২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কম্বল-জ্যাকেট পাঠাল রোহিঙ্গারা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 30

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়টির অধিকারের প্রশ্নে বিশ্বের অন্যতম সোচ্চার কণ্ঠ তুরস্ক। বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানো প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যেও ছিল তুরস্ক। তাই তুরস্কে ভূমিকম্পের পর চুপ থাকতে পারেনি রোহিঙ্গারা। তুরস্কের ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য যথাসাধ্য ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে তারা। নিজেরা টাকা তুলে তুরস্কে ৭০০ কম্বল ও ২০০ জ্যাকেট পাঠিয়েছে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা। এটিকে তুর্কি জনগণের জন্য ‘ভালোবাসার উপহার’ হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা। সাহাত জিয়া নামে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘সংকট শুরুর পর থেকেই আমাদের সহায়তা প্রদানকারীদের মধ্যে অন্যতম তুরস্ক। প্রিয় বন্ধুর এমন বিশাল বিপর্যয়ের মুখে এখন আমরা কীভাবে চুপচাপ বসে থাকতে পারি?’ তিনি জানান, গত কয়েকদিনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে কম্বল এবং জ্যাকেট কেনা হয়েছে। নিজেদের সীমিত আর্থিক সংস্থান দিয়ে তুর্কি জনগণের জন্য সর্বোচ্চ এতটাই করতে পেরেছেন তারা। সাহাত বলেন, ‘আমরা উদ্বাস্তু, বেঁচে থাকার জন্য বেশিরভাগ অনুদান ও অন্যদের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই উপহার হল তুর্কি ভাই-বোনদের প্রতি আমাদের সীমাহীন ভালোবাসা ও সংহতির চিহ্ন।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কম্বল-জ্যাকেট পাঠাল রোহিঙ্গারা

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়টির অধিকারের প্রশ্নে বিশ্বের অন্যতম সোচ্চার কণ্ঠ তুরস্ক। বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানো প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যেও ছিল তুরস্ক। তাই তুরস্কে ভূমিকম্পের পর চুপ থাকতে পারেনি রোহিঙ্গারা। তুরস্কের ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য যথাসাধ্য ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে তারা। নিজেরা টাকা তুলে তুরস্কে ৭০০ কম্বল ও ২০০ জ্যাকেট পাঠিয়েছে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা। এটিকে তুর্কি জনগণের জন্য ‘ভালোবাসার উপহার’ হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা। সাহাত জিয়া নামে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘সংকট শুরুর পর থেকেই আমাদের সহায়তা প্রদানকারীদের মধ্যে অন্যতম তুরস্ক। প্রিয় বন্ধুর এমন বিশাল বিপর্যয়ের মুখে এখন আমরা কীভাবে চুপচাপ বসে থাকতে পারি?’ তিনি জানান, গত কয়েকদিনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে কম্বল এবং জ্যাকেট কেনা হয়েছে। নিজেদের সীমিত আর্থিক সংস্থান দিয়ে তুর্কি জনগণের জন্য সর্বোচ্চ এতটাই করতে পেরেছেন তারা। সাহাত বলেন, ‘আমরা উদ্বাস্তু, বেঁচে থাকার জন্য বেশিরভাগ অনুদান ও অন্যদের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই উপহার হল তুর্কি ভাই-বোনদের প্রতি আমাদের সীমাহীন ভালোবাসা ও সংহতির চিহ্ন।’