১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশুর মস্তিষ্কে ভ্রুণ!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 26

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এক বছরের শিশুর মস্তিষ্কে জীবিত ভ্রূণ! শুনতে অদ্ভুত ও অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই ঘটেছে চিনের সাংহাই শহরে। শহরেরই  এক শিশুর মোটর ফাংশনে অর্থাৎ, চলাফেরা বা প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। অনেক কাজ সে ঠিক মতো করতে পারছিল না। সেই সঙ্গে তার মাথা আকারও ক্রমে বড় হয়ে যাচ্ছিল।

চিন্তিত বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। পরীক্ষার পর দেখা যায়, শিশুর মস্তিষ্কে যমজ ভ্রুণ রয়েছে এবং তারা জীবিত! পরে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে শিশুর মস্তিষ্ক থেকে ভ্রূণটিকে বের করে আনেন। সম্প্রতি, নিউরোলজি জার্নালে এই অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ পায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি একটি বিরল ঘটনা।

চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলে ‘ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার ফিটাস-ইন-ফেটু’। আসলে গর্ভাবস্থার শুরুতেই এই ফিটাস-ইন-ফেটু বা ভ্রূণের মধ্যে ভ্রূণ সৃষ্টি হয়। শিশুদেহে অবিরাম রক্ত সরবরাহের কারণে, তার শরীরে থাকা ভ্রূণটিও জীবিত থাকে। তবে তার আর বিকাশ ঘটে না। এই ক্ষেত্রেই তাই ঘটেছে। এ কারণে অনেকে ফিটাস-ইন-ফেটুকে ‘পরজীবী যমজ’ বলে থাকেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শিশুর মস্তিষ্কে ভ্রুণ!

আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এক বছরের শিশুর মস্তিষ্কে জীবিত ভ্রূণ! শুনতে অদ্ভুত ও অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই ঘটেছে চিনের সাংহাই শহরে। শহরেরই  এক শিশুর মোটর ফাংশনে অর্থাৎ, চলাফেরা বা প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। অনেক কাজ সে ঠিক মতো করতে পারছিল না। সেই সঙ্গে তার মাথা আকারও ক্রমে বড় হয়ে যাচ্ছিল।

চিন্তিত বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। পরীক্ষার পর দেখা যায়, শিশুর মস্তিষ্কে যমজ ভ্রুণ রয়েছে এবং তারা জীবিত! পরে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে শিশুর মস্তিষ্ক থেকে ভ্রূণটিকে বের করে আনেন। সম্প্রতি, নিউরোলজি জার্নালে এই অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ পায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি একটি বিরল ঘটনা।

চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলে ‘ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার ফিটাস-ইন-ফেটু’। আসলে গর্ভাবস্থার শুরুতেই এই ফিটাস-ইন-ফেটু বা ভ্রূণের মধ্যে ভ্রূণ সৃষ্টি হয়। শিশুদেহে অবিরাম রক্ত সরবরাহের কারণে, তার শরীরে থাকা ভ্রূণটিও জীবিত থাকে। তবে তার আর বিকাশ ঘটে না। এই ক্ষেত্রেই তাই ঘটেছে। এ কারণে অনেকে ফিটাস-ইন-ফেটুকে ‘পরজীবী যমজ’ বলে থাকেন।