২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান জানেন না’, ‘রাজসভায় কোনও ফাইল আটকে পড়ে নেই, মিথ্যা বলা হচ্ছে’, মন্তব্য ধনকরের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ জানুয়ারী ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 40

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ফের রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল বলেন, আজ ভোটার্স ডে। কিন্তু বাংলায় গণতন্ত্র নেই। বাংলায় ভোটারদের স্বাধীনতা বিপদের মুখে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়ানক, ভয়াবহ। রাজ্যপাল হিসাবে আমি চিন্তিত। আমি অনেক চেষ্টা করেছি রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা, রাজ্যের প্রশাসন সংবিধান অনুসারে চলুক।  রাজ্যকে প্রশ্ন করলে, তার কোনও উত্তর দেওয়া হয় না। মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান জানেন না। মুখ্যসচিব, ডিজিপি রাজ্যপালের প্রশ্নের জবাব পর্যন্ত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।

এদিন রাজ্যপালের কটাক্ষ, বাংলায় আইনের কোনও শাসন নেই। এখানে শাসনের আইন চলে। হাওড়া পুরসভা বিলে সই করা হয়নি বলে, মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। কোনও ফাইল রাজভবনে আটকে পড়ে নেই।

এদিন একের পর এক রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকেন রাজ্যপাল। উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে মা ক্যান্টিন সমস্থ বিষয় নিয়ে রাজ্যে সরকারকে নিশানা করেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়,’আমি সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে এই বার্তা দিতে চাই, রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার আছে। এখানে বিধানসভার অধ্যক্ষ যখন যা খুশি বলেন। উনি মনে করেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা কিছু বলার ওনার লাইসেন্স আছে। আমি অধ্যক্ষকে একাধিকবার একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তথ্য জানতে চেয়েছি। বিএসএফ রেজোলিউশন নিয়ে জানতে চেয়েছি উনি জবাব দেননি। উনি কি ১৬৮ ধারা জানেন না? এভাবে একজন অধ্যক্ষ রাজ্যপালকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। এটা সংবিধানবিরোধী। উনি যে ভাষায় রাজভবনকে লেখেন তা লজ্জার।”

এই কথা বলার সময় রাজ্যপালের তার কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

রাজ্যপালের এই ধরনের কথায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন স্পিকার বলেন, রাজ্যপালের আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’। ওঁনার কিছু বলার থাকলে রাজভবনে সাংবাদিকবৈঠক করে বলতে পারতেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান জানেন না’, ‘রাজসভায় কোনও ফাইল আটকে পড়ে নেই, মিথ্যা বলা হচ্ছে’, মন্তব্য ধনকরের

আপডেট : ২৫ জানুয়ারী ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ফের রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল বলেন, আজ ভোটার্স ডে। কিন্তু বাংলায় গণতন্ত্র নেই। বাংলায় ভোটারদের স্বাধীনতা বিপদের মুখে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়ানক, ভয়াবহ। রাজ্যপাল হিসাবে আমি চিন্তিত। আমি অনেক চেষ্টা করেছি রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা, রাজ্যের প্রশাসন সংবিধান অনুসারে চলুক।  রাজ্যকে প্রশ্ন করলে, তার কোনও উত্তর দেওয়া হয় না। মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান জানেন না। মুখ্যসচিব, ডিজিপি রাজ্যপালের প্রশ্নের জবাব পর্যন্ত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।

এদিন রাজ্যপালের কটাক্ষ, বাংলায় আইনের কোনও শাসন নেই। এখানে শাসনের আইন চলে। হাওড়া পুরসভা বিলে সই করা হয়নি বলে, মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। কোনও ফাইল রাজভবনে আটকে পড়ে নেই।

এদিন একের পর এক রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকেন রাজ্যপাল। উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে মা ক্যান্টিন সমস্থ বিষয় নিয়ে রাজ্যে সরকারকে নিশানা করেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়,’আমি সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে এই বার্তা দিতে চাই, রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার আছে। এখানে বিধানসভার অধ্যক্ষ যখন যা খুশি বলেন। উনি মনে করেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা কিছু বলার ওনার লাইসেন্স আছে। আমি অধ্যক্ষকে একাধিকবার একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তথ্য জানতে চেয়েছি। বিএসএফ রেজোলিউশন নিয়ে জানতে চেয়েছি উনি জবাব দেননি। উনি কি ১৬৮ ধারা জানেন না? এভাবে একজন অধ্যক্ষ রাজ্যপালকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। এটা সংবিধানবিরোধী। উনি যে ভাষায় রাজভবনকে লেখেন তা লজ্জার।”

এই কথা বলার সময় রাজ্যপালের তার কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

রাজ্যপালের এই ধরনের কথায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন স্পিকার বলেন, রাজ্যপালের আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’। ওঁনার কিছু বলার থাকলে রাজভবনে সাংবাদিকবৈঠক করে বলতে পারতেন।