২৯ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুরু গৃহতালিকা তৈরি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আদমশুমারি ও জাতিগত জনগণনার ঘোষণা কেন্দ্রের

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, রবিবার
  • / 32

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২০২৬ সালের আদমশুমারি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে ১ এপ্রিল থেকে। সেই দিন থেকেই গৃহতালিকা (হাউসলিস্টিং অপারেশন) তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানালেন ভারতের জনগণনা কমিশনার এবং রেজিস্ট্রার জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ। এই বিষয়ে দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ২০২৬ সালের ১ এপ্রিলের আগেই গৃহগণনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক ও গণনাকারী নিয়োগ করা হবে এবং তাঁদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। এবারের ভারতীয় জনগণনা ২০২৬ হবে দুই ধাপে এবং সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

প্রথম ধাপ, অর্থাৎ হাউসলিস্টিং অপারেশন (HLO)-এ বাড়ির কাঠামো, পরিবারের আয়, সম্পত্তির পরিমাণ, বসবাসের অবস্থা ও সুযোগ-সুবিধার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপ, পপুলেশন এনুমারেশন (Population Enumeration)-এ পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

আরও পড়ুন: জাতিগণনার জন্য আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবারের আদমশুমারিতে জাতিগত জনগণনাও (Caste Census) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি কেন্দ্রের তরফে প্রথমবারের মতো করা হচ্ছে। কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে যার দাবি জানিয়ে আসছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, জাতিগত গণনা যুক্ত হওয়ায় সমীক্ষা আরও বিস্তৃত হবে এবং প্রশ্নসংখ্যাও বাড়বে। সেই কারণে এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হবে এবং ব্যয়ও বাড়বে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে প্রথম দফায় জনগণনা শুরু হবে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। এরপর ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে ভারতের বাকি রাজ্যগুলিতে শুরু হবে জনগণনার মূল কাজ।

জানা গিয়েছে, এবারে তিনটি প্রধান বিষয়ের উপর জনগণনা হবে—

  1. প্রতি গৃহে কতজন বাস করছেন,

  2. প্রতিটি আবাসের সংখ্যা,

  3. এবং একই গৃহে কতজন বসবাস করছেন।

এই তথ্যের ভিত্তিতে দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা ও গৃহসংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতে প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি (জনগণনা) হয়ে থাকে। শেষবার হয়েছে ২০১১ সালে। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে তা পিছিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালে এই প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা থাকলেও, ভোটের আগে মোদি সরকার সেই পথে হাঁটেনি। ফলে নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে একবারও জনগণনা হয়নি, যা নিয়ে প্রশাসনের অন্দরেও নানা প্রশ্ন উঠেছিল।

অবশেষে গত বছর কেন্দ্র ঘোষণা করে, ২০২৬ সালে নতুন জনগণনা অনুষ্ঠিত হবে এবং এবার তা হবে জাতিগত সমীক্ষাসহ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুরু গৃহতালিকা তৈরি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আদমশুমারি ও জাতিগত জনগণনার ঘোষণা কেন্দ্রের

আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২০২৬ সালের আদমশুমারি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে ১ এপ্রিল থেকে। সেই দিন থেকেই গৃহতালিকা (হাউসলিস্টিং অপারেশন) তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানালেন ভারতের জনগণনা কমিশনার এবং রেজিস্ট্রার জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ। এই বিষয়ে দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ২০২৬ সালের ১ এপ্রিলের আগেই গৃহগণনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক ও গণনাকারী নিয়োগ করা হবে এবং তাঁদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। এবারের ভারতীয় জনগণনা ২০২৬ হবে দুই ধাপে এবং সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

প্রথম ধাপ, অর্থাৎ হাউসলিস্টিং অপারেশন (HLO)-এ বাড়ির কাঠামো, পরিবারের আয়, সম্পত্তির পরিমাণ, বসবাসের অবস্থা ও সুযোগ-সুবিধার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপ, পপুলেশন এনুমারেশন (Population Enumeration)-এ পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

আরও পড়ুন: জাতিগণনার জন্য আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবারের আদমশুমারিতে জাতিগত জনগণনাও (Caste Census) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি কেন্দ্রের তরফে প্রথমবারের মতো করা হচ্ছে। কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে যার দাবি জানিয়ে আসছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, জাতিগত গণনা যুক্ত হওয়ায় সমীক্ষা আরও বিস্তৃত হবে এবং প্রশ্নসংখ্যাও বাড়বে। সেই কারণে এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হবে এবং ব্যয়ও বাড়বে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে প্রথম দফায় জনগণনা শুরু হবে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। এরপর ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে ভারতের বাকি রাজ্যগুলিতে শুরু হবে জনগণনার মূল কাজ।

জানা গিয়েছে, এবারে তিনটি প্রধান বিষয়ের উপর জনগণনা হবে—

  1. প্রতি গৃহে কতজন বাস করছেন,

  2. প্রতিটি আবাসের সংখ্যা,

  3. এবং একই গৃহে কতজন বসবাস করছেন।

এই তথ্যের ভিত্তিতে দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা ও গৃহসংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতে প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি (জনগণনা) হয়ে থাকে। শেষবার হয়েছে ২০১১ সালে। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে তা পিছিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালে এই প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা থাকলেও, ভোটের আগে মোদি সরকার সেই পথে হাঁটেনি। ফলে নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে একবারও জনগণনা হয়নি, যা নিয়ে প্রশাসনের অন্দরেও নানা প্রশ্ন উঠেছিল।

অবশেষে গত বছর কেন্দ্র ঘোষণা করে, ২০২৬ সালে নতুন জনগণনা অনুষ্ঠিত হবে এবং এবার তা হবে জাতিগত সমীক্ষাসহ।