২৪ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্তদের “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেবে নবান্ন

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
  • / 307

পুবের কলম প্রতিবেদক : রাজ্যে টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল একাধিক জেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি এবং ঝাড়গ্রাম সফর করছেন, এরই মাঝে বেশ কয়েকটি জেলায় ধসে পড়েছে কাঁচা মাটির বাড়ি। প্রবল বর্ষণে ভেঙে যাওয়া বাড়ির মালিকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে নবান্ন। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে তাদের বাড়ি তৈরি করে দেবে নবান্ন।

টানা বৃষ্টি ও প্লাবনের জেরে রাজ্যের – একাধিক জেলায় ভেঙে পড়েছে শতাধিক মাটির বাড়ি। বেশ কয়েকটি জেলা থেকে নবান্নের কাছে খবর এসেছে প্রবল বর্ষণে বেশ কিছু মানুষের বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তাই মঙ্গলবার জেলা শাসকদের বৈঠকের পর মুখ্য সচিব জানান যাদের বাড়ি ভেঙে পড়ে গেছে তাদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি পাবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার সকালে জেলাশাসকের সঙ্গে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট নির্দেশ দেন, যেসব পরিবার এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাটির বাড়ি হারিয়েছেন, তাদের নাম সহ ডিটেলস জেলা শাসকের দপ্তরে জমা করতে হবে। এরপর

আরও পড়ুন: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৮০ হাজার বাড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর রাজ্যে প্রথম

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সরকারি সহায়তার আওতায় আনার জন্য জেলার ভূমি ও আবাসন দফতরকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। যাতে তারা দ্রুত বাংলার বাড়ি তৈরি করতে পারে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগ, খানাকুল ও ঘাটাল এ পরিদর্শনে যাওয়ার আগেই মুখ্যসচিব এই জরুরি বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সহ সফর চলাকালীনই জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে উদ্যোগী হল নবান্ন। জেলাশাসকদের কাছে।

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

জেলার বন্যা-পরিস্থিতি, উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ বণ্টন সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়। প্লাবিত অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো, জরুরি খাদ্যসামগ্রী প্রতি ও ওষুধ মজুত রাখা এবং রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে দক্ষিণ ও উত্তরের সব জেলাশাসক ও বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সব জেলার কাছে আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে নবান্ন।

আরও পড়ুন: মহালয়ায় সবাইককে শুভেচ্ছা মমতা-অভিষেকের

বন্যার কারণে যেসব ব্লকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, সেসব জায়গায় বিকল্প রাস্তা বা সেতু নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে পিডব্লুডি ও সেচ দফতরকে। সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলাস্তরে কন্ট্রোলরুমও চালু রাখা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন আরও কয়েকটি জেলায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ফলে নবান্ন এই সমস্ত জেলাগুলির উপর কড়া নজর রাখছে। যে কোন পরিস্থিতিতেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে রাজ্য সরকার।রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তর ঐ সমস্ত জেলা গুলির জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে প্রস্তুত করে রাখছে নবান্ন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্তদের “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেবে নবান্ন

আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : রাজ্যে টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল একাধিক জেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি এবং ঝাড়গ্রাম সফর করছেন, এরই মাঝে বেশ কয়েকটি জেলায় ধসে পড়েছে কাঁচা মাটির বাড়ি। প্রবল বর্ষণে ভেঙে যাওয়া বাড়ির মালিকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে নবান্ন। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে তাদের বাড়ি তৈরি করে দেবে নবান্ন।

টানা বৃষ্টি ও প্লাবনের জেরে রাজ্যের – একাধিক জেলায় ভেঙে পড়েছে শতাধিক মাটির বাড়ি। বেশ কয়েকটি জেলা থেকে নবান্নের কাছে খবর এসেছে প্রবল বর্ষণে বেশ কিছু মানুষের বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তাই মঙ্গলবার জেলা শাসকদের বৈঠকের পর মুখ্য সচিব জানান যাদের বাড়ি ভেঙে পড়ে গেছে তাদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি পাবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার সকালে জেলাশাসকের সঙ্গে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট নির্দেশ দেন, যেসব পরিবার এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাটির বাড়ি হারিয়েছেন, তাদের নাম সহ ডিটেলস জেলা শাসকের দপ্তরে জমা করতে হবে। এরপর

আরও পড়ুন: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৮০ হাজার বাড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর রাজ্যে প্রথম

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সরকারি সহায়তার আওতায় আনার জন্য জেলার ভূমি ও আবাসন দফতরকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। যাতে তারা দ্রুত বাংলার বাড়ি তৈরি করতে পারে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগ, খানাকুল ও ঘাটাল এ পরিদর্শনে যাওয়ার আগেই মুখ্যসচিব এই জরুরি বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সহ সফর চলাকালীনই জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে উদ্যোগী হল নবান্ন। জেলাশাসকদের কাছে।

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

জেলার বন্যা-পরিস্থিতি, উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ বণ্টন সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়। প্লাবিত অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো, জরুরি খাদ্যসামগ্রী প্রতি ও ওষুধ মজুত রাখা এবং রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে দক্ষিণ ও উত্তরের সব জেলাশাসক ও বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সব জেলার কাছে আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে নবান্ন।

আরও পড়ুন: মহালয়ায় সবাইককে শুভেচ্ছা মমতা-অভিষেকের

বন্যার কারণে যেসব ব্লকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, সেসব জায়গায় বিকল্প রাস্তা বা সেতু নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে পিডব্লুডি ও সেচ দফতরকে। সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলাস্তরে কন্ট্রোলরুমও চালু রাখা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন আরও কয়েকটি জেলায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ফলে নবান্ন এই সমস্ত জেলাগুলির উপর কড়া নজর রাখছে। যে কোন পরিস্থিতিতেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে রাজ্য সরকার।রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তর ঐ সমস্ত জেলা গুলির জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে প্রস্তুত করে রাখছে নবান্ন।