০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিবপুর থানা থেকে কামানের সেল গেল ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার
  • / 42

আইভি আদক, হাওড়া: গত ৫-৬ মাস আগে উদ্ধার হয়েছিল দুটি শক্তিশালী কামানের সেল। শিবপুর থানা এলাকায় জলের পাইপ লাইন তৈরির সময় উদ্ধার হয়েছিল সেল দুটি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগেকার সেল বলে দাবি গবেষক বিপ্লব রায়ের। সোমবার শিবপুর থানা থেকে কলকাতার নিয়ে যাওয়া হয় ওই সেল। জানা গিয়েছে, কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে রাখা হবে।

 

আরও পড়ুন: সোদপুর নির্যাতিতা কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খান

এবিষয়ে রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায় বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে শিবপুর থানা চত্তরে জলের লাইনের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় দু’টো লোহার বস্তু পাওয়া গিয়েছে। এই বস্তুগুলো নাড়াচাড়া করে দেখা গেল এগুলি কামানের সেল। কোন কারণে এই সেল বিস্ফোরণ ঘটেনি। ডিফিউস হয়ে গিয়েছে৷ দীর্ঘদিন মাটির তলায় পড়ে ছিল। এই খবর জানার পর থানার আধিকারিককে দরখাস্ত করি স্টেট জুডিশিয়াল মিউজিয়াম এবং রিসার্চ সেন্টারে সংরক্ষণ করার জন্য দেওয়া হোক। পুলিশ আধিকারিকের একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সুপার রাজেন্দ্র যাদবকে জানানো হয়। তিনি এই সেল প্রদর্শনের জন্য অনুমতি দেন। সেই অনুমতি পাওয়ার পর হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়। তাঁরা আমাদের হাতে সেল দুটি সেল তুলেদিয়েছেন।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় একাধিক ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত

 

আরও পড়ুন: মেয়ের মৃত্যুশোকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা হাওড়ার দম্পতির, লঞ্চ কর্মীদের চেষ্টায় উদ্ধার

তিনি আরও বলেন, সেল দুটিকে নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেনা এবং বন্দুক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করে জানা হবে এটি কোন সালে এবং কোন কোম্পানি তৈরি করেছে। গঙ্গার পাড় দিয়ে একাধিক যুদ্ধ হয়েছে, গোলাগুলি চলেছে। অনুমান প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অনেক আগের সময়ের। সেলের গায়ে ১৮ একটা সংখ্যা দেখা গিয়েছে৷ সেটিকে সাল বলে মনে হচ্ছে। সাল এবং কোম্পানির নাম জানলেই বোঝা যাবে এটা কোন সময়ের সেল। ক্যানন এবং আর্টিলারি বিশেষজ্ঞ আছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এর দিনক্ষণ, কাল জানতে পারব। এর থেকে একটা অজানা ইতিহাস বেরিয়ে আসবে। তখন জানতে পারা যাবে কেন এখানে এই কামানের গোলা ছিল।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শিবপুর থানা থেকে কামানের সেল গেল ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার

আইভি আদক, হাওড়া: গত ৫-৬ মাস আগে উদ্ধার হয়েছিল দুটি শক্তিশালী কামানের সেল। শিবপুর থানা এলাকায় জলের পাইপ লাইন তৈরির সময় উদ্ধার হয়েছিল সেল দুটি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগেকার সেল বলে দাবি গবেষক বিপ্লব রায়ের। সোমবার শিবপুর থানা থেকে কলকাতার নিয়ে যাওয়া হয় ওই সেল। জানা গিয়েছে, কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে রাখা হবে।

 

আরও পড়ুন: সোদপুর নির্যাতিতা কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খান

এবিষয়ে রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায় বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে শিবপুর থানা চত্তরে জলের লাইনের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় দু’টো লোহার বস্তু পাওয়া গিয়েছে। এই বস্তুগুলো নাড়াচাড়া করে দেখা গেল এগুলি কামানের সেল। কোন কারণে এই সেল বিস্ফোরণ ঘটেনি। ডিফিউস হয়ে গিয়েছে৷ দীর্ঘদিন মাটির তলায় পড়ে ছিল। এই খবর জানার পর থানার আধিকারিককে দরখাস্ত করি স্টেট জুডিশিয়াল মিউজিয়াম এবং রিসার্চ সেন্টারে সংরক্ষণ করার জন্য দেওয়া হোক। পুলিশ আধিকারিকের একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সুপার রাজেন্দ্র যাদবকে জানানো হয়। তিনি এই সেল প্রদর্শনের জন্য অনুমতি দেন। সেই অনুমতি পাওয়ার পর হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়। তাঁরা আমাদের হাতে সেল দুটি সেল তুলেদিয়েছেন।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় একাধিক ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত

 

আরও পড়ুন: মেয়ের মৃত্যুশোকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা হাওড়ার দম্পতির, লঞ্চ কর্মীদের চেষ্টায় উদ্ধার

তিনি আরও বলেন, সেল দুটিকে নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেনা এবং বন্দুক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করে জানা হবে এটি কোন সালে এবং কোন কোম্পানি তৈরি করেছে। গঙ্গার পাড় দিয়ে একাধিক যুদ্ধ হয়েছে, গোলাগুলি চলেছে। অনুমান প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অনেক আগের সময়ের। সেলের গায়ে ১৮ একটা সংখ্যা দেখা গিয়েছে৷ সেটিকে সাল বলে মনে হচ্ছে। সাল এবং কোম্পানির নাম জানলেই বোঝা যাবে এটা কোন সময়ের সেল। ক্যানন এবং আর্টিলারি বিশেষজ্ঞ আছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এর দিনক্ষণ, কাল জানতে পারব। এর থেকে একটা অজানা ইতিহাস বেরিয়ে আসবে। তখন জানতে পারা যাবে কেন এখানে এই কামানের গোলা ছিল।