পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড থেকে পাচার হওয়া ২৬ জন নাবালক উদ্ধার হায়দরাবাদে, ধৃত ৮

- আপডেট : ২৭ মে ২০২৩, শনিবার
- / 44
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হায়দরাবাদে পাচারকারিদের হাত থেকে ২৬ জন নাবালককে উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের হায়দরাবাদে শ্রমিকের কাজের জন্য আনা হচ্ছিল। এরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া নাবালকদের বয়স ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। তেলেঙ্গানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেকেন্দ্রাবাদ রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাচারকারিদের গ্রেফতার করে নাবালকদের উদ্ধার করে।
পুলিশের কাছে খবর আসে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের নাবালকরা বিজয়ওয়াড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদ যাওয়ার পথে ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেসে আছে। এর পরেই নারী নিরাপত্তা মানব পাচারবিরোধী ইউনিট, জিআরপি, আরপিএফ, ‘বচপন বাঁচাও আন্দোলন’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একযোগে এই অভিযান চালিয়ে নাবালকদের উদ্ধার করে। পাচারকারিদের বয়ান অনুযায়ী শ্রমিকের কাজের জন্য নাবালকদের এখানে আনা হয়েছিল।
ধৃতদের নাম রমযান মোল্লা, সেখ সইদুল, পিন্টু দাস, সুসেন তুডু, প্রিয়ারুল সেখ, এসকে জাকির আলি, আবদুল আলামিন মণ্ডল, সুরজিৎ সাঁতরা। এরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, হায়দরাবাদের বাসিন্দা। সেকেন্দ্রাবাদের জিআরপি থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি)৩৭৪ ধারায় (বেআইনিভাবে কোনও ব্যক্তিকে শ্রম দিতে বাধ্য করা) একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কিশোরদের সরকারি হোমে রাখা হবে।
সূত্রের খবর, কাজের নাম করে ভালো পারিশ্রমিক সহ থাকা-খাওয়ার টোপ দিয়ে নিতান্ত গরিব পরিবারের ছেলেদের কাজের জন্য নিয়ে আসে দালাল চক্র। তার পর সারাদিন অমানুষিক পরিশ্রমের বদলে মেলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ছোট ছোট ছেলে দেখেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিয়ে আসা হয়। কম মজুরিতে বেশি পরিশ্রম করানোর পরিকল্পনা থাকে। দুবেলা ঠিক মতো খেতেও দেওয়া হয় না। আদ পেটা খেয়েই কাজ করে যেতে হয় নিতান্ত হত দরিদ্র পরিবারের ছেলেগুলিকে।