২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে কি বিচারপতি চন্দ্রচূড়!

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার
  • / 90

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। নভেম্বর মাসেই এই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন তিনি। এবার তাকেই নাকি নতুন দায়িত্ব দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে তাতে ঘোর আপত্তি লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের। গত জুন মাস থেকে স্থায়ী চেয়ারম্যান নেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে। জল্পনা, এবার সেই পদেই বসতে চলেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এই পদে আগেও বহু প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বসেছেন। তবে ইদানীং বিচারপতির পদে থেকে যেভাবে রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষা করা হচ্ছে শাসকদলের, তারই পুরস্কার স্বরূপ এসব পদ তারা পাচ্ছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। মানুষের ভরসার স্থল আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বাবরি মসজিদ মামলার রায়দানকারী বিচারপতিদের মধ্যে রঞ্জন গগৈ ও সৈয়দ আবদুল নাজির অবসর নেওয়ার পরে রাজ্যসভার সাংসদ ও রাজ্যপাল হয়েছেন। এভাবে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

Read More: ‘নামের বানান ভুল, সম্মানহানির চেষ্টা’!  খারিজ ধনকড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের শূন্যপদ পূরণে সম্প্রতি নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হয়েছে। চার সদস্যের এই নিয়োগ কমিটির শীর্ষে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গেই রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে চন্দ্রচূড়ের নামে সবুজ সংকেত দেননি তারা। কড়া আপত্তি জানান দু’জনে। পরে তারা চিঠি লিখে এর বিস্তারিত কারণ দর্শাবেন বলে জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন চন্দ্রচূড়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কয়েক মাস আগে চন্দ্রচূড়ের বাড়ির গণেশ পুজোয় প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাবরি মামলার বেঞ্চেও তিনি ছিলেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিচারপতি চন্দ্রচূড় কি অবসরের পর পুরস্কার পেতে চলেছেন!

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে কি বিচারপতি চন্দ্রচূড়!

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। নভেম্বর মাসেই এই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন তিনি। এবার তাকেই নাকি নতুন দায়িত্ব দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে তাতে ঘোর আপত্তি লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের। গত জুন মাস থেকে স্থায়ী চেয়ারম্যান নেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে। জল্পনা, এবার সেই পদেই বসতে চলেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এই পদে আগেও বহু প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বসেছেন। তবে ইদানীং বিচারপতির পদে থেকে যেভাবে রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষা করা হচ্ছে শাসকদলের, তারই পুরস্কার স্বরূপ এসব পদ তারা পাচ্ছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। মানুষের ভরসার স্থল আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বাবরি মসজিদ মামলার রায়দানকারী বিচারপতিদের মধ্যে রঞ্জন গগৈ ও সৈয়দ আবদুল নাজির অবসর নেওয়ার পরে রাজ্যসভার সাংসদ ও রাজ্যপাল হয়েছেন। এভাবে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

Read More: ‘নামের বানান ভুল, সম্মানহানির চেষ্টা’!  খারিজ ধনকড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের শূন্যপদ পূরণে সম্প্রতি নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হয়েছে। চার সদস্যের এই নিয়োগ কমিটির শীর্ষে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গেই রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে চন্দ্রচূড়ের নামে সবুজ সংকেত দেননি তারা। কড়া আপত্তি জানান দু’জনে। পরে তারা চিঠি লিখে এর বিস্তারিত কারণ দর্শাবেন বলে জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন চন্দ্রচূড়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কয়েক মাস আগে চন্দ্রচূড়ের বাড়ির গণেশ পুজোয় প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাবরি মামলার বেঞ্চেও তিনি ছিলেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিচারপতি চন্দ্রচূড় কি অবসরের পর পুরস্কার পেতে চলেছেন!