২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের মসজিদে আটকে রয়েছেন ৩০ তুর্কি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 78

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনের মারিওপোল দখলে আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনীয় সেনারাও শহর রক্ষায় লড়ছে প্রাণপণ। এদিকে বেশ কয়েক ধাপে বেসামরিক মানুষ শহর ছাড়লেও এখনও শহরে রয়ে গেছে বহু মানুষ। প্রায় ৩০ জন তুর্কি শহর থেকে পালাতে না পেরে একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন।

মারিওপোলের সুলতান সুলেমান মসজিদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ইসমাইল হ্যাসিওগ্লু জানিয়েছেন গত দুই দিনে প্রায় ৫০ জন তুর্কি নাগরিক শহর থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই মসজিদটিতে আশ্রয় চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭৮

বুধবার মসজিদ থেকে ছেড়ে গেছে ৮টি গাড়ি। চারটি গাড়িতে তুর্কি নাগরিক ছিল ও অন্য ৪টি গাড়িতে অন্য দেশের মুসলিমরা ছিল। প্রত্যেক গাড়িতে ৭ থেকে ৮ জন লোক ছিল। তাদেরকে আপাতত মধ্য ইউক্রেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হ্যাসিওগ্লু বলেন, তুরস্ক দূতাবাস সব ব্যবস্থা করছে। যদিও কয়েক জায়গায় রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগও এনেছেন হাসিওগ্লু।

আরও পড়ুন: Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

মারিওপোল শহর ঘিরে তীব্র লড়াই  চলছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে মসজিদটিতেও গোলার আঘাত লেগেছে। ফলে সেই সময় শহরটিতে থাকা তুর্কি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। যদিও পরে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু জানান মসজিদটি অক্ষত আছে।

আরও পড়ুন: Trump-Putin Alaska Summit: যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে পুতিনের কঠিন পরিণতি হবে: ট্রাম্প

শুধু মসজিদেই তুর্কিদের অবস্থান নয়। পুরো মারিওপোল শহরে এখনও প্রায় শতাধিক তুর্কি রয়েছেন। যাদের মধ্যে আছে ৩৪টি শিশু। যদিও শহরটি থেকে ঠিক কতজন তুর্কি বেরিয়ে যেতে পেরেছেন তা এখনও জানা যায়নি। শহরের পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্ল্যাকআউটে থাকায় অনেকেই মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। শহরটিতে এখন কোনও বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ নেই। চারিদিকে কেবল রুশ গোলার বিস্ফোরণের শব্দ।

মনে  করা হচ্ছে, এখনও প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ শহরে আটকে আছেন। শুধু এই সপ্তাহতেই ৬ হাজার ৫০০টি ব্যক্তিগত গাড়িতে প্রায় ৩০ হাজার সাধারণ মানুষ শহর ছাড়ে। শহর কর্তৃপক্ষ বলছেশহরের পরিকাঠামোর প্রায় ৪০ শতাংশ এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউক্রেনের মসজিদে আটকে রয়েছেন ৩০ তুর্কি

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনের মারিওপোল দখলে আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনীয় সেনারাও শহর রক্ষায় লড়ছে প্রাণপণ। এদিকে বেশ কয়েক ধাপে বেসামরিক মানুষ শহর ছাড়লেও এখনও শহরে রয়ে গেছে বহু মানুষ। প্রায় ৩০ জন তুর্কি শহর থেকে পালাতে না পেরে একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন।

মারিওপোলের সুলতান সুলেমান মসজিদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ইসমাইল হ্যাসিওগ্লু জানিয়েছেন গত দুই দিনে প্রায় ৫০ জন তুর্কি নাগরিক শহর থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই মসজিদটিতে আশ্রয় চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭৮

বুধবার মসজিদ থেকে ছেড়ে গেছে ৮টি গাড়ি। চারটি গাড়িতে তুর্কি নাগরিক ছিল ও অন্য ৪টি গাড়িতে অন্য দেশের মুসলিমরা ছিল। প্রত্যেক গাড়িতে ৭ থেকে ৮ জন লোক ছিল। তাদেরকে আপাতত মধ্য ইউক্রেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হ্যাসিওগ্লু বলেন, তুরস্ক দূতাবাস সব ব্যবস্থা করছে। যদিও কয়েক জায়গায় রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগও এনেছেন হাসিওগ্লু।

আরও পড়ুন: Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

মারিওপোল শহর ঘিরে তীব্র লড়াই  চলছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে মসজিদটিতেও গোলার আঘাত লেগেছে। ফলে সেই সময় শহরটিতে থাকা তুর্কি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। যদিও পরে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু জানান মসজিদটি অক্ষত আছে।

আরও পড়ুন: Trump-Putin Alaska Summit: যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে পুতিনের কঠিন পরিণতি হবে: ট্রাম্প

শুধু মসজিদেই তুর্কিদের অবস্থান নয়। পুরো মারিওপোল শহরে এখনও প্রায় শতাধিক তুর্কি রয়েছেন। যাদের মধ্যে আছে ৩৪টি শিশু। যদিও শহরটি থেকে ঠিক কতজন তুর্কি বেরিয়ে যেতে পেরেছেন তা এখনও জানা যায়নি। শহরের পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্ল্যাকআউটে থাকায় অনেকেই মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। শহরটিতে এখন কোনও বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ নেই। চারিদিকে কেবল রুশ গোলার বিস্ফোরণের শব্দ।

মনে  করা হচ্ছে, এখনও প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ শহরে আটকে আছেন। শুধু এই সপ্তাহতেই ৬ হাজার ৫০০টি ব্যক্তিগত গাড়িতে প্রায় ৩০ হাজার সাধারণ মানুষ শহর ছাড়ে। শহর কর্তৃপক্ষ বলছেশহরের পরিকাঠামোর প্রায় ৪০ শতাংশ এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।