০৯ জুন ২০২৫, সোমবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গের ভোটার, ওপার বাংলার আন্দোলনের মুখ! জোর শোরগোল

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ৮ জুন ২০২৫, রবিবার
  • / 39

সামিম আহমেদ, কাকদ্বীপ: এক ভোটারের পরিচয় ঘিরে রীতিমতো বিতর্ক তুঙ্গে কাকদ্বীপে। স্থানীয় ভোটার নিউটন দাসকে বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আগস্ট আন্দোলনে দেখা গেছে বলে অভিযোগ। লাঠি হাতে পুলিশের ঘেরাটোপে থাকা অবস্থায় নিউটনের একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

অভিযোগ, নিউটন দাস শুধু এ রাজ্যের বাসিন্দা নন, বাংলাদেশেও ভোটার। তার দাদা তপন দাস স্বীকার করেছেন, নিউটন বাংলাদেশের নাগরিক এবং আন্দোলনের সময় সক্রিয় ছিলেন। কাকদ্বীপে থাকাকালীন নিউটন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলেও জানা যায়।

তাঁর সঙ্গে জেলা ছাত্রনেতা দেবাশিস দাসের জন্মদিন উদযাপনের ছবিও ভাইরাল হয়েছে। তৃণমূলের দেবাশিস দাস জানান, ‘নিউটনের সঙ্গে ছাত্রজীবনে পরিচয় থাকলেও তার রাজনৈতিক বা নাগরিক পরিচয় সম্পর্কে আমি কিছু জানতাম না।’ অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রদীপ প্রামাণিক বলেন, ‘কেউ যদি দুই দেশের ভোটার হন, সেটি সম্পূর্ণ বেআইনি। জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে সব মানুষের পরিচয় জানা সম্ভব নয়।’

বিজেপি নেতা অভিজিৎ মণ্ডল অভিযোগ করেন, ‘নিউটন দাস ধর্ম পরিচয় গোপন করে তৃণমূল নেতাদের ছত্রছায়ায় ভারতের ভোটার হয়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করা।’

উল্লেখ্য, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক ড. মধুসূদন মণ্ডল নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন নিউটন দাসের বিরুদ্ধে। তার বাবা-মা এখনও বাংলাদেশের নাগরিক। তা সত্ত্বেও কীভাবে নিউটন ও তার দাদা ভোটার হলেন? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক মহলে। ঘটনার জেরে কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে।

ঘটনায় কাকদ্বীপের বাসিন্দা নিউটনের দাদা তপন দাস জানিয়েছে, করোনার পর এখানে পড়াশোনা করতে এসেছিল। শুনছি বাংলাদেশেই ও এখন থাকে। বাংলাদেশেরই ভোটার।’

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পশ্চিমবঙ্গের ভোটার, ওপার বাংলার আন্দোলনের মুখ! জোর শোরগোল

আপডেট : ৮ জুন ২০২৫, রবিবার

সামিম আহমেদ, কাকদ্বীপ: এক ভোটারের পরিচয় ঘিরে রীতিমতো বিতর্ক তুঙ্গে কাকদ্বীপে। স্থানীয় ভোটার নিউটন দাসকে বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আগস্ট আন্দোলনে দেখা গেছে বলে অভিযোগ। লাঠি হাতে পুলিশের ঘেরাটোপে থাকা অবস্থায় নিউটনের একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

অভিযোগ, নিউটন দাস শুধু এ রাজ্যের বাসিন্দা নন, বাংলাদেশেও ভোটার। তার দাদা তপন দাস স্বীকার করেছেন, নিউটন বাংলাদেশের নাগরিক এবং আন্দোলনের সময় সক্রিয় ছিলেন। কাকদ্বীপে থাকাকালীন নিউটন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলেও জানা যায়।

তাঁর সঙ্গে জেলা ছাত্রনেতা দেবাশিস দাসের জন্মদিন উদযাপনের ছবিও ভাইরাল হয়েছে। তৃণমূলের দেবাশিস দাস জানান, ‘নিউটনের সঙ্গে ছাত্রজীবনে পরিচয় থাকলেও তার রাজনৈতিক বা নাগরিক পরিচয় সম্পর্কে আমি কিছু জানতাম না।’ অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রদীপ প্রামাণিক বলেন, ‘কেউ যদি দুই দেশের ভোটার হন, সেটি সম্পূর্ণ বেআইনি। জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে সব মানুষের পরিচয় জানা সম্ভব নয়।’

বিজেপি নেতা অভিজিৎ মণ্ডল অভিযোগ করেন, ‘নিউটন দাস ধর্ম পরিচয় গোপন করে তৃণমূল নেতাদের ছত্রছায়ায় ভারতের ভোটার হয়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করা।’

উল্লেখ্য, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক ড. মধুসূদন মণ্ডল নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন নিউটন দাসের বিরুদ্ধে। তার বাবা-মা এখনও বাংলাদেশের নাগরিক। তা সত্ত্বেও কীভাবে নিউটন ও তার দাদা ভোটার হলেন? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক মহলে। ঘটনার জেরে কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে।

ঘটনায় কাকদ্বীপের বাসিন্দা নিউটনের দাদা তপন দাস জানিয়েছে, করোনার পর এখানে পড়াশোনা করতে এসেছিল। শুনছি বাংলাদেশেই ও এখন থাকে। বাংলাদেশেরই ভোটার।’