০৯ জুন ২০২৫, সোমবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেলা পুলিশের উদ্যোগে বর্ধমানে হস্তশিল্পীদের বিপননীর শুভারম্ভ

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, সোমবার
  • / 18

 

এস জে আব্বাস, শক্তিগড়: পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে হস্ত শিল্পের সম্ভার এবার এক ছাদের তলায়। মূলতঃ জেলার হস্ত শিল্পের প্রসার ও শিল্পীদের আর্থিকভাবে আরো সাবলম্বী করাই এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীস সেন। বর্ধমান শহরের শ্রীপল্লীর কাছে জিটি রোডের ধারে আধুনিক মানের এই শোরুম তৈরী করে দিয়েছে জেলা পুলিশ। স্টোরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাটির টান।’ জানা গেছে, পুলিশ কনজিউমার্স কো-অপারেটিভ স্টোরের অধীনে থাকা এই শোরুমে থাকবে পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল, আউশগ্রামের দরিয়াপুরের ডোকরার মূর্তি, মঙ্গলকোটের বনকাপাশির শোলা শিল্পের নানা কাজের সম্ভার। এছাড়াও থাকবে জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও অন্যান্য শিল্পীদের সামগ্রী।

আরও পড়ুন: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হস্তশিল্পের বাজার ধরতে ১২ মউ রাজ্যের

জেলা পুলিশের উদ্যোগে বর্ধমানে হস্তশিল্পীদের বিপননীর শুভারম্ভ

আরও পড়ুন: শস্যগোলায়  মুখ্যমন্ত্রী, নেত্রীর কাট আউটে সেজেছে শহর বর্ধমান

 

আরও পড়ুন: হস্তশিল্পের প্রসার ও বিপণনের উদ্যোগ মগরাহাট ২ ব্লকের

প্রায় দুশো স্কোয়ার ফুটের এই হস্তশিল্পের এক্সক্লুসিভ শোরুমটিকে একেবারে আধুনিকভাবে সাজিয়েও তোলা হয়েছে। বিভিন্ন দেওয়ালে লাগানো হয়েছে স্পট লাইট, বসানো হয়েছে এসি মেশিন। সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে পুলিশ কর্মীরাই থাকছেন এই দোকানের দায়িত্বে। উল্লেখ্য, হস্ত শিল্পের সামগ্রী দিয়ে ঘর সাজাতে এখন আর কোনো মেলা বা উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে না, সারা বছরের যে কোন সময় ‘মাটির টান’ এক্সক্লুসিভ শোরুমে এসব সামগ্রী পাওয়া যাবে।পুলিশ সুপার বলেন,’ এই জেলায় আসার পরেই বিভিন্ন মেলায় দেখেছি, আমাদের জেলায় এত অসাধারণ হাতের কাজ করছেন শিল্পীরা অথচ তাদের নিজস্ব কোনো বিক্রয়ের জায়গা নেই। এখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা তাদের কাজ করা সামগ্রী পাঠাবেন। তারা যে দাম নির্ধারণ করে দেবেন সেই দামেই আমাদের পুলিশ কর্মীরাই সেগুলি বিক্রি করে তাঁদের হাতে টাকা তুলে দেবেন। এমনকি,কেউ কোনো অর্ডার দিলে সেটাও সংশ্লিষ্ট শিল্পীর কাছে পৌঁছে দেব আমরা। এক টাকাও পুলিশ নেবে না। আমরা চাই জেলার শিল্পীদের জিনিস আরও বেশী করে মানুষ কিনুন।’ জেলা পুলিশের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জেলা পুলিশের উদ্যোগে বর্ধমানে হস্তশিল্পীদের বিপননীর শুভারম্ভ

আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, সোমবার

 

এস জে আব্বাস, শক্তিগড়: পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে হস্ত শিল্পের সম্ভার এবার এক ছাদের তলায়। মূলতঃ জেলার হস্ত শিল্পের প্রসার ও শিল্পীদের আর্থিকভাবে আরো সাবলম্বী করাই এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীস সেন। বর্ধমান শহরের শ্রীপল্লীর কাছে জিটি রোডের ধারে আধুনিক মানের এই শোরুম তৈরী করে দিয়েছে জেলা পুলিশ। স্টোরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাটির টান।’ জানা গেছে, পুলিশ কনজিউমার্স কো-অপারেটিভ স্টোরের অধীনে থাকা এই শোরুমে থাকবে পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল, আউশগ্রামের দরিয়াপুরের ডোকরার মূর্তি, মঙ্গলকোটের বনকাপাশির শোলা শিল্পের নানা কাজের সম্ভার। এছাড়াও থাকবে জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও অন্যান্য শিল্পীদের সামগ্রী।

আরও পড়ুন: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হস্তশিল্পের বাজার ধরতে ১২ মউ রাজ্যের

জেলা পুলিশের উদ্যোগে বর্ধমানে হস্তশিল্পীদের বিপননীর শুভারম্ভ

আরও পড়ুন: শস্যগোলায়  মুখ্যমন্ত্রী, নেত্রীর কাট আউটে সেজেছে শহর বর্ধমান

 

আরও পড়ুন: হস্তশিল্পের প্রসার ও বিপণনের উদ্যোগ মগরাহাট ২ ব্লকের

প্রায় দুশো স্কোয়ার ফুটের এই হস্তশিল্পের এক্সক্লুসিভ শোরুমটিকে একেবারে আধুনিকভাবে সাজিয়েও তোলা হয়েছে। বিভিন্ন দেওয়ালে লাগানো হয়েছে স্পট লাইট, বসানো হয়েছে এসি মেশিন। সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে পুলিশ কর্মীরাই থাকছেন এই দোকানের দায়িত্বে। উল্লেখ্য, হস্ত শিল্পের সামগ্রী দিয়ে ঘর সাজাতে এখন আর কোনো মেলা বা উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে না, সারা বছরের যে কোন সময় ‘মাটির টান’ এক্সক্লুসিভ শোরুমে এসব সামগ্রী পাওয়া যাবে।পুলিশ সুপার বলেন,’ এই জেলায় আসার পরেই বিভিন্ন মেলায় দেখেছি, আমাদের জেলায় এত অসাধারণ হাতের কাজ করছেন শিল্পীরা অথচ তাদের নিজস্ব কোনো বিক্রয়ের জায়গা নেই। এখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা তাদের কাজ করা সামগ্রী পাঠাবেন। তারা যে দাম নির্ধারণ করে দেবেন সেই দামেই আমাদের পুলিশ কর্মীরাই সেগুলি বিক্রি করে তাঁদের হাতে টাকা তুলে দেবেন। এমনকি,কেউ কোনো অর্ডার দিলে সেটাও সংশ্লিষ্ট শিল্পীর কাছে পৌঁছে দেব আমরা। এক টাকাও পুলিশ নেবে না। আমরা চাই জেলার শিল্পীদের জিনিস আরও বেশী করে মানুষ কিনুন।’ জেলা পুলিশের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল।