১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুজরাতে তৈরি ৫১ ‘জাল’ ওষুধ বাংলায়

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 3

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের শিরোনামে গুজরাত! রাজ্যে ফের পাওয়া গেল নিম্নমানের জাল ওষুধ। তা আবার গুজরাতের। সম্প্রতি ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের ল্যাবরেটরিতে ৫১টি ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তার গুণগতমান অত্যন্ত খারাপ।

নিম্নমানের তালিকায় রয়েছে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো জীবনদায়ী অ্যান্টিবায়োটিকও। বাজেয়াপ্ত এই অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্তুতকারী সংস্থার নাম এমএস স্কাই কিওর সলিউশন। কেরলের ইদ্দুকিতে তার কারখানা। অন্যদিকে গুজরাতের আহমদাবাদে তৈরি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রোবায়োটিকও জাল বেরিয়েছে। জাল ৫১ ওষুধের তালিকায় রয়েছে গ্যাস অম্বলের ওষুধ রেবেপ্রাজোল, ভিটামিন বি-এর ট্যাবলেট, স্নায়ুর ওষুধ অ্যালপ্রাজোলাম। নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বর দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। রাজ্যের প্রতিটি খুচরো ও পাইকারি বিক্রেতাকে বাজার থেকে এই ওষুধ প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ওষুধের দোকানে ব্যাচ নম্বর-সহ এই ওষুধের তালিকা টাঙিয়ে রাখতে বলেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড।

কলকাতার ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের অধ্যক্ষ ডা. জয়দেব রায় জানিয়েছেন, এই ধরনের ওষুধ খেলে অসুখ সারবে না। অর্থাৎ একটি খারাপ মানের অ্যান্টিবায়োটিক কেউ খেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াটি মরবে না। যিনি খেয়েছেন তাঁর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়া তৈরি হবে। পরবর্তীতে তাঁর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন বাদে বাদে ভেজাল ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে এই ধরনের ওষুধ তৈরি হচ্ছে সেই কারখানায় হানা দিয়ে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। খারাপ মানের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ব্যান করতে হবে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গুজরাতে তৈরি ৫১ ‘জাল’ ওষুধ বাংলায়

আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের শিরোনামে গুজরাত! রাজ্যে ফের পাওয়া গেল নিম্নমানের জাল ওষুধ। তা আবার গুজরাতের। সম্প্রতি ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের ল্যাবরেটরিতে ৫১টি ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তার গুণগতমান অত্যন্ত খারাপ।

নিম্নমানের তালিকায় রয়েছে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো জীবনদায়ী অ্যান্টিবায়োটিকও। বাজেয়াপ্ত এই অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্তুতকারী সংস্থার নাম এমএস স্কাই কিওর সলিউশন। কেরলের ইদ্দুকিতে তার কারখানা। অন্যদিকে গুজরাতের আহমদাবাদে তৈরি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রোবায়োটিকও জাল বেরিয়েছে। জাল ৫১ ওষুধের তালিকায় রয়েছে গ্যাস অম্বলের ওষুধ রেবেপ্রাজোল, ভিটামিন বি-এর ট্যাবলেট, স্নায়ুর ওষুধ অ্যালপ্রাজোলাম। নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বর দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। রাজ্যের প্রতিটি খুচরো ও পাইকারি বিক্রেতাকে বাজার থেকে এই ওষুধ প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ওষুধের দোকানে ব্যাচ নম্বর-সহ এই ওষুধের তালিকা টাঙিয়ে রাখতে বলেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড।

কলকাতার ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের অধ্যক্ষ ডা. জয়দেব রায় জানিয়েছেন, এই ধরনের ওষুধ খেলে অসুখ সারবে না। অর্থাৎ একটি খারাপ মানের অ্যান্টিবায়োটিক কেউ খেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াটি মরবে না। যিনি খেয়েছেন তাঁর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়া তৈরি হবে। পরবর্তীতে তাঁর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন বাদে বাদে ভেজাল ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে এই ধরনের ওষুধ তৈরি হচ্ছে সেই কারখানায় হানা দিয়ে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। খারাপ মানের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ব্যান করতে হবে।