১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মস্তিষ্কের ঘিলু পাওয়া যায়নি, মাথা ফেটে চৌচির, শরীরে ৪০টি আঘাত! অঞ্জলির ময়নাতদন্তে দুর্ঘটনার বীভৎসতা সামনে এল  

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 13
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে অঞ্জলি সিংহের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দুর্ঘটনার বীভৎসতা সামনে এল। মৌলানা আজাদ কলেজে অঞ্জলির দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অঞ্জলিকে রাস্তায় যেভাবে টেনে হিঁচড়ে আনা হয়েছিল সেখানে তার মাথা ফেটে টুকরো হয়ে গিয়েছিল।   ময়নাতদন্তের সময় তাঁর মস্তিষ্কের ঘিলু পাওয়া যায়নি। ভেঙে টুকরো হয়েছিল তাঁর খুলি।
শিরদাঁড়া, শরীরে মোট ৪০টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পিঠ এতটাই ঘষটে গিয়েছিল যে তাঁর পাঁজর বেরিয়ে এসেছিল। তাঁর পাঁজরের  হাড়েও ঘষা লাগার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
পিঠের দিক থেকে বেরিয়ে এসেছিল  ফুসফুসও বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাঁর শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছিল। দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে অঞ্জলির ময়নাতদন্ত হয়েছে। আট পাতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অঞ্জলির শরীরে মোট ৪০টি আঘাত ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি আঘাত অত্যন্ত গুরুতর, মৃত্যুর আগে যেমন  অনেক আঘাত লাগে শরীরে,  তেমনই মৃত্যুর পরেও আঘাত লাগার প্রমাণ মিলেছে। শক ও হেমারেজের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে অঞ্জলি সিংয়ের দেহের ময়নাতদন্ত করেন।
দিল্লির এই নারকীয় কাণ্ডে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, বর্ষবরণের রাতে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পার্টিতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন অঞ্জলি। স্কুটিতে তার সঙ্গে ছিলেন সহযাত্রী বান্ধবী নিধি। একটা মোড় পার করতেই পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। রাস্তায় ছিটকে পড়েন দুজনেই। নিধি কোনও রকমে নিজেকে বাঁচাতে পারলেও অঞ্জলির পা আটকে যায় ঘাতক গাড়িটির চাকার সামনে। ওই অবস্থায় ১২ কিলোমিটার পথ অঞ্জলিকে টেনে নিয়ে যায় গাড়িটি। ইউ টার্ন নিতে গিয়ে অঞ্জলির দেহ তাদের নজরে আসে, তখনই তারা রাস্তায় দেহ ফেলে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার বছর ২০-র অঞ্জলি সিংয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মস্তিষ্কের ঘিলু পাওয়া যায়নি, মাথা ফেটে চৌচির, শরীরে ৪০টি আঘাত! অঞ্জলির ময়নাতদন্তে দুর্ঘটনার বীভৎসতা সামনে এল  

আপডেট : ৪ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে অঞ্জলি সিংহের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দুর্ঘটনার বীভৎসতা সামনে এল। মৌলানা আজাদ কলেজে অঞ্জলির দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অঞ্জলিকে রাস্তায় যেভাবে টেনে হিঁচড়ে আনা হয়েছিল সেখানে তার মাথা ফেটে টুকরো হয়ে গিয়েছিল।   ময়নাতদন্তের সময় তাঁর মস্তিষ্কের ঘিলু পাওয়া যায়নি। ভেঙে টুকরো হয়েছিল তাঁর খুলি।
শিরদাঁড়া, শরীরে মোট ৪০টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পিঠ এতটাই ঘষটে গিয়েছিল যে তাঁর পাঁজর বেরিয়ে এসেছিল। তাঁর পাঁজরের  হাড়েও ঘষা লাগার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
পিঠের দিক থেকে বেরিয়ে এসেছিল  ফুসফুসও বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাঁর শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছিল। দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে অঞ্জলির ময়নাতদন্ত হয়েছে। আট পাতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অঞ্জলির শরীরে মোট ৪০টি আঘাত ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি আঘাত অত্যন্ত গুরুতর, মৃত্যুর আগে যেমন  অনেক আঘাত লাগে শরীরে,  তেমনই মৃত্যুর পরেও আঘাত লাগার প্রমাণ মিলেছে। শক ও হেমারেজের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে অঞ্জলি সিংয়ের দেহের ময়নাতদন্ত করেন।
দিল্লির এই নারকীয় কাণ্ডে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, বর্ষবরণের রাতে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পার্টিতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন অঞ্জলি। স্কুটিতে তার সঙ্গে ছিলেন সহযাত্রী বান্ধবী নিধি। একটা মোড় পার করতেই পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। রাস্তায় ছিটকে পড়েন দুজনেই। নিধি কোনও রকমে নিজেকে বাঁচাতে পারলেও অঞ্জলির পা আটকে যায় ঘাতক গাড়িটির চাকার সামনে। ওই অবস্থায় ১২ কিলোমিটার পথ অঞ্জলিকে টেনে নিয়ে যায় গাড়িটি। ইউ টার্ন নিতে গিয়ে অঞ্জলির দেহ তাদের নজরে আসে, তখনই তারা রাস্তায় দেহ ফেলে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার বছর ২০-র অঞ্জলি সিংয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসে।