পাকিস্তানে গাধার দাম বাড়ছে
- আপডেট : ৮ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 37
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পাকিস্তানে এক মহার্ঘ্য গাধা। জানা গেছে, গাধার এই ঊর্ধমুখী হওয়ার কারণ চিন। চিনের প্রাচীন অথচ জনপ্রিয় কয়েকটি ওষুধ তৈরির জন্য গাধার চামড়া প্রয়োজন। আর সেই চামড়ার জন্য পাল পাল গাধা পাকিস্তান থেকে পাঠানো হচ্ছে চিনে। চাহিদাবৃদ্ধির কারণেই পাকিস্তানে হঠাৎই দাম বেড়েছে গাধাদের। বিপাকে পড়েছেন পাকিস্তানের স্থানীয় পশুপালকেরা, যাঁরা মালবহন-সহ নানা কাজে গাধার উপরে নির্ভরশীল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, পাকিস্তানে কয়েক বছর আগেও যে গাধার দাম ছিল ৩০ হাজার টাকা (পাকিস্তানি মুদ্রায়), এখন সেই গাধাই বিকোচ্ছে দু’লক্ষ টাকায়। পাকিস্তানের সবচেয়ে বৃহৎ গাধা কেনাবেচার বাজারটি রয়েছে করাচির ল্যায়ারিতে। সেখানে একটি স্বাস্থ্যবান গাধার সর্বনিম্ন মূল্য পাকিস্তানি মুদ্রায় ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।
গাধার সংখ্যার নিরিখে পাকিস্তান গোটা বিশ্বে তৃতীয়। ইথিওপিয়া এবং সুদানের পরেই। পাকিস্তানের পরিসংখ্যান দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা ১ লক্ষ ৯ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জোগান বাড়লেও চাহিদা বাড়ছে দ্বিগুণ হারে। চিনে ক্লান্তিনাশক এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে ‘ইজিআও’ নামের একটি সামগ্রী লাগে। চিনে এই ‘ইজিআও’ তৈরির ব্যবসা গত কয়েক বছরে লক্ষণীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ওষুধ তৈরির সামগ্রীর জন্য প্রয়োজন পড়ছে গাধার চামড়ার।
এই প্রসঙ্গে অবশ্য আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও মুখ খোলেনি পাক সরকার। সে দেশে কৃষিকাজে, উঁচু-নিচু জমিতে পণ্য পরিবহণে গাধা ব্যবহার করা হয়। এই প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে সে দেশে গাধার জন্য আলাদা পশুখামার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার। সে কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের খাদ্য নিরাপত্তা এবং গবেষণা দফতরের মুখপাত্র। তবে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পশু এবং দুগ্ধ উন্নয়ন দফতরের ডিরেক্টর আসাল খান জানিয়েছেন, চিনের কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা তাদের কাছে গাধা কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তারা চামড়ার জন্য গাধা কিনতে চায়, এ কথা জানিয়ে আসাল বলেন, “এটা হতে দেব না।” তবে করাচির একাধিক পশু ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, চিনের ব্যবসায়ীরা রুগ্ন গাধাদের জন্যও ৪০ হাজার টাকা (পাকিস্তানি মুদ্রা) দাম দিতে চাইছে। এত টাকার প্রস্তাব উপেক্ষা করতে পারছেন না অনেকেই।