১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্যটক টানতে কোটি টাকা ব্যয়ে সেজে উঠছে কৈখালি

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বুধবার
  • / 24

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়:  কুলতলি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে কুলতলির কৈখালি জেটিঘাট সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে জোর কদমে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবহেলিত হচ্ছিল সুন্দরবনের কুলতলির কৈখালি পর্যটন কেন্দ্র। কুলতলির বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল ও কুলতলির বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী উদ্যোগী হয়েছেন এই পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য।

কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের অধীন এই কৈখালি। সুন্দরবনের কুলতলির প্রাণকেন্দ্র জামতলা থেকে ১৪ কিমি দূরে এই পর্যটনকেন্দ্রটি। মূলত– জেলা পরিষদ– কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতি– বিধায়ক তহবিলের বরাদ্দ অর্থেই এই কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অনেকটা কাজ হয়ে গিয়েছে। জানা গেছে– নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভরা মরশুমে পর্যটকদের ভিড়  বেশি হয় এই জায়গায়।

আরও পড়ুন: দীঘার সমুদ্রে মিলল প্রায় কোটি টাকার ২২টি তেলিয়া ভোলা

যদিও আমফান ও ইয়াস সহ একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে  কৈখালি জেটিঘাট ভেঙে দফারফা হয়ে গিয়েছিল। নিমপীঠ রামকৃষ্ণ মিশনের লজ ছাড়া পর্যটকদের জন্য আর কোনও থাকার জায়গা নেই। ছিল না নদীর পাড়ে উপযুক্ত বসার জায়গা– আলোর ব্যবস্থা। এছাড়াও– জেটিঘাটটি ভগ্ন থাকায় অনেক পর্যটক লঞ্চ বা বোটে উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোটও পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: শ্রীনগরে পর্যটন টানতে চালু হল ‘হট এয়ার বেলুন’

ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর– জেটিঘাট পুরোটাই কংক্রিটের তৈরি হবে। কমিউনিটি শৌচালয় নির্মাণ করে খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। জেটি ঘাট ও লজের কাছে দু’টি হাইমাস্ট আলো বসানো হবে। পানীয়জলের কলের ব্যবস্থা যেমন থাকবে তেমন নদীর পাড়ে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এছাড়াও– পর্যটকদের রাতে থাকার জন্য কিছু ছোট কটেজ করারও পরিকল্পনাও আছে।

আরও পড়ুন: দিঘা মোহনায় ধরা পড়ল প্রায় কোটি টাকার ১২১টি তেলিয়া ভোলা

এ বিষয়ে কুলতলির বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল জানান– ‘মাতলা নদীর ধারে প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে। সারা বছর বহু মানুষ  এখানে বেড়াতে আসেন। কৈখালি থেকে লঞ্চ বা বোটে চেপে পর্যটকরা একদিকে যেমন সুন্দরবনের ঝড়খালি– বনি ক্যাম্প– কলসক্যাম্পে যান– তেমনই সজনেখালি– দোবাঁকি– সুধন্যখালিতেও যায়। প্রধানত পর্যটকদের কথা ভেবেই এই জেটিঘাট সারানোর সংস্কার করা হচ্ছে।’

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পর্যটক টানতে কোটি টাকা ব্যয়ে সেজে উঠছে কৈখালি

আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বুধবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়:  কুলতলি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে কুলতলির কৈখালি জেটিঘাট সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে জোর কদমে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবহেলিত হচ্ছিল সুন্দরবনের কুলতলির কৈখালি পর্যটন কেন্দ্র। কুলতলির বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল ও কুলতলির বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী উদ্যোগী হয়েছেন এই পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য।

কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের অধীন এই কৈখালি। সুন্দরবনের কুলতলির প্রাণকেন্দ্র জামতলা থেকে ১৪ কিমি দূরে এই পর্যটনকেন্দ্রটি। মূলত– জেলা পরিষদ– কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতি– বিধায়ক তহবিলের বরাদ্দ অর্থেই এই কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অনেকটা কাজ হয়ে গিয়েছে। জানা গেছে– নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভরা মরশুমে পর্যটকদের ভিড়  বেশি হয় এই জায়গায়।

আরও পড়ুন: দীঘার সমুদ্রে মিলল প্রায় কোটি টাকার ২২টি তেলিয়া ভোলা

যদিও আমফান ও ইয়াস সহ একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে  কৈখালি জেটিঘাট ভেঙে দফারফা হয়ে গিয়েছিল। নিমপীঠ রামকৃষ্ণ মিশনের লজ ছাড়া পর্যটকদের জন্য আর কোনও থাকার জায়গা নেই। ছিল না নদীর পাড়ে উপযুক্ত বসার জায়গা– আলোর ব্যবস্থা। এছাড়াও– জেটিঘাটটি ভগ্ন থাকায় অনেক পর্যটক লঞ্চ বা বোটে উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোটও পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: শ্রীনগরে পর্যটন টানতে চালু হল ‘হট এয়ার বেলুন’

ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর– জেটিঘাট পুরোটাই কংক্রিটের তৈরি হবে। কমিউনিটি শৌচালয় নির্মাণ করে খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। জেটি ঘাট ও লজের কাছে দু’টি হাইমাস্ট আলো বসানো হবে। পানীয়জলের কলের ব্যবস্থা যেমন থাকবে তেমন নদীর পাড়ে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এছাড়াও– পর্যটকদের রাতে থাকার জন্য কিছু ছোট কটেজ করারও পরিকল্পনাও আছে।

আরও পড়ুন: দিঘা মোহনায় ধরা পড়ল প্রায় কোটি টাকার ১২১টি তেলিয়া ভোলা

এ বিষয়ে কুলতলির বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল জানান– ‘মাতলা নদীর ধারে প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে। সারা বছর বহু মানুষ  এখানে বেড়াতে আসেন। কৈখালি থেকে লঞ্চ বা বোটে চেপে পর্যটকরা একদিকে যেমন সুন্দরবনের ঝড়খালি– বনি ক্যাম্প– কলসক্যাম্পে যান– তেমনই সজনেখালি– দোবাঁকি– সুধন্যখালিতেও যায়। প্রধানত পর্যটকদের কথা ভেবেই এই জেটিঘাট সারানোর সংস্কার করা হচ্ছে।’