পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সিংহাসনে বসছেন তাঁর পুত্র প্রিন্স চার্লস। ৭৩ বছর বয়সে সিংহাসনে বসবেন তিনি। গোটা বিশ্বের কাছে তিনি পরিচিত হবেন তৃতীয় চার্লস নামে।

গতকাল রাতেই বাকিংহাম প্যালেস থেকে এক বিবৃতি দিয়ে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়। সূত্রের খবর, ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে রানির রাষ্ট্রীয়  অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। তবে সঠিক দিনটি বাকিংহাম প্যালেস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে।

অ্যাবি হল হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক গির্জা যেখানে ব্রিটেনের রাজা-রানিদের  মুকুট পরিয়ে সিংহাসনে অভিষেক করানো হয়। আবার রানির সিংহাসনে অভিষেক ও বিয়ের অনুষ্ঠানও সেখানেই হয়েছিল।  অষ্টাদশ শতক থেকে অ্যাবিতে কোনও রাজার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়নি। তবে ২০০২ সালে সেখানে রানির মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এখানে সম্পন্ন হয়েছিল। ব্রিটিশ রাজপরিবারের শেষ যে সদস্যে রানির মা অর্থাৎ কুইন মাদারের মরদেহবাহী কফিন গ্র্যান্ড হলে  শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়েছিল।

রানির কফিন লন্ডনে আসার পর শেষকৃত্যের আগে তাঁর দেহ প্রায় চার দিন ওয়েস্টমিনস্টার হলে শায়িত থাকবেন। এসময় জনসাধারণ পাশ দিয়ে হেঁটে শ্রদ্ধা  নিবেদন করতে পারবে।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিতে বিশ্বজুড়ে বহু দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা আসবেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিনের শুরুতে রানির কফিনটি নৌবাহিনীর সামরিক শকটে করে ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

রানির কফিনটি একাদশ শতকে তৈরি গ্র্যান্ড হলের প্রাচীন কাঠের ছাদের নিচে একটি উঁচু প্ল্যাটফর্মে রাখা হবে যা ‘ক্যাটাফাল্ক’ নামে পরিচিত। প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি কোণে থাকবে রাজপরিবারকে সেবা দেওয়া ইউনিটের সেনাদের পাহারা।

রাজপরিবারের নিয়ম অনুযায়ী বাকিংহাম প্যালেস থেকে রানির কফিন  ওয়েস্টমিনস্টার হলে আনা হবে। সেই সঙ্গে চলবে সামরিক কুচকাওয়াজ। মিছিলে থাকবেন রাজপরিবারের সদস্যরা। মিছিলটি বিভিন্ন রাস্তার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ মানুষও তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় পাবে। অনুষ্ঠানগুলো সম্প্রচারের জন্য লন্ডনের রয়্যাল পার্কগুলোতে বড় পর্দা বসানো হতে পারে। রানির কফিনটি রাজকীয় পতাকায় মোড়ানো থাকবে। ওয়েস্টমিনস্টার হলে পৌঁছানোর পর কফিনের ওপর মুকুট,  রাজদণ্ড ও অরব (গোলাকার প্রতীক) রাখা হবে।

কফিন হলের ভেতরে স্থাপন করার পর একটি সংক্ষিপ্ত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এর পরে জনসাধারণকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।