০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোলাপুরের পুলিশ কমিশনার মুসলিম ছাত্রদের জন্য ইফতার পার্টির আয়োজন করলেন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ মে ২০২২, রবিবার
  • / 27

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ হাই প্রোফাইল এবং গ্ল্যামারাস ইফতার পার্টিগুলি বেশিরভাগই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা বলিউড তারকাদের অংশগ্রহণে হয়ে থাকে। এই ঘটনা ভারতে খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। তবে সোলাপুরে হওয়া একটি ইফতার পার্টির নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এটি শুধুমাত্র একটি উর্দু স্কুলের প্রাথমিকের ছাত্রদের জন্য আয়োজিত হয়েছিল, যারা পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখেছে।

বুধবার সোলাপুর শহরের পুলিশ কমিশনার হরিশ বৈজাল, আইপিএস মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার ১০০ টিরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষকদের জন্য একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলেন। আসলে মি. হরিশ বৈজাল শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তার বাড়িতে তৈরি করা পাখির জগত দেখাতে।

আরও পড়ুন: ঈদ-উল আজহায় ১০ দিন ছুটির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে

বাচ্চাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে তাদের বেশিরভাগই রোজা রেখেছে কারণ এটি পবিত্র রমজান মাস। বাচ্চাদের এই ধর্মীয় রীতিতে তিনি খুব মুগ্ধ হয়েছিলেন, সেদিনই তিনি তাদের জন্য একটি ইফতার পার্টির ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি পরের দিন একটি সুসংগঠিত ইফতারের আয়োজন করেছিলেন। যার পরে কমিশনারের ভেন্যুতে বাচ্চাদের দিয়ে আযান দেওয়া এবং নামায পড়ার ব্যবস্থা করেন।

আরও পড়ুন: যুদ্ধের মধ্যেই ঈদ জামাতে ইউক্রেনের মুসলিমরা

এই ইফতার মজলিশে হরিশ বৈজল বলেন, “প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও ন্যায়বিচার হল প্রকৃত দেশপ্রেম।”
হরিশ বলেন, আমি একজন পাখি প্রেমী, বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১00টি পাখি আমার কাছে আছে, তাই আমি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাখির সঙ্গ উপভোগ করতে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যের কাছাকাছি নিয়ে জন্য যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাই। তিনি বলেন, ইংরেজি মাধ্যম, মারাঠি মাধ্যম এবং সরকারি স্কুলের বাচ্চারা আমার পাখির অভয়ারণ্য পরিদর্শন করেছে। কিন্তু উর্দু স্কুলগুলো দর্শকের তালিকায় ছিল না। সোশ্যাল উর্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসিফ ইকবাল একই উদ্দেশ্যে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আমরা তার স্টাফ এবং ছাত্রদের স্বাগত জানাই আমার পাখিরালয়ে। আমি শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি এবং এটি সমাজের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের একটি কার্যকর উপায়।
সোলাপুর নগর পুলিশ কমিশনারের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসিফ ইকবাল ও মুসলিম ছাত্ররা।

আরও পড়ুন: গ্র্যান্ড ক্যামলিকা মসজিদ পরিদর্শনে ২.৫ কোটি মানুষ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সোলাপুরের পুলিশ কমিশনার মুসলিম ছাত্রদের জন্য ইফতার পার্টির আয়োজন করলেন

আপডেট : ১ মে ২০২২, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ হাই প্রোফাইল এবং গ্ল্যামারাস ইফতার পার্টিগুলি বেশিরভাগই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা বলিউড তারকাদের অংশগ্রহণে হয়ে থাকে। এই ঘটনা ভারতে খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। তবে সোলাপুরে হওয়া একটি ইফতার পার্টির নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এটি শুধুমাত্র একটি উর্দু স্কুলের প্রাথমিকের ছাত্রদের জন্য আয়োজিত হয়েছিল, যারা পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখেছে।

বুধবার সোলাপুর শহরের পুলিশ কমিশনার হরিশ বৈজাল, আইপিএস মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার ১০০ টিরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষকদের জন্য একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলেন। আসলে মি. হরিশ বৈজাল শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তার বাড়িতে তৈরি করা পাখির জগত দেখাতে।

আরও পড়ুন: ঈদ-উল আজহায় ১০ দিন ছুটির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে

বাচ্চাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে তাদের বেশিরভাগই রোজা রেখেছে কারণ এটি পবিত্র রমজান মাস। বাচ্চাদের এই ধর্মীয় রীতিতে তিনি খুব মুগ্ধ হয়েছিলেন, সেদিনই তিনি তাদের জন্য একটি ইফতার পার্টির ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি পরের দিন একটি সুসংগঠিত ইফতারের আয়োজন করেছিলেন। যার পরে কমিশনারের ভেন্যুতে বাচ্চাদের দিয়ে আযান দেওয়া এবং নামায পড়ার ব্যবস্থা করেন।

আরও পড়ুন: যুদ্ধের মধ্যেই ঈদ জামাতে ইউক্রেনের মুসলিমরা

এই ইফতার মজলিশে হরিশ বৈজল বলেন, “প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও ন্যায়বিচার হল প্রকৃত দেশপ্রেম।”
হরিশ বলেন, আমি একজন পাখি প্রেমী, বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১00টি পাখি আমার কাছে আছে, তাই আমি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাখির সঙ্গ উপভোগ করতে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যের কাছাকাছি নিয়ে জন্য যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাই। তিনি বলেন, ইংরেজি মাধ্যম, মারাঠি মাধ্যম এবং সরকারি স্কুলের বাচ্চারা আমার পাখির অভয়ারণ্য পরিদর্শন করেছে। কিন্তু উর্দু স্কুলগুলো দর্শকের তালিকায় ছিল না। সোশ্যাল উর্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসিফ ইকবাল একই উদ্দেশ্যে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আমরা তার স্টাফ এবং ছাত্রদের স্বাগত জানাই আমার পাখিরালয়ে। আমি শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি এবং এটি সমাজের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের একটি কার্যকর উপায়।
সোলাপুর নগর পুলিশ কমিশনারের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসিফ ইকবাল ও মুসলিম ছাত্ররা।

আরও পড়ুন: গ্র্যান্ড ক্যামলিকা মসজিদ পরিদর্শনে ২.৫ কোটি মানুষ