০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ল্যান্টার্নস রেস্তরাঁয় হিজাব বিতর্ক নিয়ে বাহরাইনে কোণঠাসা কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, সোমবার
  • / 102

পুবের কলম ডিজিটাল: ম্যানেজারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না ভারতীয় মালিকানাহীন বাহরাইনের প্রসিদ্ধ রেস্তরাঁ ল্যানর্টানস। হিজাব পরিহিতাদের প্রবেশ নিষেধ ফতোয়া দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে এই ভারতীয় রেস্তরাঁ তাও আবার ৭০ শতাংশ মুসলিম নাগরিকদের দেশ বাহরাইনের প্রসিদ্ধ শহর আদনিয়ায়। কিংডল অব বাহরাইনের টু্রিজম রিভাবা ল্যান্টার্নস রেস্তরাঁ বন্ধ করে তদন্ত শুরু করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ম্যানেজারকে। বাহরাইনের চারটি শহর বুদাইয়া, আমওয়াজ, আদলিয়া এবং রিফাতে মাথা রয়েছে এই ভারতীয় রেস্তরাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা প্রার্থনা করার পরও ল্যানটার্নসের বিরুদ্ধে ক্ষোভের ঝাঁঝ পাওয়া যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাহরাইনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাজে এখন মারিয়াম নাজ যেন কর্নাটকের মুসকান।

 

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

হিজাব নিয়ে মুসকানের আল্লাহ্ আকবর দাবি ও ভিডিয়ো ঘুরছে মারিয়াম নাজের টু্ইটারের সঙ্গে। মারিয়াম নাজ প্রথম বাহরাইনের এই রেস্তরাঁর হিজাব বিদ্বেষ বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। তারপর ঝড়ের মতো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেইসঙ্গে চলতে থাকে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের মুণ্ডপাত। বহু ভারতীয়রাও এই রেস্তরাঁর ভূমিকার নিন্দা করেন। এতবড় একটা সিদ্ধান্ত একজন ম্যানেজার নিতে পারেন এবং আরবের হিজাব পরিহিতা কাস্টমারকে রেস্তরাঁর প্রবেশে বাধা দিতে পারেন এটা বিশ্বাস করছে না অনেকেই। সেইসঙ্গে বাহরাইনে থাকা ১০ শতাংশ ভারতীয়রাও পড়েছে যথেষ্ট বিড়ম্বনায়।

আরও পড়ুন: কর্নাটকের নার্সিং কলেজে কাশ্মীরি ছাত্রীদের হিজাব নিষেধাজ্ঞা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ছাত্র সংগঠনের

 

আরও পড়ুন: ১০৫টি ‘দেবী’ বৈদ্যুতিক বাসের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর, সরকারি প্রকল্পে গেরুয়া রঙের ছোয়ায় বির্তক

মারিয়ম নাজের বান্ধবীকে রেস্তরাঁয় ঢুকতে দেওয়া হয়নি সেই বিষয়টি তিনি টু্ইট করেছেন আরবি ভাষায় আর মুহূর্তের মধ্যেই সেটি ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য আরব দেশেও। কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক এত তাড়াতাড়ি আরব দেশে ঝড় তুলবে, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ ও সমালোচনায় অনেকেই ভীত রয়েছে বলে জানাচ্ছে মিডিয়া। ভারতীয় মালিকানাধীন এই রেস্তরাঁর ম্যানেজারকে প্রথমে ব্রিটিশ বলা হলেও অশোক সোয়াইন নামে তাঁর টু্ইটারে লিখেছেন ম্যানেজার একজন হিন্দু। তিনি লিখেছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের ধৃষ্টতার একটা সীমা থাকা দরকার। বাহরাইন সরকার রেস্তরাঁ বন্ধ করে দিল। ৩৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে বাহরাইনে ব্যবসা করা রেস্তোরাঁর ভারতীয় মালিকের আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করার পরও সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হিজাব নিয়ে।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ল্যান্টার্নস রেস্তরাঁয় হিজাব বিতর্ক নিয়ে বাহরাইনে কোণঠাসা কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ডিজিটাল: ম্যানেজারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না ভারতীয় মালিকানাহীন বাহরাইনের প্রসিদ্ধ রেস্তরাঁ ল্যানর্টানস। হিজাব পরিহিতাদের প্রবেশ নিষেধ ফতোয়া দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে এই ভারতীয় রেস্তরাঁ তাও আবার ৭০ শতাংশ মুসলিম নাগরিকদের দেশ বাহরাইনের প্রসিদ্ধ শহর আদনিয়ায়। কিংডল অব বাহরাইনের টু্রিজম রিভাবা ল্যান্টার্নস রেস্তরাঁ বন্ধ করে তদন্ত শুরু করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ম্যানেজারকে। বাহরাইনের চারটি শহর বুদাইয়া, আমওয়াজ, আদলিয়া এবং রিফাতে মাথা রয়েছে এই ভারতীয় রেস্তরাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা প্রার্থনা করার পরও ল্যানটার্নসের বিরুদ্ধে ক্ষোভের ঝাঁঝ পাওয়া যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাহরাইনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাজে এখন মারিয়াম নাজ যেন কর্নাটকের মুসকান।

 

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

হিজাব নিয়ে মুসকানের আল্লাহ্ আকবর দাবি ও ভিডিয়ো ঘুরছে মারিয়াম নাজের টু্ইটারের সঙ্গে। মারিয়াম নাজ প্রথম বাহরাইনের এই রেস্তরাঁর হিজাব বিদ্বেষ বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। তারপর ঝড়ের মতো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেইসঙ্গে চলতে থাকে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের মুণ্ডপাত। বহু ভারতীয়রাও এই রেস্তরাঁর ভূমিকার নিন্দা করেন। এতবড় একটা সিদ্ধান্ত একজন ম্যানেজার নিতে পারেন এবং আরবের হিজাব পরিহিতা কাস্টমারকে রেস্তরাঁর প্রবেশে বাধা দিতে পারেন এটা বিশ্বাস করছে না অনেকেই। সেইসঙ্গে বাহরাইনে থাকা ১০ শতাংশ ভারতীয়রাও পড়েছে যথেষ্ট বিড়ম্বনায়।

আরও পড়ুন: কর্নাটকের নার্সিং কলেজে কাশ্মীরি ছাত্রীদের হিজাব নিষেধাজ্ঞা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ছাত্র সংগঠনের

 

আরও পড়ুন: ১০৫টি ‘দেবী’ বৈদ্যুতিক বাসের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর, সরকারি প্রকল্পে গেরুয়া রঙের ছোয়ায় বির্তক

মারিয়ম নাজের বান্ধবীকে রেস্তরাঁয় ঢুকতে দেওয়া হয়নি সেই বিষয়টি তিনি টু্ইট করেছেন আরবি ভাষায় আর মুহূর্তের মধ্যেই সেটি ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য আরব দেশেও। কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক এত তাড়াতাড়ি আরব দেশে ঝড় তুলবে, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ ও সমালোচনায় অনেকেই ভীত রয়েছে বলে জানাচ্ছে মিডিয়া। ভারতীয় মালিকানাধীন এই রেস্তরাঁর ম্যানেজারকে প্রথমে ব্রিটিশ বলা হলেও অশোক সোয়াইন নামে তাঁর টু্ইটারে লিখেছেন ম্যানেজার একজন হিন্দু। তিনি লিখেছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের ধৃষ্টতার একটা সীমা থাকা দরকার। বাহরাইন সরকার রেস্তরাঁ বন্ধ করে দিল। ৩৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে বাহরাইনে ব্যবসা করা রেস্তোরাঁর ভারতীয় মালিকের আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করার পরও সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হিজাব নিয়ে।