১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অননুমোদিত  মাদ্রাসার  সংখ্যা নির্ণয়ে সমীক্ষার নির্দেশ  ইউপি সরকারের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 15

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  উত্তরপ্রদেশ সরকার   অননুমোদিত  মাদ্রাসার  সংখ্যা নির্ণয়ে সমীক্ষার নির্দেশ দিল।  সেই মাদ্রাসায় শিক্ষকের সংখ্যা, পাঠ্যক্রম এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে রাজ্যের স্বীকৃতিবীহীন মাদ্রাসাগুলিতে একটি সমীক্ষা চালানোর ঘোষণা করেছে যোগী সরকার।

ইউপির সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দ্যানিশ আজাদ আনসারি  বলেছেন,মাদ্রাসাগুলিতে ছাত্রদের মৌলিক সুবিধার প্রাপ্যতার সঙ্গে এই সম্পর্কিত শিশু অধিকার সুরক্ষা, জাতীয় কমিশনের প্রয়োজন অনুসারে রাজ্য সরকার সমীক্ষাটি পরিচালনা করবে। “শীঘ্রই জরিপ শুরু হবে,” বলেছেন মন্ত্রী। জরিপকালে মাদ্রাসার নাম ও প্রতিষ্ঠানের নাম, এটি বেসরকারি বা ভাড়া করা ভবনে চলছে কিনা, সেখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পানীয় জল, আসবাবপত্র, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং টয়লেটের সুবিধা সংক্রান্ত তথ্যের মতো বিবরণ সংগ্রহ করা হবে বলে   মন্ত্রী জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ২০২২ সালে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ট্রায়াল কোর্ট: সমীক্ষা

দ্যানিশ আনসারি বলেন, মাদ্রাসায় শিক্ষকের সংখ্যা, এর পাঠ্যক্রম, আয়ের উৎস এবং কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করা হবে বলে জানান তিনি। এই সমীক্ষার পরে রাজ্য সরকার নতুন মাদ্রাসাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন যে বর্তমানে সরকারের লক্ষ্য কেবলমাত্র স্বীকৃতবিহীন মাদ্রাসাগুলির তথ্য সংগ্রহ করা।

আরও পড়ুন: আবাস যোজনা নিয়ে আরও কড়া নবান্ন, ১৫ শতাংশের কম উপভোক্তার নাম বাদ পড়লেই আবার সমীক্ষা

উল্লেখ্য যে বর্তমানে উত্তর প্রদেশে মোট ১৬,৪৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে, যার মধ্যে ৫৬০টি সরকারি অনুদান দেওয়া হয়। রাজ্যে গত ছয় বছর ধরে অনুদানের তালিকায় নতুন মাদ্রাসা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। মন্ত্রী বলেন, বুধবার জারি করা আদেশ অনুযায়ী মাদ্রাসাগুলোতে বিতর্কিত ব্যবস্থাপনা কমিটি বা কমিটির কোনো সদস্য না থাকলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ কর্মকর্তা নির্ভরশীল কোটা থেকে নিয়োগ দিতে পারবেন। আগে ম্যানেজিং কমিটিতে কোন  শিক্ষক-শিক্ষিকার  মৃত্যু হলে মৃত ব্যক্তির আশ্রিতদের চাকরি পেতে অসুবিধায় পড়তে হতো।

আরও পড়ুন:  বুথ ফেরত সমীক্ষায় গুজরাত, হিমাচলে পদ্ম, দিল্লি আপের

আনসারি বলেন, এখন সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার পরিচালকদের সম্মতিতে এবং রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের রেজিস্ট্রারের অনুমোদন নিয়ে তাদের বদলি করা যাবে।

অননুমোদিত মাদ্রাসার সমীক্ষা প্রসঙ্গে  হায়দরাবাদের সাংসদ  আসাউদ্দিন ওয়াইসি  বলেছেন, ইউপি সরকারের এমন আদেশ জারি করা উচিত যে সে রাজ্যে কোন মুসলমান থাকবে না। তিনি আরও বলেন, এটি একটি ছোট এনআরসির মতো সিদ্ধান্ত। ওয়াইসি বলেন, যে মাদ্রাসাগুলিতে সরকার সাহায্য বা সহায়তা দেয় না, সেগুলির তদন্ত করার অধিকার তাদের নেই।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অননুমোদিত  মাদ্রাসার  সংখ্যা নির্ণয়ে সমীক্ষার নির্দেশ  ইউপি সরকারের

আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  উত্তরপ্রদেশ সরকার   অননুমোদিত  মাদ্রাসার  সংখ্যা নির্ণয়ে সমীক্ষার নির্দেশ দিল।  সেই মাদ্রাসায় শিক্ষকের সংখ্যা, পাঠ্যক্রম এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে রাজ্যের স্বীকৃতিবীহীন মাদ্রাসাগুলিতে একটি সমীক্ষা চালানোর ঘোষণা করেছে যোগী সরকার।

ইউপির সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দ্যানিশ আজাদ আনসারি  বলেছেন,মাদ্রাসাগুলিতে ছাত্রদের মৌলিক সুবিধার প্রাপ্যতার সঙ্গে এই সম্পর্কিত শিশু অধিকার সুরক্ষা, জাতীয় কমিশনের প্রয়োজন অনুসারে রাজ্য সরকার সমীক্ষাটি পরিচালনা করবে। “শীঘ্রই জরিপ শুরু হবে,” বলেছেন মন্ত্রী। জরিপকালে মাদ্রাসার নাম ও প্রতিষ্ঠানের নাম, এটি বেসরকারি বা ভাড়া করা ভবনে চলছে কিনা, সেখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পানীয় জল, আসবাবপত্র, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং টয়লেটের সুবিধা সংক্রান্ত তথ্যের মতো বিবরণ সংগ্রহ করা হবে বলে   মন্ত্রী জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ২০২২ সালে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ট্রায়াল কোর্ট: সমীক্ষা

দ্যানিশ আনসারি বলেন, মাদ্রাসায় শিক্ষকের সংখ্যা, এর পাঠ্যক্রম, আয়ের উৎস এবং কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করা হবে বলে জানান তিনি। এই সমীক্ষার পরে রাজ্য সরকার নতুন মাদ্রাসাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন যে বর্তমানে সরকারের লক্ষ্য কেবলমাত্র স্বীকৃতবিহীন মাদ্রাসাগুলির তথ্য সংগ্রহ করা।

আরও পড়ুন: আবাস যোজনা নিয়ে আরও কড়া নবান্ন, ১৫ শতাংশের কম উপভোক্তার নাম বাদ পড়লেই আবার সমীক্ষা

উল্লেখ্য যে বর্তমানে উত্তর প্রদেশে মোট ১৬,৪৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে, যার মধ্যে ৫৬০টি সরকারি অনুদান দেওয়া হয়। রাজ্যে গত ছয় বছর ধরে অনুদানের তালিকায় নতুন মাদ্রাসা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। মন্ত্রী বলেন, বুধবার জারি করা আদেশ অনুযায়ী মাদ্রাসাগুলোতে বিতর্কিত ব্যবস্থাপনা কমিটি বা কমিটির কোনো সদস্য না থাকলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ কর্মকর্তা নির্ভরশীল কোটা থেকে নিয়োগ দিতে পারবেন। আগে ম্যানেজিং কমিটিতে কোন  শিক্ষক-শিক্ষিকার  মৃত্যু হলে মৃত ব্যক্তির আশ্রিতদের চাকরি পেতে অসুবিধায় পড়তে হতো।

আরও পড়ুন:  বুথ ফেরত সমীক্ষায় গুজরাত, হিমাচলে পদ্ম, দিল্লি আপের

আনসারি বলেন, এখন সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার পরিচালকদের সম্মতিতে এবং রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের রেজিস্ট্রারের অনুমোদন নিয়ে তাদের বদলি করা যাবে।

অননুমোদিত মাদ্রাসার সমীক্ষা প্রসঙ্গে  হায়দরাবাদের সাংসদ  আসাউদ্দিন ওয়াইসি  বলেছেন, ইউপি সরকারের এমন আদেশ জারি করা উচিত যে সে রাজ্যে কোন মুসলমান থাকবে না। তিনি আরও বলেন, এটি একটি ছোট এনআরসির মতো সিদ্ধান্ত। ওয়াইসি বলেন, যে মাদ্রাসাগুলিতে সরকার সাহায্য বা সহায়তা দেয় না, সেগুলির তদন্ত করার অধিকার তাদের নেই।