৩০ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলকর্মীর নিয়োগ বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে তদন্ত কমিটি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শনিবার
  • / 22

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কর্মীর নিয়োগ বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হল তদন্ত কমিটি। আগামী সোমবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য,  এসএসসির মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ৫৭৩ জনকে স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীর পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এতে বড় দুর্নীতি উল্লেখ করে ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিল করে দেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ হওয়া এই স্কুলকর্মীদের বেতন বাবদ এতদিন যে টাকা দেওয়া হয়েছে। তা ফেরতের জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সন্দেশখালি কান্ডে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে নি:শর্ত জামিন দিল ডিভিশন বেঞ্চ

হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগের কমিটি। এদিকে এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কমিটি বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চই এই কমিটি গঠন করেছিল। দুই মাস সময় দিয়েছিল এই কমিটি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতের কাছে আরও চার মাস সময় চাওয়া হয়। তদন্ত কমিটির তরফে জানতে চাওয়া হয়, কয়েকজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।

আরও পড়ুন: যৌথ তদন্তে অনাস্থা, ফের সিবিআই চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে ইডি

২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হযেüছিল। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে এসএসসির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: চাকরিহারাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ

২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা যায়। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে। কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ,  তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। পরে তা খারিজ হয়ে যায়।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ হল এই নিয়োগের ‘অ্যাপয়েন্টিং বডি’, আর কমিশন হল ‘রিক্রটমেন্ট বডি’। আদালতকে পর্ষদ জানায়,  কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তারা এই নিয়োগ করে। নিয়োগ নিয়ে দুই সরকারি দফতরের দ্বন্দ্ব¨ একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে এই মামলায়।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্কুলকর্মীর নিয়োগ বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে তদন্ত কমিটি

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কর্মীর নিয়োগ বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হল তদন্ত কমিটি। আগামী সোমবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য,  এসএসসির মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ৫৭৩ জনকে স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীর পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এতে বড় দুর্নীতি উল্লেখ করে ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিল করে দেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ হওয়া এই স্কুলকর্মীদের বেতন বাবদ এতদিন যে টাকা দেওয়া হয়েছে। তা ফেরতের জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সন্দেশখালি কান্ডে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে নি:শর্ত জামিন দিল ডিভিশন বেঞ্চ

হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগের কমিটি। এদিকে এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কমিটি বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চই এই কমিটি গঠন করেছিল। দুই মাস সময় দিয়েছিল এই কমিটি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতের কাছে আরও চার মাস সময় চাওয়া হয়। তদন্ত কমিটির তরফে জানতে চাওয়া হয়, কয়েকজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।

আরও পড়ুন: যৌথ তদন্তে অনাস্থা, ফের সিবিআই চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে ইডি

২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হযেüছিল। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে এসএসসির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: চাকরিহারাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ

২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা যায়। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে। কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ,  তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। পরে তা খারিজ হয়ে যায়।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ হল এই নিয়োগের ‘অ্যাপয়েন্টিং বডি’, আর কমিশন হল ‘রিক্রটমেন্ট বডি’। আদালতকে পর্ষদ জানায়,  কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তারা এই নিয়োগ করে। নিয়োগ নিয়ে দুই সরকারি দফতরের দ্বন্দ্ব¨ একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে এই মামলায়।