০৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে পুতিন-জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে রাজি ট্রাম্প, শান্তির উদ্যোগে জোর দিলেন এরদোগান

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ৪ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 40

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক আলোচনার পথ ফের উন্মুক্ত হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। এই বৈঠক তুরস্কে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, পরিস্থিতি এমন হলে তিনি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে তিনি চান উভয় পক্ষই আলোচনার টেবিলে আসুক।’

এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এক মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা হল পুতিন ও জেলেনস্কিকে একসঙ্গে আঙ্কারা বা ইস্তাম্বুলে আনা। আমি এমনকী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও এতে অংশ নিতে দেখতে চাই।’

এরদোগান আরও জানান, সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের দ্বিতীয় দফা আলোচনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তাঁর ভাষায়, ‘বন্দি বিনিময়ের সংখ্যা এবার হাজার ছাড়িয়েছে। এমনকী বন্দি বিনিময়ের বাইরেও কিছু মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে, যা সংখ্যায় অনেক। আমরা সত্যিই গর্বিত।’ তিনি বলেন, এই আলোচনার ধারাবাহিকতায় যদি নেতারা তুরস্কে আসেন, তবে তিনি নিজেও আলোচনায় অংশ নেবেন যেন ইস্তাম্বুলকে ‘শান্তির কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলা যায়।

উল্লেখ্য, তুরস্ক গত কয়েক বছর ধরেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরদোগানের নতুন প্রস্তাব বিশ্ব কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে পারে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক ইঙ্গিত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তুরস্কে পুতিন-জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে রাজি ট্রাম্প, শান্তির উদ্যোগে জোর দিলেন এরদোগান

আপডেট : ৪ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক আলোচনার পথ ফের উন্মুক্ত হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। এই বৈঠক তুরস্কে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, পরিস্থিতি এমন হলে তিনি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে তিনি চান উভয় পক্ষই আলোচনার টেবিলে আসুক।’

এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এক মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা হল পুতিন ও জেলেনস্কিকে একসঙ্গে আঙ্কারা বা ইস্তাম্বুলে আনা। আমি এমনকী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও এতে অংশ নিতে দেখতে চাই।’

এরদোগান আরও জানান, সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের দ্বিতীয় দফা আলোচনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তাঁর ভাষায়, ‘বন্দি বিনিময়ের সংখ্যা এবার হাজার ছাড়িয়েছে। এমনকী বন্দি বিনিময়ের বাইরেও কিছু মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে, যা সংখ্যায় অনেক। আমরা সত্যিই গর্বিত।’ তিনি বলেন, এই আলোচনার ধারাবাহিকতায় যদি নেতারা তুরস্কে আসেন, তবে তিনি নিজেও আলোচনায় অংশ নেবেন যেন ইস্তাম্বুলকে ‘শান্তির কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলা যায়।

উল্লেখ্য, তুরস্ক গত কয়েক বছর ধরেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরদোগানের নতুন প্রস্তাব বিশ্ব কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে পারে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক ইঙ্গিত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।