সুন্দরবনে বাল্যবিবাহ রোধ করতে প্লাকার্ড হাতে পথে ছাত্রী ও মায়েরা

- আপডেট : ১৫ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 55
ইনামুল হক, বসিরহাট: ছাত্র-ছাত্রী ইমাম, পুরোহিত, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও জন প্রতিনিদের নিয়ে বিশেষ কর্মশালা। অভিনব এই উদ্যোগে নাবালক ছাত্র-ছাত্রীরা সহযোগিতায় এগিয়ে এলো। স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট ফোন নাম্বার দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে প্রতিরোধে এগিয়ে আসলো প্রশাসন।
উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের ভেবিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত উদ্যোগে তৈরি হয়েছে বাল্যবিবাহ রোধ কমিটি। যেখানে মূল দায়িত্ব রয়েছে স্কুলের নাবালিকা স্কুল পড়ুয়াড়ারা।এদিন ভেবিয়া পঞ্চায়েতের মুরারি শাহা থেকে কদমতলা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ হতে হাতে প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন নিয়ে পথে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে চিকিৎসক পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।তাদের একটাই উদ্দেশ্য এখনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাল্যবিবাহ মাঝেমধ্যেই দেখা যায়।
একদিকে সচেতনতার অভাব, অন্যদিকে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একশ্রেণীর মানুষ সুকৌশলে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন নাবালিকাদের। কখনো প্রশাসনকে দেখা যায় উদ্যোগ নিতে আবার কখনো তাদের কাছে এসে খবর পৌঁছায় না। এবার যাতে বাল্যবিবাহ রোধ করা যায় তার জন্য পঞ্চায়েত প্রধান অলিউর রহমান মোল্লা, হাসনাবাদ পুলিশ আধিকারিক আরশাদ মন্ডলের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ রোধে এবার অভিনব কৌশল অবলম্বন করলেন প্রশাসন একদিকে স্বাস্থ্যকর্মী পুরোহিত ইমাম পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়ে মূল ভূমিকায় দেখা গেল ছাত্রী ও গ্রামের মা-বোনেদের নিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান অলিউর রহমান মোল্লা।
রাজ্য সরকার এত প্রচার সচেতনতার বার্তা দিলেও কোন একটা জায়গায় কিছু মানুষ তারা সামাজিক পারিপার্শ্বিক চাপের কাছে মাথা নত করে আবার কখনো অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও দারিদ্র্যতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা এবার সামাজের একেবারে নিচু স্তরে গিয়ে সেই পরিবারের ছাত্রী ও তাদের মায়েদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছি।
পাশাপাশি একটা মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে সেখানে বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত খবর দিতে পারে। এছাড়া সপ্তাহে শনি ও রবিবার ছাত্র ও অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি তৈরি করে একটি কর্মশালা করছি। সেখানে কিভাবে বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে, কেউ স্কুলে আসছে কিনা ঠিকঠাক এবং দীর্ঘ সময় স্কুলে না আসলে তাদের জন্য কি বার্তা দিতে হবে পাশাপাশি তাদের নাম ঠিকানা পরিচয় পত্র সম্পূর্ণ লিপিবদ্ধ করে এই কমিটিতে রাখা হবে এবং তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে, যাতে সমাজকে এই ব্যাধি থেকে মুক্ত করা যায় তার সবরকম চেষ্টা আমরা করছি। রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে স্থানীয় পঞ্চায়েত বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন।