০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুয়ারে সরকারে উপকৃত ৩ কোটির বেশি মানুষ, ট্যুইটে উচ্ছ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার
  • / 57

৬ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৩ কোটির বেশি মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসেছেন। আমি অত্যন্ত খুশি। এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মী-আধিকারিককে শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ জানাই বাংলার মানুষ মানুষকেও।

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দুয়ারে সরকার’রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বলা চলে, ইতিমধ্যে এই প্রকল্প কার্যত ‘সুপার হিট’। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে দুয়ারে সরকারে এসে উপকার পেয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর করবেন নাইবা কেন? এই প্রকল্প তো তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত।

আরও পড়ুন: এক কোটির মাইলফলক ছুঁল ‘স্বাস্থ্য সাথী’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দুয়ারে সরকার শিবিরের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শুক্রবার সকালেই ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন,  ১৬ আগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটির বেশি মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন। আর এই বিপুল কর্মকাণ্ডের সাফল্যের জন্য রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইটে ‘দুয়ারে সরকার’শিবিরের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ১৬ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৩ কোটির বেশি মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসেছেন। আমি অত্যন্ত খুশি। এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মী-আধিকারিককে শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ জানাই বাংলার মানুষকেও। কারণ তাঁরা পরিষেবা নিতে ক্যাম্পে এসেছেন।’ 

চলতি বছর বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুয়ারে সরকারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী,  জাতিগত শংসাপত্র প্রদান, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী,  ঐক্যশ্রী,  শিক্ষাশ্রীস ১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গ্রামীণ ও পুরসভা এলাকায় শিবির করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকল্প চালু হওয়ার কয়েক দিন যেতে না যেতেই তা ব্যাপক সাফল্য পেতে শুরু করে।

বিশেষজ্ঞ মহলের ব্যাখ্যা, দুয়ারে সরকার প্রকল্প এতটাই সফল যে, বিরোধী দলগুলিও তা উপেক্ষা করতে পারেনি। বেশ কিছু জায়গায় সিপিএমকেও দুয়ারে সরকার শিবিরে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। তাদের বক্তব্য,  সরকারের ভালো কাজে তারা পাশে রয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে ঠিকমতো সরকারি পরিষেবা পেতে পারে,  সেজন্য ফর্ম পূরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে তারা এই ক্যাম্পে অংশ নিয়েছে।

সম্প্রতি দুয়ারে সরকার শিবির থেকে সাহায্য পাওয়া এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি জাতিগত শংসাপত্র বের করতে পারছিলেন না। অনেক চেষ্টা করেছিলেন। প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেছিলেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আসার পর তাঁর প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এখান থেকে অনেক সহজেই তিনি কাজ হাসিল করতে পেরেছেন।    

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দুয়ারে সরকারে উপকৃত ৩ কোটির বেশি মানুষ, ট্যুইটে উচ্ছ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার

৬ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৩ কোটির বেশি মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসেছেন। আমি অত্যন্ত খুশি। এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মী-আধিকারিককে শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ জানাই বাংলার মানুষ মানুষকেও।

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দুয়ারে সরকার’রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বলা চলে, ইতিমধ্যে এই প্রকল্প কার্যত ‘সুপার হিট’। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে দুয়ারে সরকারে এসে উপকার পেয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর করবেন নাইবা কেন? এই প্রকল্প তো তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত।

আরও পড়ুন: এক কোটির মাইলফলক ছুঁল ‘স্বাস্থ্য সাথী’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দুয়ারে সরকার শিবিরের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শুক্রবার সকালেই ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন,  ১৬ আগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটির বেশি মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন। আর এই বিপুল কর্মকাণ্ডের সাফল্যের জন্য রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইটে ‘দুয়ারে সরকার’শিবিরের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ১৬ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৩ কোটির বেশি মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসেছেন। আমি অত্যন্ত খুশি। এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মী-আধিকারিককে শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ জানাই বাংলার মানুষকেও। কারণ তাঁরা পরিষেবা নিতে ক্যাম্পে এসেছেন।’ 

চলতি বছর বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুয়ারে সরকারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী,  জাতিগত শংসাপত্র প্রদান, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী,  ঐক্যশ্রী,  শিক্ষাশ্রীস ১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গ্রামীণ ও পুরসভা এলাকায় শিবির করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকল্প চালু হওয়ার কয়েক দিন যেতে না যেতেই তা ব্যাপক সাফল্য পেতে শুরু করে।

বিশেষজ্ঞ মহলের ব্যাখ্যা, দুয়ারে সরকার প্রকল্প এতটাই সফল যে, বিরোধী দলগুলিও তা উপেক্ষা করতে পারেনি। বেশ কিছু জায়গায় সিপিএমকেও দুয়ারে সরকার শিবিরে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। তাদের বক্তব্য,  সরকারের ভালো কাজে তারা পাশে রয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে ঠিকমতো সরকারি পরিষেবা পেতে পারে,  সেজন্য ফর্ম পূরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে তারা এই ক্যাম্পে অংশ নিয়েছে।

সম্প্রতি দুয়ারে সরকার শিবির থেকে সাহায্য পাওয়া এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি জাতিগত শংসাপত্র বের করতে পারছিলেন না। অনেক চেষ্টা করেছিলেন। প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেছিলেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আসার পর তাঁর প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এখান থেকে অনেক সহজেই তিনি কাজ হাসিল করতে পেরেছেন।