২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোদি খাচ্ছেন দামী মাশরুম, জনতা খাচ্ছে ঠেলাঠেলি: রেশন দোকানের ভিড় নিয়ে কটাক্ষ কংগ্রেসের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 16

রায়পুর: দু’বেলা দুমুঠো খাবারের অনেকেরই ভরসা সরকারি রেশন। বিনামূল্যের রেশন পেতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দেশের নিম্নশ্রেণীর জনগণকে। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর ধনী বন্ধুরা দামি মাশরুম খান। এমনই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করল কংগ্রেস। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা কংগ্রেসের একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি গেট কমপ্লেক্সের বাইরে প্রচুর লোক জড়ো হয়েছে। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় ছুটে যায় ভবনের দিকে। এক সাংবাদিক প্রথমে এই ঘটনার ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। তারপরই ভাইরাল হয় ভিডিয়োটি। এক্স পোস্টে সাংবাদিক লেখেন, “এরা আমাদের দেশের মানুষ এবং এটি ছত্তিশগড়ের গরিয়াবন্দ। নতুন মেশিন থাকায় গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা দৌঁড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। একসঙ্গে তিন মাসের রেশন দিতে হবে, দিনে মাত্র ২০-২২ জন রেশন পাচ্ছেন।” জানা গিয়েছে, স্থানীয় রেশন দোকানে রেশন আনতে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। সময় না হওয়ায় রেশন দোকানের গেট খোলা হয়নি। কিছুক্ষণ পর জনতার ভিড় গেট ভেঙে রেশন দোকানে প্রবেশ করে। ১৬ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োটি পোস্ট করে কড়া সমালোচনা করে কংগ্রেস। দেশের প্রধান বিরোধী দল লিখেছে, “আজকের ভারত। বিনামূল্যে রেশনের দাবিতে দেশের মানুষ ভিড়ের আকারে দাঁড়িয়ে আছে। এই ভিড় প্রমাণ করছে ভারতের ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ আর্থিক সংকটের সম্মুখীন।” হাত শিবির অভিযোগ করে বলেছে, “নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ধনী বন্ধুরা দামি মাশরুম খাচ্ছেন। আর দেশের সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ঠেলাঠেলি ও হুড়োহুড়ি খাচ্ছেন।” প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সংসদে বলেছিলেন যে পূর্বতন ইউপিএ সরকার নির্বাচনের দিকে নজর রেখে ২০১৩ সালে একটি খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু করেছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮০ কোটি মানুষকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, দেশের যে কোনও জায়গায় সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে রেশন সুবিধা দেওয়ার জন্য ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। কংগ্রেসের দাবি, সহজ জীবনের এটিই উদাহরণ। যেখানে রেশন নিতে গিয়ে মানুষ নাজেহাল হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রেশনের দোকানে মোদির ছবি ছাপানোর কেন্দ্রীয় দাবি মানব না, বললেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মোদি খাচ্ছেন দামী মাশরুম, জনতা খাচ্ছে ঠেলাঠেলি: রেশন দোকানের ভিড় নিয়ে কটাক্ষ কংগ্রেসের

আপডেট : ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার

রায়পুর: দু’বেলা দুমুঠো খাবারের অনেকেরই ভরসা সরকারি রেশন। বিনামূল্যের রেশন পেতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দেশের নিম্নশ্রেণীর জনগণকে। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর ধনী বন্ধুরা দামি মাশরুম খান। এমনই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করল কংগ্রেস। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা কংগ্রেসের একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি গেট কমপ্লেক্সের বাইরে প্রচুর লোক জড়ো হয়েছে। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় ছুটে যায় ভবনের দিকে। এক সাংবাদিক প্রথমে এই ঘটনার ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। তারপরই ভাইরাল হয় ভিডিয়োটি। এক্স পোস্টে সাংবাদিক লেখেন, “এরা আমাদের দেশের মানুষ এবং এটি ছত্তিশগড়ের গরিয়াবন্দ। নতুন মেশিন থাকায় গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা দৌঁড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। একসঙ্গে তিন মাসের রেশন দিতে হবে, দিনে মাত্র ২০-২২ জন রেশন পাচ্ছেন।” জানা গিয়েছে, স্থানীয় রেশন দোকানে রেশন আনতে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। সময় না হওয়ায় রেশন দোকানের গেট খোলা হয়নি। কিছুক্ষণ পর জনতার ভিড় গেট ভেঙে রেশন দোকানে প্রবেশ করে। ১৬ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োটি পোস্ট করে কড়া সমালোচনা করে কংগ্রেস। দেশের প্রধান বিরোধী দল লিখেছে, “আজকের ভারত। বিনামূল্যে রেশনের দাবিতে দেশের মানুষ ভিড়ের আকারে দাঁড়িয়ে আছে। এই ভিড় প্রমাণ করছে ভারতের ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ আর্থিক সংকটের সম্মুখীন।” হাত শিবির অভিযোগ করে বলেছে, “নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ধনী বন্ধুরা দামি মাশরুম খাচ্ছেন। আর দেশের সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ঠেলাঠেলি ও হুড়োহুড়ি খাচ্ছেন।” প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সংসদে বলেছিলেন যে পূর্বতন ইউপিএ সরকার নির্বাচনের দিকে নজর রেখে ২০১৩ সালে একটি খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু করেছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮০ কোটি মানুষকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, দেশের যে কোনও জায়গায় সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে রেশন সুবিধা দেওয়ার জন্য ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। কংগ্রেসের দাবি, সহজ জীবনের এটিই উদাহরণ। যেখানে রেশন নিতে গিয়ে মানুষ নাজেহাল হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রেশনের দোকানে মোদির ছবি ছাপানোর কেন্দ্রীয় দাবি মানব না, বললেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী