২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহার্ঘ ভাতা কর্মচারীদের অধিকার, মন্তব্য বিচারপতির

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 73

পুবের কলম প্রতিবেদক: মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ একজন কর্মচারী ন্যায্য অধিকার। ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান,  মহার্ঘ ভাতা যে কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার,  এ নিয়ে দ্বিমত হওয়ার কিছু নেই।

জানা গিয়েছে এদিন ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আজ, শুক্রবার চূড়ান্ত পর্যায়ে শুনানি হবে।

আরও পড়ুন: প্রয়াত ‘নাইসেস্ট জজ ইন দি ওয়ার্ল্ড’ ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিও

কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। রাজ্য সরকার সঠিক সময়ে তা প্রদান করে না। এমনই অভিযোগ তুলে স্যাট বা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে রাজ্যের কর্মচারীরা। ২০১৬ সালের মামলায় ২০১৮ সালে রায় প্রদান করে আদালত। তাতে বলা হয়েছিল ২০২০ সালের মধ্যে রাজ্য সরকারকে মহার্ঘ ভাতা পরিশোধ করতে হবে। রাজ্য সরকার অবশ্য সে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে। সে নিয়ে শুনানি বৃহস্পতিবার। এ দিন শুনানির সময় ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: বিচারককে খুনের হুমকি! অভিযুক্ত এবং তার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

এ দিন শুনানির সময় আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে বলেন,  ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে কর্মচারীদের মধ্যে বিভেদ থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন,  আইএএস অফিসাররা রাজ্যের থেকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান। তাহলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে কেন, তিনি প্রশ্ন তোলেন।

আরও পড়ুন: বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা, উৎস কি! মেলেনি সদুত্তর

আর এক আইনজীবী বলেন, রাজ্য সরকার বলছে ডিএ নিয়ে প্রত্যেক সরকার আলাদা আলাদা করে পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারে,  কিন্তু সবার সমান অধিকার থাকার কথা। রাজ্যের তরফের অবশ্য দাবি করা হয়,  প্রত্যেক রাজ্যের জীবনপ্রণালী আলাদা আর সে কারণেই রাজ্য সরকার মনে করে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ পৃথক হতেই পারে। এ দিন সব পক্ষের কথা শুনানি মুলতবি রাখেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার চূড়ান্ত পর্যায়ে শুনানি হবে। তারপরেই ফায়সালা প্রদান করবে কলকাতা হাইকোর্ট।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মহার্ঘ ভাতা কর্মচারীদের অধিকার, মন্তব্য বিচারপতির

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ একজন কর্মচারী ন্যায্য অধিকার। ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান,  মহার্ঘ ভাতা যে কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার,  এ নিয়ে দ্বিমত হওয়ার কিছু নেই।

জানা গিয়েছে এদিন ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আজ, শুক্রবার চূড়ান্ত পর্যায়ে শুনানি হবে।

আরও পড়ুন: প্রয়াত ‘নাইসেস্ট জজ ইন দি ওয়ার্ল্ড’ ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিও

কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। রাজ্য সরকার সঠিক সময়ে তা প্রদান করে না। এমনই অভিযোগ তুলে স্যাট বা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে রাজ্যের কর্মচারীরা। ২০১৬ সালের মামলায় ২০১৮ সালে রায় প্রদান করে আদালত। তাতে বলা হয়েছিল ২০২০ সালের মধ্যে রাজ্য সরকারকে মহার্ঘ ভাতা পরিশোধ করতে হবে। রাজ্য সরকার অবশ্য সে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে। সে নিয়ে শুনানি বৃহস্পতিবার। এ দিন শুনানির সময় ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: বিচারককে খুনের হুমকি! অভিযুক্ত এবং তার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

এ দিন শুনানির সময় আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে বলেন,  ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে কর্মচারীদের মধ্যে বিভেদ থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন,  আইএএস অফিসাররা রাজ্যের থেকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান। তাহলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে কেন, তিনি প্রশ্ন তোলেন।

আরও পড়ুন: বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা, উৎস কি! মেলেনি সদুত্তর

আর এক আইনজীবী বলেন, রাজ্য সরকার বলছে ডিএ নিয়ে প্রত্যেক সরকার আলাদা আলাদা করে পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারে,  কিন্তু সবার সমান অধিকার থাকার কথা। রাজ্যের তরফের অবশ্য দাবি করা হয়,  প্রত্যেক রাজ্যের জীবনপ্রণালী আলাদা আর সে কারণেই রাজ্য সরকার মনে করে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ পৃথক হতেই পারে। এ দিন সব পক্ষের কথা শুনানি মুলতবি রাখেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার চূড়ান্ত পর্যায়ে শুনানি হবে। তারপরেই ফায়সালা প্রদান করবে কলকাতা হাইকোর্ট।