০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজারহাট-গোপালপুর থেকে ‘গায়েব’ ৩০০ ভোটার

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
  • / 33

পুবের কলম প্রতিবেদক : বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন বা এসআইআর-এর কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আগেই শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগে বুথ লেভেল অফিসারদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এসআইআর সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজও চলছে দ্রুত গতিতে।

এরই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ শুরু করেছে কমিশন। এমনকি নতুন ভোটার কার্ড তৈরির পর ভোটদাতার কাছে এপিক কার্ড যেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে পৌছে দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের খবর, প্রায় দের লক্ষ ভোটারের ঠিকানায় নয়া ভোটার কার্ড পৌছে দেওয়ার জন্য নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।

বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে জমা হয়ে থাকা ভোটার কার্ডগুলি আগামী ২০ আগস্টের বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মধ্যে সেগুলি বিলি করা না গেলে সব এপিক জমা দিতে হবে সিইও দফতরে। জানা গিয়েছে, রাজারহাট-গোপালপুর বিধান সভার এপিক কার্ড তৈরি হয়ে পড়ে থাকলেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এলাকার ভোটারদের।

ওই এলাকার ৩০০ টি এপিক কার্ড বিলি করতে গিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় ভোটারদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি কমিশন। ফলে আগামী ২০ অগস্টের মধ্যে ওই ৩০০ ভোটারের সন্ধান না পেলে তাঁদের এপিক কার্ডগুলি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভার ৩০০ ভোটারের ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ার ব্যাপারে কমিশনের ব্যাখ্যা, যদি কোনো ভোটার বাড়ির ঠিকানার ভুল পিন কোড দিয়ে রাখেন, সেক্ষেত্রে ভোটারের বাড়ি খুঁজে পেতে সমস্যা হয় ডাক বিভাগের কর্মীদের। এছাড়াও রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা এলাকায় ফ্ল্যাট কেনার পর বহু বাসিন্দা বর্তমানে কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে চলে যান। ওই সব ক্ষেত্রে ঠিকানা খুঁজে পাওয়া গেলেও ভোটারদের দেখা পাওয়া যায়না।

এই সব বিবেচনা করেই এপিক কার্ড বিতরণের আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার পাশাপাশি গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে পড়ে থাকা ভোটার কার্ড আগামী ২০ অগস্টের পর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজারহাট-গোপালপুর থেকে ‘গায়েব’ ৩০০ ভোটার

আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন বা এসআইআর-এর কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আগেই শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগে বুথ লেভেল অফিসারদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এসআইআর সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজও চলছে দ্রুত গতিতে।

এরই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ শুরু করেছে কমিশন। এমনকি নতুন ভোটার কার্ড তৈরির পর ভোটদাতার কাছে এপিক কার্ড যেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে পৌছে দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের খবর, প্রায় দের লক্ষ ভোটারের ঠিকানায় নয়া ভোটার কার্ড পৌছে দেওয়ার জন্য নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।

বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে জমা হয়ে থাকা ভোটার কার্ডগুলি আগামী ২০ আগস্টের বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মধ্যে সেগুলি বিলি করা না গেলে সব এপিক জমা দিতে হবে সিইও দফতরে। জানা গিয়েছে, রাজারহাট-গোপালপুর বিধান সভার এপিক কার্ড তৈরি হয়ে পড়ে থাকলেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এলাকার ভোটারদের।

ওই এলাকার ৩০০ টি এপিক কার্ড বিলি করতে গিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় ভোটারদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি কমিশন। ফলে আগামী ২০ অগস্টের মধ্যে ওই ৩০০ ভোটারের সন্ধান না পেলে তাঁদের এপিক কার্ডগুলি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভার ৩০০ ভোটারের ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ার ব্যাপারে কমিশনের ব্যাখ্যা, যদি কোনো ভোটার বাড়ির ঠিকানার ভুল পিন কোড দিয়ে রাখেন, সেক্ষেত্রে ভোটারের বাড়ি খুঁজে পেতে সমস্যা হয় ডাক বিভাগের কর্মীদের। এছাড়াও রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা এলাকায় ফ্ল্যাট কেনার পর বহু বাসিন্দা বর্তমানে কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে চলে যান। ওই সব ক্ষেত্রে ঠিকানা খুঁজে পাওয়া গেলেও ভোটারদের দেখা পাওয়া যায়না।

এই সব বিবেচনা করেই এপিক কার্ড বিতরণের আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার পাশাপাশি গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে পড়ে থাকা ভোটার কার্ড আগামী ২০ অগস্টের পর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।