Eid ul-Fitr-র দিনও গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ২০

- আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৫, রবিবার
- / 134
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সারা বিশ্ব যখন ঈদ-উল-ফিতরের (Eid ul-Fitr) আনন্দে মাতোয়ারা, তখন গাজার আকাশে বোমার গর্জন, বাতাসে কান্নার শব্দ। দখলদার ইসরাইলের হামলা থেকে মুক্তি মিলছে না ঈদের দিনও। ঈদের দিনে যেখানে মুসলিমদের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ থাকার কথা, সেখানে গাজার শিশুদের শরীরে নতুন পোশাকের বদলে জখমের চিহ্ন। অনাহার আর আতঙ্কে কাটছে তাদের দিন। ভোর থেকে দখলদার বাহিনীর বিমান ও কামানের গোলাবর্ষণে গাজার বিভিন্ন এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রবিবার ঈদের (Eid ul-Fitr) সকালে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন শিশু রয়েছে। তারা জানিয়েছে, আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত তিন কন্যা শিশুর হৃদয়বিদারক দৃশ্য ধরা পড়েছে ভিডিয়ো ফুটেজে। যা আল জাজিরার সানাদ ভেরিফিকেশন ইউনিট দ্বারা যাচাই করা হয়েছে। ওই ভিডিয়োতে দেখা গেছে, শিশুগুলি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সম্ভবত ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য নতুন পোশাক পরেছিল তারা।
আরও পড়ুন: আল-আকসায় লক্ষাধিক ফিলিস্তিনির ঈদের নামাজ আদায়
উৎসবের বদলে অনেকেই ছুটেছেন কবরস্থানে। নিহত স্বজনদের কবরে ফুল দিতে গিয়েও নিস্তার মেলেনি। পশ্চিম তীরের জেনিনে ঈদ (Eid ul-Fitr) উপলক্ষে কবর জিয়ারত করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে শ্বাসকষ্টে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। গাজার মসজিদগুলোতেও ছিল শোকের ছায়া। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন ফিলিস্তিনিরা। নামাজের সময়ও শোনা গেছে ইসরায়েলি আগ্রাসনের আওয়াজ। এক ভিডিয়োতে দেখা যায়, নামাজ চলাকালে গুলির শধে কেঁপে উঠছে এলাকা। ঈদের ঠিক আগে শনিবারও গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি হামলায় এক শিশুসহ ১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ইসরাইল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে তীব্র বিমান হামলা শুরু করে। এর পর থেকে অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৯২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই হামলাগুলো গাজার বিভিন্ন অংশে চালানো হচ্ছে। যেখানে আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।