০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাক্ওয়া অর্জনের মাস রমযান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 20

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আল্লাহ্তায়ালা তাক্ওয়া অর্জনের জন্য বহুবার মানুষকে তাগিদ প্রদান করেছেন পবিত্র আল কুরআনের মাধ্যমে। এক আয়াতে রয়েছে , ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যারা মুত্তাকী এবং যারা সৎকর্মপরায়ণশীল তাদের সঙ্গে রয়েছেন।’ (সূরা নাহল, আয়াত : ১২৮).  এছাড়া অসংখ্য আয়াত রয়েছে, যার দ্বারা আল্লাহ্তায়ালা মানবজাতি, এমনকী নবীকেও তাক্ওয়া অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। যার দ্বারা তাক্ওয়া অর্জনের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা বোঝা যায়। কেননা, তাক্ওয়া অর্জন ছাড়া একজন মানুষ মুমিনই হতে পারে না। তাক্ওয়া দ্বারা মানুষের গোটা জীবন পরিচালিত হয়। তাই যার মাঝে তাক্ওয়া নেই, সে তার গোটাজীবন কুফরী অবস্থায় অতিবাহিত করে। পক্ষান্তরে যার মাঝে তাক্ওয়া রয়েছে, তার গোটাজীবন পরিচালিত হয় মহান আল্লাহ্-প্রদত্ত বিধান ও রাসূল সা. প্রদর্শিত আদর্শ মোতাবেক। তাই মানুষকে জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে হলে সর্বপ্রথম তাক্ওয়া অর্জন করতে হবে। কেননা, তাক্ওয়া দ্বারাই প্রতিটি মানুষ স্বমহিমায় অবস্থান করতে পারে। তাক্ওয়া দ্বারা শুধু পরকালে লাভ রয়েছে, এটাই শেষ কথা নয়। পার্থিব সুখ-শান্তি বজায় রাখতে হলে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাক্ওয়া অর্জন করা। যদি কোনও মানুষের মাঝে খোদাদাভীতি থাকে, তাহলে সে কোনও প্রকার অশ্লীল বা দুর্নীতির কাজে জড়িত হতে পারে না। মূলত এটাই তাক্ওয়া। আর যখনই কোনও দুর্নীতিমূলক কর্ম সামনে আসবে তখন তার মন বাধা প্রদান করবে যে, আমাকে কাল কিয়মাতের দিন আল্লাহ্ এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে তখন আমি কি উত্তর দেব। এই ধরনের খোদাভীতি সকল মানুষের অর্জন করা একান্ত অপরিহার্য বিষয়। যে ব্যক্তি এই গুণ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, সে মুত্তাকী। এই গুণ লাভ করতে হলে সর্বোত্তম সময় হচ্ছে পবিত্র রমযান মাস। কারণ এই মাসে মানুষ রোযা রেখে সারাদিন কোনও প্রকার গুনাহের কাজ তার দ্বারা সম্পাদন হয় না। রাতের বেলা নফল নামায পড়ে এবং অধিক পরিমাণে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে। ফলে একজন মানুষ তাক্ওয়া অর্জনের মূলধারা বা পথ খুঁজে পায়।

 

আরও পড়ুন: শুধু রমযান নয়, কখনোই অনুমতি দেওয়া হবে না: ফ্যাশন শো নিয়ে আবদুল্লাহ

আরও পড়ুন: রমযান: হৃদয় পরিবর্তনের বরকতময় এক মাস

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তাক্ওয়া অর্জনের মাস রমযান

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আল্লাহ্তায়ালা তাক্ওয়া অর্জনের জন্য বহুবার মানুষকে তাগিদ প্রদান করেছেন পবিত্র আল কুরআনের মাধ্যমে। এক আয়াতে রয়েছে , ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যারা মুত্তাকী এবং যারা সৎকর্মপরায়ণশীল তাদের সঙ্গে রয়েছেন।’ (সূরা নাহল, আয়াত : ১২৮).  এছাড়া অসংখ্য আয়াত রয়েছে, যার দ্বারা আল্লাহ্তায়ালা মানবজাতি, এমনকী নবীকেও তাক্ওয়া অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। যার দ্বারা তাক্ওয়া অর্জনের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা বোঝা যায়। কেননা, তাক্ওয়া অর্জন ছাড়া একজন মানুষ মুমিনই হতে পারে না। তাক্ওয়া দ্বারা মানুষের গোটা জীবন পরিচালিত হয়। তাই যার মাঝে তাক্ওয়া নেই, সে তার গোটাজীবন কুফরী অবস্থায় অতিবাহিত করে। পক্ষান্তরে যার মাঝে তাক্ওয়া রয়েছে, তার গোটাজীবন পরিচালিত হয় মহান আল্লাহ্-প্রদত্ত বিধান ও রাসূল সা. প্রদর্শিত আদর্শ মোতাবেক। তাই মানুষকে জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে হলে সর্বপ্রথম তাক্ওয়া অর্জন করতে হবে। কেননা, তাক্ওয়া দ্বারাই প্রতিটি মানুষ স্বমহিমায় অবস্থান করতে পারে। তাক্ওয়া দ্বারা শুধু পরকালে লাভ রয়েছে, এটাই শেষ কথা নয়। পার্থিব সুখ-শান্তি বজায় রাখতে হলে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাক্ওয়া অর্জন করা। যদি কোনও মানুষের মাঝে খোদাদাভীতি থাকে, তাহলে সে কোনও প্রকার অশ্লীল বা দুর্নীতির কাজে জড়িত হতে পারে না। মূলত এটাই তাক্ওয়া। আর যখনই কোনও দুর্নীতিমূলক কর্ম সামনে আসবে তখন তার মন বাধা প্রদান করবে যে, আমাকে কাল কিয়মাতের দিন আল্লাহ্ এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে তখন আমি কি উত্তর দেব। এই ধরনের খোদাভীতি সকল মানুষের অর্জন করা একান্ত অপরিহার্য বিষয়। যে ব্যক্তি এই গুণ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, সে মুত্তাকী। এই গুণ লাভ করতে হলে সর্বোত্তম সময় হচ্ছে পবিত্র রমযান মাস। কারণ এই মাসে মানুষ রোযা রেখে সারাদিন কোনও প্রকার গুনাহের কাজ তার দ্বারা সম্পাদন হয় না। রাতের বেলা নফল নামায পড়ে এবং অধিক পরিমাণে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে। ফলে একজন মানুষ তাক্ওয়া অর্জনের মূলধারা বা পথ খুঁজে পায়।

 

আরও পড়ুন: শুধু রমযান নয়, কখনোই অনুমতি দেওয়া হবে না: ফ্যাশন শো নিয়ে আবদুল্লাহ

আরও পড়ুন: রমযান: হৃদয় পরিবর্তনের বরকতময় এক মাস