পুবের কলম প্রতিবেদক:পুবের কলম পত্রিকার  খবরের জের, দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে অবশেষে রাজারহাট নিউটাউনে ঈদের নামায অনুষ্ঠিত হল। এর জন্য একটি হল বরাদ্দ করা হয়। এদিন সেখানেই নামায পাঠ করা হয়। সকলেই মধ্যেই ছিল উচ্চ্বাস। প্রথম এই খবর প্রকাশিত হয় পুবের কলম পত্রিকায়।

প্রসঙ্গত, ‘ঈদুল ফিতর’ ও ‘ঈদুজ্জোহা’ বছরের বিশেষ এই দু’দিনে নামাজ পাঠে শহরে অস্থায়ী জায়গা চেয়ে নিউ টাউন কর্তৃপক্ষ এনকেডিএ এবং হিডকো-র দ্বারস্থ হয়েছিল বাসিন্দারা। গত বছর জুন মাসে দুই সংস্থার কাছে লিখিত আবেদনও করেছিলেন শহরের মুসলিম আবাসিকরা। সে বারে বাসিন্দাদের আবেদন জমা করার সময়সীমা পেরিয়ে গেছিল। এই কারণ দর্শিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছিল শহর কর্তৃপক্ষ দুই সংস্থাই। মেনেও নিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। কেটে গেছে গোটা একটা বছর। এবারও ঈদের নামাজের জমায়েতের জন্য শহরের আবাসিক সংগঠন ‘নিউ টাউন সিটিজেন ওয়েলফেয়ার ফ্রাটারনিটি’ নিজস্ব লেটার প্যাডে নিউ টাউনের দুই সরকারি সংস্থার কাছে আগেভাগে আবেদন জমা করেন।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারিতে নাগরিকদের সেই লিখিত আবেদন এনকেডিএ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়ে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোন পক্ষের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ।

নিউ টাউনের ওই আবাসিক সংগঠন কমিটির সভাপতি লুৎফুল আলম জানিয়েছেন, ‘নিউ টাউন শহরের কমবেশি ৫০০ টি মুসলিম পরিবারের বসবাস। সংখ্যালঘু মুসলিমদের থাকার জন্য সরকারিভাবে বিরাট মানের এরিনা হাউজিংও রয়েছে সেখানে। সব মিলিয়ে নিউ টাউন উপনগরীতে কয়েক হাজার মুসলিম মানুষ থাকেন। তাই বছরে দু’বার সকলেই একত্রিতভাবে ঈদের নামাযের জন্য কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করে নিউ টাউন শহর কর্তৃপক্ষের কাছে বারে বারে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন কাজের কাজ হল না’।

যদিও প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘নিউ টাউন হজ হাউস মদিনাতুল হুজ্জাজ ময়দানে আবাসিকদের ঈদের নামাজের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু বাসিন্দারা তাতে নারাজ। এ ব্যাপারে লুৎফুরবাবু যুক্তি, ঈদের নামাজ সাধারণত সকালের দিকে অনুষ্ঠিত হয়। নিউ টাউন অ্যাকশন এরিয়া ১, ২ ও ৩ এলাকা থেকে সাতসকালে হজ হাউজে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে যানবাহনের সমস্যা রয়েছে। তাই নিউ টাউনের সেন্ট্রাল পয়েন্ট হিসাবে বিশ্ব বাংলা গেট সংলগ্ন চারটে জায়গা চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়। কিন্তু তাতে কোন সারা মেলেনি।

এবছরে আদৌ কি নিউ টাউনে ঈদের জামায়েত হবে! ঈদুল ফিতরের সপ্তাহখানেক আগে পর্যন্তও ধোঁয়াশা ছিল। তাঁদের আবেদনে এবারে কোন সমাধান সূত্র না বেরালে দিন কয়েকের মধ্যে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে ডেপুটেশনের পাশাপাশি এনকেডিএ ও হিডকো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন শহরের মুসলিম আবাসিকরা। কিন্তু অবশেষে সমস্যা সমাধান হল। নামায পড়লেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।