ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে টাকির বিসর্জন নির্দিষ্ট দিনে হবে
ইনামুল হক, বসিরহাট: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা উৎসব হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। ইতিমধ্যে মন্ডপে মন্ডপে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি বাজারে বাজারে চলছে পূজোর কেনাকাটা। আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠবে আপামর বাঙালির। আর এই দূর্গা উৎসবকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রশাসন।
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের ঘোষিত দুর্গা উৎসবের অনুদান এক লক্ষ দশ হাজার টাকা পৌঁছে গেছে পূজো মন্ডপের কর্মকর্তাদের হাতে। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত শহর বসিরহাটে পুজোয় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
বসিরহাট পুলিশ জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ড. হোসেন মেহেদী রহমান , বসিরহাটের মহকুমা শাসক আশীষ কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ ,বসিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি রক্তিম বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অদিতি রায়চৌধুরী, টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, সন্দেশখালীর বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, মিনাখার বিধায়িকা ঊষা রানী মন্ডল বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দোপাধ্যায় সহ সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক করলেন মহাকুমা শাসক এবং পুলিশ সুপার উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বসিরহাটের বিভিন্ন পূজো মণ্ডবের কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের একাধিক কর্তা ব্যক্তিরা পুজো চলাকালীন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোটা বসিরহাট মহকুমা জুড়ে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তায় কোন রকমের ঝুঁকি নিতে নারাজ পুলিশ প্রশাসন অর্থাৎ গোটা বসিরহাট মহকুমা জুড়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে তার পাশাপাশি সীমান্ত শহর বসিরহাটে বিএসএফদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে এবং বেশ কিছু গাইডলাইন এবং নির্দেশ দেয়া হয়েছে অর্থাৎ সীমান্ত শহর বসিরহাট বরাবরই দর্শনার্থীদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো সেই ভিড় সামলানো এবং যানজট মুক্ত মুক্তরাত্রে সমস্ত রকমের প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
তার পাশাপাশি গোটা বসিরহাট মহকুমা জুড়ে যে সকল পূজা মন্ডপগুলি রয়েছে সেই সকল পূজা মন্ডপে দর্শনার্থীরা কিভাবে প্রবেশ করবেন এবং কিভাবে প্রতিমা দর্শন করার পর পূজা মন্ডপ ছাড়বেন সমস্তটাই গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
এককথায় দুর্গা উৎসবে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমস্ত রকমের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন পুলিশ প্রশাসন। একইসঙ্গে সীমন্ত রক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠকে আলোচনা হয় টাকিতে ইছামতির বিসর্জন ঘাটে নির্দিষ্ট দিনেই অর্থাৎ বিজয়া দশমীর দিনেই প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। এবং এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রশাসন সাদা নজরদারি চালাবে বলে জানিয়েছে।






























