০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক শিরিনকে হত্যা করেছে ইসরাইলি স্নাইপার

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৮ মে ২০২২, শনিবার
  • / 36

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃআল-জাজিরার  বর্ষীয়ান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে পরিকল্পিতভাবে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক স্নাইপার। ফিলিস্তিনের একটি তদন্ত রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে ফিলিস্তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল আকরাম আল-খতিব বলেন, সাংবাদিক শিরিনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় গুলি করেছে দখলদার বাহিনী। তবে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এটি একটি ‘স্পষ্ট মিথ্যা’ দিয়ে তৈরি তদন্ত প্রতিবেদন। আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিন। মামলা করার কাজে যুক্ত ফিলিস্তিনি আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁরা আদালতে শিরিনকে হত্যার অভিযোগ আনবেন। এদিকে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিরিনকে গুলি করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ইসরাইলি সেনাদের এই কাজ ‘যুদ্ধাপরাধ’। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শেষ হওয়ার কথা জানানো হয়। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক তদন্তের ফলাফল উপস্থাপনকারী ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল আকরাম আল-খতিব বলেছেন, সব প্রমাণিত তথ্য,উপাত্তে হত্যার অপরাধের উপাদান রয়েছে। জাতীয় আইন অনুসারে, ইসরাইল যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শিরিন ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট পরে ছিলেন। ওই সময় তাঁর মাথায় হেলমেটও ছিল। তাঁর হেলমেটের ঠিক নিচেই বুলেটের আঘাত লাগে। ফিলিস্তিনের তদন্তে বলা হয়, শিরিন একটি রুগার মিনি-১৪ রাইফেল থেকে ছোড়া ৫ দশমিক ৫৬ মিলিমিটার আর্মার পিয়ার্সিং বুলেটের আঘাতে নিহত হন। আরও বলা হয়, কাছাকাছি একটি গাছে বুলেটের ছিদ্র পাওয়া গেছে। আকরাম আল-খতিব বলেন, ‘অস্ত্রের ধরন ও দূরত্বটা প্রমাণ। এটাও সত্যি যে ইসরাইলি সেনাদের দৃষ্টিসীমায় কোনও বাধা ছিল না এবং শিরিন একটি প্রেস লেখা জ্যাকেট পরেছিলেন। এসব তথ্য আমাদের এ উপসংহারে পৌঁছে দেয় যে, শিরিনকে হত্যার লক্ষ্যেই গুলি চালানো হয়েছিল।’ শিরিনকে হত্যার ঠিক আগে ধারণ করা একটি ভিডিয়ো চিত্রে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সময় আশপাশের অবস্থা ছিল তুলনামূলক শান্ত ও নীরব। অথচ ইসরাইলি বাহিনীর দাবি ছিল, ওই সময় গোলাগুলি চলছিল। এ দাবি ঘটনার ভিডিয়ো চিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত। সাংবাদিক শিরিন আবু হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচারের জন্য বৃহস্পতিবার আইসিসিতে যাওয়ার ঘোষণা করে আল,জাজিরা। ফিলিস্তিন সরকারও একই কথা বলে। আইসিসিতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলা হবে।

 

আরও পড়ুন: সাংবাদিক শিরীন হত্যা: গুলিটি আমেরিকাকে দেবে ফিলিস্তিন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সাংবাদিক শিরিনকে হত্যা করেছে ইসরাইলি স্নাইপার

আপডেট : ২৮ মে ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃআল-জাজিরার  বর্ষীয়ান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে পরিকল্পিতভাবে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক স্নাইপার। ফিলিস্তিনের একটি তদন্ত রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে ফিলিস্তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল আকরাম আল-খতিব বলেন, সাংবাদিক শিরিনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় গুলি করেছে দখলদার বাহিনী। তবে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এটি একটি ‘স্পষ্ট মিথ্যা’ দিয়ে তৈরি তদন্ত প্রতিবেদন। আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিন। মামলা করার কাজে যুক্ত ফিলিস্তিনি আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁরা আদালতে শিরিনকে হত্যার অভিযোগ আনবেন। এদিকে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিরিনকে গুলি করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ইসরাইলি সেনাদের এই কাজ ‘যুদ্ধাপরাধ’। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শেষ হওয়ার কথা জানানো হয়। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক তদন্তের ফলাফল উপস্থাপনকারী ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল আকরাম আল-খতিব বলেছেন, সব প্রমাণিত তথ্য,উপাত্তে হত্যার অপরাধের উপাদান রয়েছে। জাতীয় আইন অনুসারে, ইসরাইল যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শিরিন ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট পরে ছিলেন। ওই সময় তাঁর মাথায় হেলমেটও ছিল। তাঁর হেলমেটের ঠিক নিচেই বুলেটের আঘাত লাগে। ফিলিস্তিনের তদন্তে বলা হয়, শিরিন একটি রুগার মিনি-১৪ রাইফেল থেকে ছোড়া ৫ দশমিক ৫৬ মিলিমিটার আর্মার পিয়ার্সিং বুলেটের আঘাতে নিহত হন। আরও বলা হয়, কাছাকাছি একটি গাছে বুলেটের ছিদ্র পাওয়া গেছে। আকরাম আল-খতিব বলেন, ‘অস্ত্রের ধরন ও দূরত্বটা প্রমাণ। এটাও সত্যি যে ইসরাইলি সেনাদের দৃষ্টিসীমায় কোনও বাধা ছিল না এবং শিরিন একটি প্রেস লেখা জ্যাকেট পরেছিলেন। এসব তথ্য আমাদের এ উপসংহারে পৌঁছে দেয় যে, শিরিনকে হত্যার লক্ষ্যেই গুলি চালানো হয়েছিল।’ শিরিনকে হত্যার ঠিক আগে ধারণ করা একটি ভিডিয়ো চিত্রে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সময় আশপাশের অবস্থা ছিল তুলনামূলক শান্ত ও নীরব। অথচ ইসরাইলি বাহিনীর দাবি ছিল, ওই সময় গোলাগুলি চলছিল। এ দাবি ঘটনার ভিডিয়ো চিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত। সাংবাদিক শিরিন আবু হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচারের জন্য বৃহস্পতিবার আইসিসিতে যাওয়ার ঘোষণা করে আল,জাজিরা। ফিলিস্তিন সরকারও একই কথা বলে। আইসিসিতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলা হবে।

 

আরও পড়ুন: সাংবাদিক শিরীন হত্যা: গুলিটি আমেরিকাকে দেবে ফিলিস্তিন