০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ট্রংরুম থেকে ব্যালট বক্স লুট করার জন্যই পাঁচিল ভাঙা হয়েছে,  অভিযোগে হাওড়ার ডোমজুড়ে বিক্ষোভ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩, সোমবার
  • / 8

আইভি আদক, হাওড়া:  হাওড়ার ডোমজুড়ের আজাদ হিন্দ কলেজের গণনাকেন্দ্রের বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল।  বিরোধী দলের অভিযোগ সেখানে স্ট্রংরুম থেকে ব্যালট বক্স লুট করার জন্যই পাঁচিল ভাঙা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ এবং Raf।

ডোমজুড়ের আজাদ হিন্দ কলেজে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্ট্রংরুম তৈরি করা হয়েছে।  ভোটগ্রহণের পর কড়া পুলিশি পাহারায় ওই স্ট্রংরুমে বিভিন্ন বুথ থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে আসা হয়েছিল।

রবিবার রাতে ওই কলেজের বাউন্ডারি ওয়ালে ৬ ফুট লম্বা এবং ৫ ফুট চওড়া ভাঙা অংশ নজরে পড়ে। বিরোধী দলের কর্মীদের তা নজরে এলে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ পরিকল্পনামাফিক ব্যালট বক্স লুট করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে।

বিজেপির পক্ষ থেকেও একই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সিপিএম, বিজেপি এবং নির্দল কর্মীরা রাতেই কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং Raf। পুলিশ কর্মীরা লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।

পরে খবর পেয়ে ছুটে আসেন ডোমজুড়ের বিডিও গার্গী দাস নিজেও। তিনি অবশ্য ব্যালট বক্স লুটের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ওখানে দেওয়াল কেটে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। স্ট্রং রুম ঘিরে আছে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স এবং রাজ্য পুলিশ। এছাড়াও রাজনৈতিক কর্মীদের নজরদারি আছে। তাই ব্যালট লুটের সম্ভাবনা নেই। গণনার দিনেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্ট্রংরুম থেকে ব্যালট বক্স লুট করার জন্যই পাঁচিল ভাঙা হয়েছে,  অভিযোগে হাওড়ার ডোমজুড়ে বিক্ষোভ

আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩, সোমবার

আইভি আদক, হাওড়া:  হাওড়ার ডোমজুড়ের আজাদ হিন্দ কলেজের গণনাকেন্দ্রের বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল।  বিরোধী দলের অভিযোগ সেখানে স্ট্রংরুম থেকে ব্যালট বক্স লুট করার জন্যই পাঁচিল ভাঙা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ এবং Raf।

ডোমজুড়ের আজাদ হিন্দ কলেজে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্ট্রংরুম তৈরি করা হয়েছে।  ভোটগ্রহণের পর কড়া পুলিশি পাহারায় ওই স্ট্রংরুমে বিভিন্ন বুথ থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে আসা হয়েছিল।

রবিবার রাতে ওই কলেজের বাউন্ডারি ওয়ালে ৬ ফুট লম্বা এবং ৫ ফুট চওড়া ভাঙা অংশ নজরে পড়ে। বিরোধী দলের কর্মীদের তা নজরে এলে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ পরিকল্পনামাফিক ব্যালট বক্স লুট করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে।

বিজেপির পক্ষ থেকেও একই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সিপিএম, বিজেপি এবং নির্দল কর্মীরা রাতেই কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং Raf। পুলিশ কর্মীরা লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।

পরে খবর পেয়ে ছুটে আসেন ডোমজুড়ের বিডিও গার্গী দাস নিজেও। তিনি অবশ্য ব্যালট বক্স লুটের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ওখানে দেওয়াল কেটে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। স্ট্রং রুম ঘিরে আছে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স এবং রাজ্য পুলিশ। এছাড়াও রাজনৈতিক কর্মীদের নজরদারি আছে। তাই ব্যালট লুটের সম্ভাবনা নেই। গণনার দিনেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।