মন্দিরে আগত প্রত্যককে দেয়া হবে একটা করে গামছা
digha jagannath dham: আর কিছুক্ষণ পরেই প্রতীক্ষার অবসান. উদ্বোধন হবে দিঘা জগন্নাথ মন্দির

- আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 117
digha jagannath dham তদারকিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই
আবদুল ওদুদ, দিঘাঃ digha jagannath dham… আজ বিকেল চারটেয় প্রতীক্ষার অবসান। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটেয় মাহেন্দ্রক্ষণে সেই যজ্ঞে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই আহুতি দেবেন। চলবে আরও আচার-উপাচার। আর অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার। জানা গিয়েছে মহাযজ্ঞে ব্যবহার করা হচ্ছে ১০০ কুইন্টাল আম ও বেল কাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি। যজ্ঞকুণ্ডে কলস স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন তীর্থস্থান থেকে মঙ্গল কলসে আনা হয়েছে জল।
৫৬ ভোগ-প্রসাদ দেওয়া হবে জগন্নাথকে। সেজে উঠেছে দিঘা।আলোকমালায় ভেসেছে জগন্নাথ মন্দির। চারদিকে বেজে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা, ইন্দ্রনীল সেনের গাওয়া জগন্নাথের গান – ‘তোমায় মোদের আস্থা, তোমায় মোদের বিশ্বাস, তোমায় ভালবাসা। পুণ্য করো, পুণ্য করো, পুণ্য করো। ধরায় এসো, ভালবাসো। কলকাতা থেকে দিঘা পর্যন্ত ১৮৫ কিলোমিটার পথে অসংখ্য তোরণ। সেখানে জগন্নাথ ও মন্দিরের ছবি। উৎসাহীদের ভিড় লেগেই রয়েছে (digha jagannath dham)।
Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের
কিন্তু মঙ্গলবার থেকে যে ভিড় আরও বিপুল হারে বাড়বে, তা নিয়ে প্রশ্ন নেই। বাংলার বুকে এটি মেগা আন্তর্জাতিক ইভেন্ট। তার বিপুল আয়োজনেও কোনও ঘাটতি নেই। গোটা বিষয়টির তদারকিতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক হয়েছে, বুধবার যাঁরা মন্দিরে যাবেন তাঁদের গরমে যাতে কষ্ট না হয়, তাই গামছা দেওয়া হবে। প্রথমে ১২ হাজার গামছার আয়োজন থাকলেও পরে ঠিক হয়, ২২ হাজার গামছা দেওয়া হবে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন যাতে কোনও সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয়। তাই অতিথি আপ্যায়ন থেকে গাড়ি পার্কিংয়ের খুঁটিনাটি – সবটাই তিনি খতিয়ে দেখেছেন।
মন্দিরের (digha jagannath dham) একপাশে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, আরেকপাশে ভিডিও দিয়ে দেখানো হবে। সামনের চাতালে রয়েছে ভক্তদের বসার আয়োজন। সেই সবই খুঁটিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, পুলক রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী। রয়েছেন হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, ডিজিপি রাজীব কুমার ছাড়াও নিরাপত্তা বিষয়ক ডিজি। কার্যত ব্যস্ত প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কারও যেন কোনও সমস্যা না হয়।