২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চোখের জলে চাইলেন আল্লাহর সাহায্য

পবিত্র আল-আকসায় লাইলাতুল কদরের নামাজ দু লক্ষ ফিলিস্তিনির

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
  • / 293

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পবিত্র শবেকদরের রাতে মুসলিমদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসে সমবেতভাবে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সাহায্য চাইলেন ফিলিস্তিনিরা। বুধবার রাতে লাইলাতুল কদরের পবিত্র রাতে জেরুজালেমের আল-আকসার আকাশ লাখো কণ্ঠের ‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল। পবিত্র রমজান মাসের ২৭তম রাতে ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে তারাবীহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই নামাজে প্রায় দুই লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। আল-আকসা মসজিদ পরিচালনাকারী ওয়াকফ বিভাগ জানায়, এটি রমজান মাসে মসজিদে সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতির রেকর্ড। এবারের শবে কদর বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশ থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য অনেকটাই ভিন্ন। প্রায় ২ বছরের এক যুদ্ধে ফিলিস্তিন এখন ছিন্ন বিচ্ছিন্ন।‌ইসরাইলের হামলায় নিয়মিতই ঘটছে প্রাণহানি।

পরিবার, স্বজন আর ঠিকানা হারানো এসব মানুষ তবুও দমে যাননি। আল্লাহর ইবাদতের জন্য ছুটে এসেছেন আল আকসায়। জেরুজালেম গভর্নরেট এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইসরাইলি দখলদার বাহিনী জেরুজালেম শহরকে সামরিক অঞ্চলে পরিণত করেছে। একইসঙ্গে আল-আকসা মসজিদে লাইলাতুল কদর পালনের জন্য আসা মুসল্লিদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।’

জেরুজালেমের পুরাতন শহরের গলিতেও ইসরাইলি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এমনকি মসজিদের গেটেও ফিলিস্তিনিদের বাধা দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ প্রথমে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের কালান্দিয়া এবং বেথলেহেম চেকপয়েন্টে প্রবেশে বাধা দেয়।এরপর আল আকসায় পৌঁছাতেও বাধা দেওয়া হয়। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে তাদের কাছে বৈধ নথিপত্র ছিল না। যদিও সেটা ‘অজুহাত’ বলেই জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা ।

বুধবার সকাল থেকেই আল আকসার প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকেন তারা। দুপুরের পরেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মসজিদ প্রাঙ্গণ। ২ লাখ মানুষ অংশ নেন তারাবীর নামাজে। এরপর শবে কদরের নফল ইবাদতে অংশ নেন তারা।রাতব্যাপী তারা কোরআন তেলাওয়াত, নামাজ ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় সময় কাটান। ধর্মীয় অনুভূতিতে ভাসতে থাকা এই পরিবেশে আল-আকসা মসজিদ ছিল আলোয় উদ্ভাসিত ও আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ। মোনাযাতে চোখের জলে মহান আল্লাহর সাহায্য চাইলেন ফিলিস্তিনি মুসলিমরা।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চোখের জলে চাইলেন আল্লাহর সাহায্য

পবিত্র আল-আকসায় লাইলাতুল কদরের নামাজ দু লক্ষ ফিলিস্তিনির

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পবিত্র শবেকদরের রাতে মুসলিমদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসে সমবেতভাবে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সাহায্য চাইলেন ফিলিস্তিনিরা। বুধবার রাতে লাইলাতুল কদরের পবিত্র রাতে জেরুজালেমের আল-আকসার আকাশ লাখো কণ্ঠের ‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল। পবিত্র রমজান মাসের ২৭তম রাতে ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে তারাবীহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই নামাজে প্রায় দুই লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। আল-আকসা মসজিদ পরিচালনাকারী ওয়াকফ বিভাগ জানায়, এটি রমজান মাসে মসজিদে সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতির রেকর্ড। এবারের শবে কদর বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশ থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য অনেকটাই ভিন্ন। প্রায় ২ বছরের এক যুদ্ধে ফিলিস্তিন এখন ছিন্ন বিচ্ছিন্ন।‌ইসরাইলের হামলায় নিয়মিতই ঘটছে প্রাণহানি।

পরিবার, স্বজন আর ঠিকানা হারানো এসব মানুষ তবুও দমে যাননি। আল্লাহর ইবাদতের জন্য ছুটে এসেছেন আল আকসায়। জেরুজালেম গভর্নরেট এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইসরাইলি দখলদার বাহিনী জেরুজালেম শহরকে সামরিক অঞ্চলে পরিণত করেছে। একইসঙ্গে আল-আকসা মসজিদে লাইলাতুল কদর পালনের জন্য আসা মুসল্লিদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।’

জেরুজালেমের পুরাতন শহরের গলিতেও ইসরাইলি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এমনকি মসজিদের গেটেও ফিলিস্তিনিদের বাধা দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ প্রথমে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের কালান্দিয়া এবং বেথলেহেম চেকপয়েন্টে প্রবেশে বাধা দেয়।এরপর আল আকসায় পৌঁছাতেও বাধা দেওয়া হয়। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে তাদের কাছে বৈধ নথিপত্র ছিল না। যদিও সেটা ‘অজুহাত’ বলেই জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা ।

বুধবার সকাল থেকেই আল আকসার প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকেন তারা। দুপুরের পরেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মসজিদ প্রাঙ্গণ। ২ লাখ মানুষ অংশ নেন তারাবীর নামাজে। এরপর শবে কদরের নফল ইবাদতে অংশ নেন তারা।রাতব্যাপী তারা কোরআন তেলাওয়াত, নামাজ ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় সময় কাটান। ধর্মীয় অনুভূতিতে ভাসতে থাকা এই পরিবেশে আল-আকসা মসজিদ ছিল আলোয় উদ্ভাসিত ও আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ। মোনাযাতে চোখের জলে মহান আল্লাহর সাহায্য চাইলেন ফিলিস্তিনি মুসলিমরা।