১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুপেয় জল পাচ্ছে না বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 19

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্বে প্রতিনিয়ত কমছে নিরাপদ জলের উৎস। পাশাপাশি কমছে নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ২৩০ কোটি মানুষের সুপেয় জলের অভাব রয়েছে। আর বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষের নেই নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতি উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। অনিরাপদ জলের প্রভাব ঠেকাতে প্রতিবছর বৈশ্বিক ব্যয় হচ্ছে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গত শুক্রবার রাতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা  হয়।

আরও পড়ুন: বারে নয়, বাড়িতে বসে মদ খান! নয়া আবগারি নীতি মধ্যপ্রদেশ সরকারের

সংস্থাটি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে খরা ও বন্যা জলের সমস্যাকে আরো জটিল করে তুলেছে। বর্তমানে জরুরিভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ জন্য বিশ্ববাসীকে এক হতে হবে।

আরও পড়ুন: মদ খেলে তো মরবেই; বিষমদে ৩৮ মৃত্যু নিয়ে  অকপট জবাব নীতীশের

ইয়েমেনের উদাহরণ টেনে বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, ইয়েমেনের অসংখ্য গ্রামে মৌলিক পরিষেবার অভাব রয়েছে। সেখানে নিরাপদ জলের অভাব সবচেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন: মদ ছাড়লেই মিলবে স্কলারশিপ! জেনে নিন কোথায়

দেশটির জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশের বেশি (প্রায় ১৮ মিলিয়ন) মানুষ নিরাপদ জল এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে রয়েছে। ইয়েমেনের আল-আদন, আল-আনিন ও হাওফ—এই তিনটি গ্রামে জলের অভাব নিরসনে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। সেখানে কিভাবে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে অর্থায়ন করেছে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক জানায়, নিরাপদ জল ও স্যানিটেশনের অভাব মানবজাতিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। ২০১৯ সালে ডায়রিয়াজনিত রোগ ছিল মৃত্যুর অষ্টম কারণ। অভিযোগ উঠেছে, ২০১৯ সালে বিশ্বে নিরাপদ জল ও নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে ১৫ লাখ মানুষ মারা গেছে। বিশেষ করে মহিলা ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েশিশুদের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে।

সংস্থাটি বলেছে, কৃষিকাজের জন্য জল অপরিহার্য। সুপেয় পানির জন্য এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলে তিন বিলিয়ন ডলার রিটার্ন আসে। গ্রামীণ এলাকায় জলের জন্য বিনিয়োগ করলে আরো বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। সর্বোপরি স্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক ফল পেতে বিশুদ্ধ জল, নিরাপদ স্যানিটেশন ও ভালো স্বাস্থ্যবিধি দরকার। 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুপেয় জল পাচ্ছে না বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্বে প্রতিনিয়ত কমছে নিরাপদ জলের উৎস। পাশাপাশি কমছে নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ২৩০ কোটি মানুষের সুপেয় জলের অভাব রয়েছে। আর বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষের নেই নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতি উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। অনিরাপদ জলের প্রভাব ঠেকাতে প্রতিবছর বৈশ্বিক ব্যয় হচ্ছে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গত শুক্রবার রাতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা  হয়।

আরও পড়ুন: বারে নয়, বাড়িতে বসে মদ খান! নয়া আবগারি নীতি মধ্যপ্রদেশ সরকারের

সংস্থাটি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে খরা ও বন্যা জলের সমস্যাকে আরো জটিল করে তুলেছে। বর্তমানে জরুরিভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ জন্য বিশ্ববাসীকে এক হতে হবে।

আরও পড়ুন: মদ খেলে তো মরবেই; বিষমদে ৩৮ মৃত্যু নিয়ে  অকপট জবাব নীতীশের

ইয়েমেনের উদাহরণ টেনে বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, ইয়েমেনের অসংখ্য গ্রামে মৌলিক পরিষেবার অভাব রয়েছে। সেখানে নিরাপদ জলের অভাব সবচেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন: মদ ছাড়লেই মিলবে স্কলারশিপ! জেনে নিন কোথায়

দেশটির জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশের বেশি (প্রায় ১৮ মিলিয়ন) মানুষ নিরাপদ জল এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে রয়েছে। ইয়েমেনের আল-আদন, আল-আনিন ও হাওফ—এই তিনটি গ্রামে জলের অভাব নিরসনে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। সেখানে কিভাবে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে অর্থায়ন করেছে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক জানায়, নিরাপদ জল ও স্যানিটেশনের অভাব মানবজাতিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। ২০১৯ সালে ডায়রিয়াজনিত রোগ ছিল মৃত্যুর অষ্টম কারণ। অভিযোগ উঠেছে, ২০১৯ সালে বিশ্বে নিরাপদ জল ও নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে ১৫ লাখ মানুষ মারা গেছে। বিশেষ করে মহিলা ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েশিশুদের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে।

সংস্থাটি বলেছে, কৃষিকাজের জন্য জল অপরিহার্য। সুপেয় পানির জন্য এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলে তিন বিলিয়ন ডলার রিটার্ন আসে। গ্রামীণ এলাকায় জলের জন্য বিনিয়োগ করলে আরো বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। সর্বোপরি স্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক ফল পেতে বিশুদ্ধ জল, নিরাপদ স্যানিটেশন ও ভালো স্বাস্থ্যবিধি দরকার।