০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় সুন্দরবনের নদীতে ৩৫টি কুমির ছাড়ল বন দফতর

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 21

পুবের কলম প্রতিবেদক– সুন্দরবন:  এবার নতুন করে ৩৫টি প্রজননক্ষম কুমির ছাড়া হল সুন্দরবন। সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতে কচ্ছপের পর বিভিন্ন নদী ও খালে কুমির ছাড়ল বন দফতর। সুন্দরবনের কলমি নদী– ভাইজোড়া খাল এবং লোথিয়ান দ্বীপের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয় কুমিরগুলি। এর মধ্যে ৩টি পুরুষ কুমির এবং ৩২টি স্ত্রী কুমির রয়েছে বলেও বন দফতর সূত্রে জানা গেছে। যে কুমিরগুলি সোমবার ছাড়া হয়েছে তাদের আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৪ ফুট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল– এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী এবং রামগঙ্গার ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কুমিরগুলি ছাড়া হয়।

এই প্রসঙ্গে বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল বলেন– ‘প্রতি বছর কুমিরের সংখ্যা কমতে থাকায় কুমির প্রতিপালন করে নদীতে ছাড়া শুরু হয়েছিল। এর ফলে কুমিরের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর এই সময়ে সুন্দরবন ৫৫টি কুমির ছাড়া হয়েছিল। এবার ৩৫টি কুমির ছাড়া হল।’ জেলা বন দফতরের সূত্রে খবর– ভগবৎপুর কুমির প্রকল্পে কুমিরের বাচ্চা হওয়ার পর সেগুলিকে প্রতিপালন করা হয়। সাধারণত কুমিরের বাচ্চাগুলির ৪ থেকে ৫ বছর বয়স হওয়ার পরই তাদের নদীতে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একসময় সুন্দরবনের নদী এবং খাঁড়িতে  নোনাজলের কুমিরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে শুরু করে। সেই সংখ্যা বাড়াতেই প্রতিবছর সুন্দরবনের নদীগুলিতে কুমির ছাড়া শুরু করে বন দফতর।

আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সুন্দরবন নিয়ে আলাদা মাস্টার প্ল্যান তৈরির আশ্বাস মমতার

১৯৭৬ সালে ভগবৎপুরে প্রথম কুমিরের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা প্রতি পালন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯৮২ সাল থেকে প্রতিবছরই সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে নোনা জলের কুমির ছাড়ছে বন দফতর। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সুন্দরবনে কুমির প্রজননের দিকেই নজর দিয়েছে বন দফতর।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের রাস্তায় প্রথম নামলো সেনা রোবট, দেখে হতবাক সন্দেশখালিবাসী

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে রায়মঙ্গল নদীগর্ভে ইটের রাস্তা, বাঁধ ভেঙে এলাকায় নোনা জল ঢুকছে

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় সুন্দরবনের নদীতে ৩৫টি কুমির ছাড়ল বন দফতর

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক– সুন্দরবন:  এবার নতুন করে ৩৫টি প্রজননক্ষম কুমির ছাড়া হল সুন্দরবন। সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতে কচ্ছপের পর বিভিন্ন নদী ও খালে কুমির ছাড়ল বন দফতর। সুন্দরবনের কলমি নদী– ভাইজোড়া খাল এবং লোথিয়ান দ্বীপের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয় কুমিরগুলি। এর মধ্যে ৩টি পুরুষ কুমির এবং ৩২টি স্ত্রী কুমির রয়েছে বলেও বন দফতর সূত্রে জানা গেছে। যে কুমিরগুলি সোমবার ছাড়া হয়েছে তাদের আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৪ ফুট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল– এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী এবং রামগঙ্গার ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কুমিরগুলি ছাড়া হয়।

এই প্রসঙ্গে বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল বলেন– ‘প্রতি বছর কুমিরের সংখ্যা কমতে থাকায় কুমির প্রতিপালন করে নদীতে ছাড়া শুরু হয়েছিল। এর ফলে কুমিরের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর এই সময়ে সুন্দরবন ৫৫টি কুমির ছাড়া হয়েছিল। এবার ৩৫টি কুমির ছাড়া হল।’ জেলা বন দফতরের সূত্রে খবর– ভগবৎপুর কুমির প্রকল্পে কুমিরের বাচ্চা হওয়ার পর সেগুলিকে প্রতিপালন করা হয়। সাধারণত কুমিরের বাচ্চাগুলির ৪ থেকে ৫ বছর বয়স হওয়ার পরই তাদের নদীতে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একসময় সুন্দরবনের নদী এবং খাঁড়িতে  নোনাজলের কুমিরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে শুরু করে। সেই সংখ্যা বাড়াতেই প্রতিবছর সুন্দরবনের নদীগুলিতে কুমির ছাড়া শুরু করে বন দফতর।

আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সুন্দরবন নিয়ে আলাদা মাস্টার প্ল্যান তৈরির আশ্বাস মমতার

১৯৭৬ সালে ভগবৎপুরে প্রথম কুমিরের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা প্রতি পালন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯৮২ সাল থেকে প্রতিবছরই সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে নোনা জলের কুমির ছাড়ছে বন দফতর। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সুন্দরবনে কুমির প্রজননের দিকেই নজর দিয়েছে বন দফতর।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের রাস্তায় প্রথম নামলো সেনা রোবট, দেখে হতবাক সন্দেশখালিবাসী

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে রায়মঙ্গল নদীগর্ভে ইটের রাস্তা, বাঁধ ভেঙে এলাকায় নোনা জল ঢুকছে