁচামি

ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের দেওয়ানগঞ্জ হরিণ সিঙ্গা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ডেউচা পাচামি ব্লকের প্রায় ৩ হাজার মানুষজন শিল্পের পক্ষে প্রশাসনের কাছে সম্মতি জানিয়েছেন। সেই সমস্ত মানুষজনের কাছ থেকে প্রথম পর্যায়ের ব্লক থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ জনের রেজিস্ট্রি করেছে। পর্যায় ক্রমে আরও প্রায় ৩০০ জনের কাছ থেকে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে দ্রুত গতিতে। এলাকার সিংহভাগ আদিবাসীরা সম্মতি জানিয়ে ছিল আগেই। কয়লা বিরোধী আন্দোলনকারী সংগঠন মহাসভার ডাকে কিছু আদিবাসী সেখানে সামিল হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ডেউচা পাঁচামী কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় শাসক দলের প্রতি আস্থা রাখল মানুষজন

এবার সেই সমস্ত মানুষজন প্রশাসনের ডাকে সম্মতি জানিয়েছেন। এদিন প্রায় দেড়শো জনের বেশি সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও অনেকেই এদিন জমি দেওয়ার সম্মতি জানিয়েছেন পাশাপাশি আবার অনেকে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ডেউচা পাচামি শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিজেপির হাতে থাকা একমাত্র পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল

বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, ‘এদিন প্রকল্প এলাকার বেশ কিছু আদিবাসী মানুষের হাতে জমির পাট্টা কাগজ দেওয়া হয়েছে। অনেকে জমি দেওয়ায় সম্মতি জানিয়েছেন। এছাড়াও জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য আবেদন করেছেন। যে সমস্ত মানুষজন ভুলবুঝে প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার ডাকে কয়লা বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়েছিল সে সমস্ত মানুষজন এদিন এসে প্রশাসনের কাছে দরবার করেছেন”।

যদিও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রশাসনের দাবি ভিত্তিহীন।