০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যসচেতন, গহনাপ্রিয় মানুষের আড়ালে ছিলেন আলাদা ব্যক্তিত্ব, রাজপরিবারের রীতি ভেঙে রানি যোগ দেন পুরনো ভৃত্যের শেষকৃত্যে  

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 17

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বৈচিত্র্যময় জীবনের আড়ালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন এক অন্য চরিত্রের মানুষ। বরাবরই ছক ভাঙতে পছন্দ করতেন তিনি। তাঁর ৪০ বছরের পুরনো ভৃত্যের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন রানি। খেতে ভালোবাসতেন ডার্ক চকোলেট। নিজেকে সাজাতে ভালোবাসতেন গয়না দিয়ে। রত্নখচিত গয়না শোভা পেত রানির শরীরে। এর মধ্যেই আছেই কোহিনূর বসানো বহু চর্চিত হীরের কথা। বিতর্কিত মুকুটের অধিকার কে পাবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।

স্বাস্থ্যসচেতন, গহনাপ্রিয় মানুষের আড়ালে ছিলেন আলাদা ব্যক্তিত্ব, রাজপরিবারের রীতি ভেঙে রানি যোগ দেন পুরনো ভৃত্যের শেষকৃত্যে  

আরও পড়ুন: Pope Francis funeral: বিশ্ব নেতারা জড়ো হচ্ছেন ভ্যাটিকানে

তবে চলতি বছরের শুরুতে রানি এলিজাবেথের ঘোষণা অনুযায়ী, তাঁর অবর্তমানে কোহিনূর বসানো মুকুট উঠবে চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলার মাথায়। এছাড়াও বহু মূল্যে গয়না রয়েছে রানীর সংগ্রহে। ১২০০ বছরেরও বেশি পুরনো রাজতন্ত্রে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ উত্তরাধিকার সূত্রে অসাধারণ এবং অমূল্য কিছু গয়না পেয়েছিলেন। প্রতিটি গয়নায় জড়িয়ে রয়েছে বহু বছরেরে ইতিহাস এবং ঐতিহ্য।

আরও পড়ুন: প্রকাশ সিং বাদলের মৃত্যুতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, শেষকৃত্যে মোদি

রানির ব্যক্তিগত গয়নার সংগ্রহে থাকা এই মুকুটটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। ২৮৬৮টি হিরে, রুপো, ১৭টি নীলকান্তমণি, ১১টি পান্না এবং ২৬৯টি মুক্তো তৈরি হয়েছে এই মুকুট। ১ জানুয়ারি, ১৯৮৬ সালে রাজ্যভিষেকের দিন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এই মুকুটটি মাথায় পরেছিলেন। ব্রিটেনের সিংহাসনের বসার সময় দেশবাসী তাকে উপহার দিয়েছিল বহুমূল্য অ্যাকোমেরিন দিয়ে তৈরি কানের দুল। ১৯৮৬ সালে ১৫ অক্টোবরের শেষবার গয়নাটি পরে ছিলেন রানি।

আরও পড়ুন: ঘরের মাঠেই হবে বিশ্বজয়ীর শেষকৃত্য

স্বাস্থ্যসচেতন, গহনাপ্রিয় মানুষের আড়ালে ছিলেন আলাদা ব্যক্তিত্ব, রাজপরিবারের রীতি ভেঙে রানি যোগ দেন পুরনো ভৃত্যের শেষকৃত্যে  

স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। খাদ্যতালিকাও ছিল রাজসিক।  ভালোবাসতেন ডার্ক চকোলেট। তবে  মিল্ক বা হোয়াইট চকোলেট ছিল  তাঁর অপছন্দের তালিকায়৷ রোজ সকালে পান  করতেন ‘আর্ল গ্রে চা’। সেই চা’য়ে চিনি বা দুধ, কিছুই থাকত না৷ এই চা দাঁত ও মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখে৷ প্রাতঃরাশে বিশেষ ধরনের সিরিয়েল খেতেন রানি৷

মধ্যাহ্নভোজে মাছ এবং শাকসবজি ছিল তাঁর পছন্দের৷ রাতের খাবারে তাঁর প্রিয় ডিশ ছিল রোস্টেড বিফ, ল্যাম্ব কিংবা স্যামন মাছ। এছাড়াও বিফ ফিলে এবং হরিণের মাংস খেতে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি৷ বাকিংহাম প্যালেস, উইন্ডসোর প্যালেস এবং বালমোরাল প্যালেসের বাগানের সবজিই রানির পছন্দের তালিকায় ছিল প্রথম। দিনে চারবার মদ্যপানের অভ্যাস ছিল৷ তাঁর পছন্দের সুরায় বিশেষ জায়গা ছিল জিনের৷

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বাস্থ্যসচেতন, গহনাপ্রিয় মানুষের আড়ালে ছিলেন আলাদা ব্যক্তিত্ব, রাজপরিবারের রীতি ভেঙে রানি যোগ দেন পুরনো ভৃত্যের শেষকৃত্যে  

আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বৈচিত্র্যময় জীবনের আড়ালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন এক অন্য চরিত্রের মানুষ। বরাবরই ছক ভাঙতে পছন্দ করতেন তিনি। তাঁর ৪০ বছরের পুরনো ভৃত্যের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন রানি। খেতে ভালোবাসতেন ডার্ক চকোলেট। নিজেকে সাজাতে ভালোবাসতেন গয়না দিয়ে। রত্নখচিত গয়না শোভা পেত রানির শরীরে। এর মধ্যেই আছেই কোহিনূর বসানো বহু চর্চিত হীরের কথা। বিতর্কিত মুকুটের অধিকার কে পাবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।

স্বাস্থ্যসচেতন, গহনাপ্রিয় মানুষের আড়ালে ছিলেন আলাদা ব্যক্তিত্ব, রাজপরিবারের রীতি ভেঙে রানি যোগ দেন পুরনো ভৃত্যের শেষকৃত্যে  

আরও পড়ুন: Pope Francis funeral: বিশ্ব নেতারা জড়ো হচ্ছেন ভ্যাটিকানে

তবে চলতি বছরের শুরুতে রানি এলিজাবেথের ঘোষণা অনুযায়ী, তাঁর অবর্তমানে কোহিনূর বসানো মুকুট উঠবে চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলার মাথায়। এছাড়াও বহু মূল্যে গয়না রয়েছে রানীর সংগ্রহে। ১২০০ বছরেরও বেশি পুরনো রাজতন্ত্রে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ উত্তরাধিকার সূত্রে অসাধারণ এবং অমূল্য কিছু গয়না পেয়েছিলেন। প্রতিটি গয়নায় জড়িয়ে রয়েছে বহু বছরেরে ইতিহাস এবং ঐতিহ্য।

আরও পড়ুন: প্রকাশ সিং বাদলের মৃত্যুতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, শেষকৃত্যে মোদি

রানির ব্যক্তিগত গয়নার সংগ্রহে থাকা এই মুকুটটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। ২৮৬৮টি হিরে, রুপো, ১৭টি নীলকান্তমণি, ১১টি পান্না এবং ২৬৯টি মুক্তো তৈরি হয়েছে এই মুকুট। ১ জানুয়ারি, ১৯৮৬ সালে রাজ্যভিষেকের দিন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এই মুকুটটি মাথায় পরেছিলেন। ব্রিটেনের সিংহাসনের বসার সময় দেশবাসী তাকে উপহার দিয়েছিল বহুমূল্য অ্যাকোমেরিন দিয়ে তৈরি কানের দুল। ১৯৮৬ সালে ১৫ অক্টোবরের শেষবার গয়নাটি পরে ছিলেন রানি।

আরও পড়ুন: ঘরের মাঠেই হবে বিশ্বজয়ীর শেষকৃত্য

স্বাস্থ্যসচেতন, গহনাপ্রিয় মানুষের আড়ালে ছিলেন আলাদা ব্যক্তিত্ব, রাজপরিবারের রীতি ভেঙে রানি যোগ দেন পুরনো ভৃত্যের শেষকৃত্যে  

স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। খাদ্যতালিকাও ছিল রাজসিক।  ভালোবাসতেন ডার্ক চকোলেট। তবে  মিল্ক বা হোয়াইট চকোলেট ছিল  তাঁর অপছন্দের তালিকায়৷ রোজ সকালে পান  করতেন ‘আর্ল গ্রে চা’। সেই চা’য়ে চিনি বা দুধ, কিছুই থাকত না৷ এই চা দাঁত ও মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখে৷ প্রাতঃরাশে বিশেষ ধরনের সিরিয়েল খেতেন রানি৷

মধ্যাহ্নভোজে মাছ এবং শাকসবজি ছিল তাঁর পছন্দের৷ রাতের খাবারে তাঁর প্রিয় ডিশ ছিল রোস্টেড বিফ, ল্যাম্ব কিংবা স্যামন মাছ। এছাড়াও বিফ ফিলে এবং হরিণের মাংস খেতে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি৷ বাকিংহাম প্যালেস, উইন্ডসোর প্যালেস এবং বালমোরাল প্যালেসের বাগানের সবজিই রানির পছন্দের তালিকায় ছিল প্রথম। দিনে চারবার মদ্যপানের অভ্যাস ছিল৷ তাঁর পছন্দের সুরায় বিশেষ জায়গা ছিল জিনের৷