৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাবুলে থাকা স্বজনদের জন্য প্রাণ কাঁদছে এই রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা রহমতদের

কৌশিক সালুই বীরভূম – দ্বিতীয়বারের জন্য আফগানিস্তানের মসনদে বসেছে তালিবান। সে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আত্মীয়-পরিজনদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ভারতে বসবাসকারী আফগানি বাসিন্দারা। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারতবর্ষে বসবাস করলেও তাদের মন প্রাণ পড়ে আছে সেখানে থাকা স্বজনদের জন্য।
তালিবান সেনার কাবুল দখলের পর থেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট কোন মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বীরভূমের সিউড়িতে থাকা আফগান পরিবারগুলি।
সিউড়ি শহরের সোনাতর পাড়া, টিকিয়াপাড়া, চৌরাস্তা মোড় প্রভৃতি এলাকায় বেশ কয়েকটি আফগানি পরিবারের বসবাস। কয়েক দশক ধরে এখানে বসবাস করছেন তারা। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভালো রোজগারের আশায় পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন আগে স্বদেশ ছেড়ে ভারতবর্ষে ঠাই গেছেন তারা। সম্প্রতি সে দশের অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশ তাদেরকে বিচলিত করেছে। আত্মীয় পরিজনদের ভবিষ্যৎ কী সে নিয়ে তারা উপর ওয়ালার ভরসায় বসে আছেন। এক সপ্তাহ আগে সব ঠিকঠাক থাকলেও তার পরেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবানরা। ইতিমধ্যে সেদেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দেশত্যাগ করে পালিয়ে গিয়েছেন। তারপর থেকেই সে দেশের উদারপন্থী বাসিন্দারা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন । তাদের মধ্যে বিত্তশালীরা ভিনদেশে পালিয়ে যেতে পারলেও বহু মানুষ জন সেখানেই থাকতে বাধ্য হয়েছেন। আর তাদের জন্যই গভীর উদ্বেগে ভিন দেশে বসবাসকারী আত্মীয়রা। সিউড়ি শহরে বসবাসকারী আফগানি আইয়ুব খান, তার ভাইপো আমির খান কাবুল শহর থেকে দূরে পাহাড়ি দুর্গম এলাকা পাখতিকার বাসিন্দা। তাদের আত্মীয় পরিজনদের সেখানে থাকলেও প্রথম পর্যায়ের তালিবানি শাসন এর কারণে সেই দেশ ত্যাগ করে তাদের মধ্যে কয়েক জন ভারতবর্ষে পালিয়ে এসে বসবাস করছেন। তালিবানের কাবুল দখলের আগে পর্যন্ত তারা আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেছেন। তারপরে বর্তমানে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ভারতবর্ষের খবরের চ্যানেল এর পর্দায় চোখ রেখে সে দেশের বর্তমান ভয়াবহ অবস্থা দেখছেন। আর তাতেই তারা গভীর উৎকণ্ঠায় ও চিন্তায় আছেন। আইয়ুব খান এবং আমির খান বলেন,”পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় আমাদের বসবাস যেখানে না আছে ঠিকঠাক বিদ্যুৎ পরিষেবা আর না আছে মোবাইলের নেটওয়ার্ক । তার মধ্যেই বর্তমানে তালিবানি শাসন শুরু হয়েছে ওখানে। কোনোভাবেই আমরা ওখানে থাকা আমাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিনা। একমাত্র উপরওয়ালাই জানে যে ভবিষ্যৎ কি হবে”।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

খালেদা জিয়ার জন্ম পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নয়াবস্তি পাড়ায়, প্রাথমিক শিক্ষাও এখানে, স্মরণ করছে এলাকার বুদ্ধিজীবীরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাবুলে থাকা স্বজনদের জন্য প্রাণ কাঁদছে এই রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা রহমতদের

আপডেট : ১৯ অগাস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার

কৌশিক সালুই বীরভূম – দ্বিতীয়বারের জন্য আফগানিস্তানের মসনদে বসেছে তালিবান। সে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আত্মীয়-পরিজনদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ভারতে বসবাসকারী আফগানি বাসিন্দারা। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারতবর্ষে বসবাস করলেও তাদের মন প্রাণ পড়ে আছে সেখানে থাকা স্বজনদের জন্য।
তালিবান সেনার কাবুল দখলের পর থেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট কোন মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বীরভূমের সিউড়িতে থাকা আফগান পরিবারগুলি।
সিউড়ি শহরের সোনাতর পাড়া, টিকিয়াপাড়া, চৌরাস্তা মোড় প্রভৃতি এলাকায় বেশ কয়েকটি আফগানি পরিবারের বসবাস। কয়েক দশক ধরে এখানে বসবাস করছেন তারা। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভালো রোজগারের আশায় পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন আগে স্বদেশ ছেড়ে ভারতবর্ষে ঠাই গেছেন তারা। সম্প্রতি সে দশের অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশ তাদেরকে বিচলিত করেছে। আত্মীয় পরিজনদের ভবিষ্যৎ কী সে নিয়ে তারা উপর ওয়ালার ভরসায় বসে আছেন। এক সপ্তাহ আগে সব ঠিকঠাক থাকলেও তার পরেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবানরা। ইতিমধ্যে সেদেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দেশত্যাগ করে পালিয়ে গিয়েছেন। তারপর থেকেই সে দেশের উদারপন্থী বাসিন্দারা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন । তাদের মধ্যে বিত্তশালীরা ভিনদেশে পালিয়ে যেতে পারলেও বহু মানুষ জন সেখানেই থাকতে বাধ্য হয়েছেন। আর তাদের জন্যই গভীর উদ্বেগে ভিন দেশে বসবাসকারী আত্মীয়রা। সিউড়ি শহরে বসবাসকারী আফগানি আইয়ুব খান, তার ভাইপো আমির খান কাবুল শহর থেকে দূরে পাহাড়ি দুর্গম এলাকা পাখতিকার বাসিন্দা। তাদের আত্মীয় পরিজনদের সেখানে থাকলেও প্রথম পর্যায়ের তালিবানি শাসন এর কারণে সেই দেশ ত্যাগ করে তাদের মধ্যে কয়েক জন ভারতবর্ষে পালিয়ে এসে বসবাস করছেন। তালিবানের কাবুল দখলের আগে পর্যন্ত তারা আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেছেন। তারপরে বর্তমানে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ভারতবর্ষের খবরের চ্যানেল এর পর্দায় চোখ রেখে সে দেশের বর্তমান ভয়াবহ অবস্থা দেখছেন। আর তাতেই তারা গভীর উৎকণ্ঠায় ও চিন্তায় আছেন। আইয়ুব খান এবং আমির খান বলেন,”পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় আমাদের বসবাস যেখানে না আছে ঠিকঠাক বিদ্যুৎ পরিষেবা আর না আছে মোবাইলের নেটওয়ার্ক । তার মধ্যেই বর্তমানে তালিবানি শাসন শুরু হয়েছে ওখানে। কোনোভাবেই আমরা ওখানে থাকা আমাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিনা। একমাত্র উপরওয়ালাই জানে যে ভবিষ্যৎ কি হবে”।