মহেশতলায় উত্তেজনা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে মনোজ ভার্মা
- আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, বুধবার
- / 42
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ মহেশতলার কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত মেটিয়াবুরুজ, নাদিয়াল ,রবীন্দ্রনগর থানা এলাকা ঘুরে দেখলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। বুধবার রাতে রবীন্দ্র নগরে পৌঁছন পুলিশ কমিশনার। যেসব এলাকায় রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সেইসব এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।
যে বাড়িগুলির ছাদ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছিল সেগুলি সঙ্গে থাকা পুলিশ অফিসাররা তাকে চিহ্নিত করে দেখান। পুলিশ অফিসারদের ওই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার।
এদিকে, রবীন্দ্র নগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা। হামলাকারীদের ছোঁড়া পাথরের ঘায়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি পোর্ট হরি কৃষ্ণন পাই গুরুতর আহত। ডিসি পোর্টের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছেন লালবাজারের একাধিক ট্রাফিক সার্জেন্ট।
মারাত্মকভাবে আহত হয়ে কলকাতা পুলিশের মহিলা পুলিশ কনস্টেবল হাসপাতালে ভর্তি। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে এই কথা ঘোষণা করা হয়। অবাঞ্ছিত জটলা, ভিড় এবং গোলমাল এড়াতে ওই এলাকায় সমস্ত রকম জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। দুপুর থেকেই রবীন্দ্রনগর, নাদিয়াল, মেটিয়াবুরুজ, আকরা ও মহেশতলা এলাকায় সব দোকানপাট বন্ধ।
সন্ধ্যায় বিশাল পুলিশবাহিনী ওইসব এলাকায় অলিগলিতে ঢুকে পড়ে। যারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে তাদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। একাধিক পুলিশকর্মী আহত ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হওয়ার ঘটনায় মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ।
এদিকে নবান্নের নির্দেশে একাধিক সিনিয়র আইপিএস অফিসাররা ওই এলাকায় বিকেলের মধ্যে পৌঁছে যান। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও যথেষ্ট আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়। চারদিকে দোকানপাট বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে গিয়েছে। ওই এলাকায় গাড়ি চলাচল খুব কম পরিমাণে করছে। কোথাও কোন জটলা হতে দিচ্ছে না পুলিশ। সাধারণ মানুষকে রাস্তা থেকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মহেশতলার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে একের পর এক সিনিয়র অফিসারদের সেখানে পাঠানো হয়। নবান্নর নির্দেশে সিনিয়ার আইপিএস অফিসার সুপ্রতিম সরকার, ডি পি সিং, আকাশ মাঘারিয়া, কলকাতা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সকলে ঘটনাস্থলে যান।