২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিএম যোজনার টাকা নিয়ে প্রেমিকদের সঙ্গে চম্পট ৪ গৃহবধূর! স্ত্রীদের কীর্তিতে হতবাক স্বামীরা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 28

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। এই অবস্থায় প্রকল্পের টাকা নিয়ে অদ্ভূত ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। পিএম যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েই সেই টাকা নিয়ে বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিল চার গৃহবধূ। হতবাক তাদের স্বামীরা।

জানা গিয়েছে, আবাস যোজনার টাকা চারজন সুবিধাভোগীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকে আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রেমিকের হাত ধরে চম্পট দেয় ওই গৃহবধূরা। পিএম যোজনার টাকায় এই ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বামীরা দুটি সমস্যার সম্মুখীন হন। যেখানে কিস্তির টাকা পাওয়ার পরে কেন এখনও বাড়ি শুরু হয়নি বলে জেলা নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে কৈফিয়ৎ তলব করে। ভুক্তভোগীরা উদ্বিগ্ন হন যে, তারা পুনরুদ্ধারের নোটিশ পাবেন কারণ কিস্তি থেকে তারা কোনও টাকা পাননি। এর পরেই তারা জেলা আধিকারিকের কাছে সমস্ত ঘটনা জানান।

আরও পড়ুন: নাবালিকার সঙ্গে প্রেম, মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন প্রেমিকার বাবার

পলাতক স্ত্রীয়ের স্বামীরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, পিএম যোজনার কিস্তির বাকি টাকা যেন আর তাদের স্ত্রীদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো না হয়। নগর পঞ্চায়েত বেলহারা, বাঁকি, জায়েদপুর ও সিদ্ধঘর জেলায় প্রথম কিস্তির টাকা মহিলা সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন: প্রেমিকার বাবার ফোন চুরি করে যোগীকে হত্যার হুমকি, গ্রেফতার প্রেমিক

জেলা নগর উন্নয়ন সংস্থা প্রকল্প কর্মকর্তা সৌরভ ত্রিপাঠী একটি নোটিশ পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে বাড়ির নির্মাণ কাজ অবিলম্বে শুরু করার জন্য। বাড়ির কাজ শুরু না হওয়ায় বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
এই টাকা সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে কিভাবে আদায় করা যায়, তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে জেলা আধিকারিক।

আরও পড়ুন: দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মহিলাই স্বামী ও তাঁর আত্মীয়দের হাতে নির্যাতিত: রিপোর্ট এনসিআরবির

প্রসঙ্গত, পিএম আবাস যোজনা কেন্দ্র সরকারের একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের লক্ষ্য দরিদ্র, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তদের বাড়ি করে দেওয়া। যারা সুবিধাভোগী তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিস্তিতে টাকা পাঠানো হয় কেন্দ্রের তরফে। এই প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্র পরিবারের মহিলাকে বাড়ির মালিক বা সহ-মালিক হওয়া বাধ্যতামূলক করেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পিএম যোজনার টাকা নিয়ে প্রেমিকদের সঙ্গে চম্পট ৪ গৃহবধূর! স্ত্রীদের কীর্তিতে হতবাক স্বামীরা

আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। এই অবস্থায় প্রকল্পের টাকা নিয়ে অদ্ভূত ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। পিএম যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েই সেই টাকা নিয়ে বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিল চার গৃহবধূ। হতবাক তাদের স্বামীরা।

জানা গিয়েছে, আবাস যোজনার টাকা চারজন সুবিধাভোগীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকে আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রেমিকের হাত ধরে চম্পট দেয় ওই গৃহবধূরা। পিএম যোজনার টাকায় এই ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বামীরা দুটি সমস্যার সম্মুখীন হন। যেখানে কিস্তির টাকা পাওয়ার পরে কেন এখনও বাড়ি শুরু হয়নি বলে জেলা নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে কৈফিয়ৎ তলব করে। ভুক্তভোগীরা উদ্বিগ্ন হন যে, তারা পুনরুদ্ধারের নোটিশ পাবেন কারণ কিস্তি থেকে তারা কোনও টাকা পাননি। এর পরেই তারা জেলা আধিকারিকের কাছে সমস্ত ঘটনা জানান।

আরও পড়ুন: নাবালিকার সঙ্গে প্রেম, মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন প্রেমিকার বাবার

পলাতক স্ত্রীয়ের স্বামীরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, পিএম যোজনার কিস্তির বাকি টাকা যেন আর তাদের স্ত্রীদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো না হয়। নগর পঞ্চায়েত বেলহারা, বাঁকি, জায়েদপুর ও সিদ্ধঘর জেলায় প্রথম কিস্তির টাকা মহিলা সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন: প্রেমিকার বাবার ফোন চুরি করে যোগীকে হত্যার হুমকি, গ্রেফতার প্রেমিক

জেলা নগর উন্নয়ন সংস্থা প্রকল্প কর্মকর্তা সৌরভ ত্রিপাঠী একটি নোটিশ পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে বাড়ির নির্মাণ কাজ অবিলম্বে শুরু করার জন্য। বাড়ির কাজ শুরু না হওয়ায় বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
এই টাকা সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে কিভাবে আদায় করা যায়, তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে জেলা আধিকারিক।

আরও পড়ুন: দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মহিলাই স্বামী ও তাঁর আত্মীয়দের হাতে নির্যাতিত: রিপোর্ট এনসিআরবির

প্রসঙ্গত, পিএম আবাস যোজনা কেন্দ্র সরকারের একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের লক্ষ্য দরিদ্র, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তদের বাড়ি করে দেওয়া। যারা সুবিধাভোগী তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিস্তিতে টাকা পাঠানো হয় কেন্দ্রের তরফে। এই প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্র পরিবারের মহিলাকে বাড়ির মালিক বা সহ-মালিক হওয়া বাধ্যতামূলক করেছে।