বিশ্ববাজারে যৌথভাবে হালাল পণ্য উৎপাদন করতে পারে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ
- আপডেট : ১৫ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
- / 77
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : মালয়েশীয় বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে হালাল পণ্যের উৎপাদন সুবিধা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দ্রুত সম্প্রসারিত বৈশ্বিক হালাল বাজারে দুই দেশের যৌথ প্রবেশের প্রস্তাবও দেন তিনি।
১১ থেকে ১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে মালয়েশিয়ায় তিন দিনের সরকারি সফর শেষে বারনামাকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের সম্পদ একত্র করতে পারলে হালাল খাতই হবে ঢাকা ও পুত্রজায়ার অংশীদারত্ব বৃদ্ধির সবচেয়ে স্বাভাবিক ক্ষেত্র”। অধ্যাপক ইউনূসের মতে, হালাল সার্টিফিকেশন ও ব্র্যান্ডিংয়ে মালয়েশিয়ার অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের পর্যাপ্ত জমি, শ্রমশক্তি ও অবকাঠামোর সমন্বয় উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে দুই দেশই ভালো অবস্থানে পৌঁছাবে।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফিউচার মার্কেট ইনসাইটস ইনকরপোরেটেড-এর তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক হালাল খাদ্যবাজারের আকার দাঁড়াবে ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা কি না ২০৩৫ সালে বেড়ে হবে ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সুযোগ–সুবিধা যাচাইয়ের জন্য শিগগিরই মালয়েশীয় বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রয়োজনীয় জনশক্তি সরবরাহে সম্পূর্ণ সহায়তা করব। আপনারা নিশ্চিন্তে কারখানা স্থাপন করুন, সমস্ত প্রয়োজন আমরা দেব”।
এছাড়াও তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া যেসব পণ্য উৎপাদন করছে, সেসবের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে পারে। এখানে শ্রমিক আছে, আর বাংলাদেশ নিজেই ১৭ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বড় ভোক্তা একটি বাজার”। ইউনূস মালয়েশিয়ার ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট ও হালাল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন, প্রোটন হোল্ডিংস, সানওয়ে গ্রুপ, অজিয়াটা গ্রুপ বিহাড ও খাজানাহ ন্যাশনাল বিহাডসহ শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
দক্ষিণ মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার বাংলাদেশ। দেশটিতে মালয়েশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য, পাম তেল ও রাসায়নিক দ্রব্য। আর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয় তৈরি পোশাক, জুতা, পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য ও অন্যান্য পণ্য।































