২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুনিশা অভিনয়ের জন্য হিজাব পরেছিল, মন্তব্য শীজানের বোনের

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 20

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে ‘লাভ জিহাদ’ আর এখন জোর করে হিজাব পরানো ও দরগায় (মাজারে) নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে মৃতা অভিনেত্রী তুনিশার প্রাক্তন প্রেমিক শীজান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য তুনিশার আত্মহননের ঘটনাকে ‘লাভ জিহাদ’ এর জের বলে প্রচার শুরু করেছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল। যদিও পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার সঙ্গে কোনো ধরণের লাভ জিহাদের সম্পর্ক নেই। এবার তুনিশার মায়ের অভিযোগের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমন্মেলনে মুখ খুললেন শীজানের বোন ও মা।

গত সপ্তাহে মৃতা অভিনেত্রীর মা ভানিতা শর্মা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তুনিশাকে ধর্মান্তরণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এছাড়াও তিনি বলেন, তুনিশা একদিন শীজানের হোয়াটসঅ্যাপ খুলে দেখেন শীজানের অন্য এটি মেয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক আছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে শীজান অভিনেত্রীকে চড় মারেন। এই অভিযোগের জবাবে শীজানের মা প্রশ্ন তুলেছেন, শীজান যদি সত্যিই তুনিশাকে আঘাত করে থাকে, তাহলে তুনিশার মা তখন কেন প্রতিবাদ করেননি? তিনি পাল্টা কেন শীজানকে চড় মারতে পরেননি? তাছাড়া তুনিশার মা শীজানদের বাড়িতে আসতেন। তাহলে তখন কেন তিনি শীজানের মা কে এই ঘটনার কথা জানান নি?

আরও পড়ুন: ‘আলি-বাবা’-র সেটে ফরেন্সিক দল

ধর্মন্তরণের চাপের অভিযোগের জবাবে শীজানের বোন অভিনেত্রী ফালাক নাজ বলেছেন, তুনিশার সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও, ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের মতই ছিল। আমার সঙ্গে তুনিশার গভীর সম্পর্ক ছিল। তুনিশা ও তুনিশার মা আমাদের বাড়িতে প্রায়শই আসতেন। আমরা কখনও আমাদের কোনো সংস্কৃতি জোর করে ওদের উপর চাপিয়ে দিইনি। তাছাড়া সে অধিকারও আমাদের নেই। আমরা কেন এমন কাজ করতে যাব? আমরাও চাই তুনিশা সুবিচার পাক। কিন্তু এমন মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়াটা অন্যায়।

তিনি আরও বলেন, ৪ জানুয়ারি তুনিশার জন্মদিনে ওকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য আমরা প্ল্যান করেছিলাম। তুনিশার মা ও জানতেন যে তুনিশা আমার ছোটো বোনের মত। আমরা ৬ মাস একসঙ্গে ছিলাম। ও আমাদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করত। এর জন্য আমরা গর্বিত।

তুনিশার হিজাব পরা একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেটি দেখিয়ে শীজানের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে একটি শুটিং এর জন্য তুনিশা ওই হিজাব পরেছিল। তাঁর উপর কোনোভাবেই ইসলামকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি।

উল্লেখ্য, আলিবাবার শুটিং এর সেটে গলায় ক্রেপ ব্যানডেজ জড়িয়ে অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা আত্মহত্যা করার পর থেকে একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারা ‘লাভ জিহাদ’ এর তত্ত্ব তুলে ধরেন। তারা অভিনেত্রীর আত্মহত্যায় রাজনীতির রং লাগিয়ে ফায়দা তোলার সবরকম চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তুনিশা অভিনয়ের জন্য হিজাব পরেছিল, মন্তব্য শীজানের বোনের

আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে ‘লাভ জিহাদ’ আর এখন জোর করে হিজাব পরানো ও দরগায় (মাজারে) নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে মৃতা অভিনেত্রী তুনিশার প্রাক্তন প্রেমিক শীজান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য তুনিশার আত্মহননের ঘটনাকে ‘লাভ জিহাদ’ এর জের বলে প্রচার শুরু করেছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল। যদিও পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার সঙ্গে কোনো ধরণের লাভ জিহাদের সম্পর্ক নেই। এবার তুনিশার মায়ের অভিযোগের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমন্মেলনে মুখ খুললেন শীজানের বোন ও মা।

গত সপ্তাহে মৃতা অভিনেত্রীর মা ভানিতা শর্মা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তুনিশাকে ধর্মান্তরণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এছাড়াও তিনি বলেন, তুনিশা একদিন শীজানের হোয়াটসঅ্যাপ খুলে দেখেন শীজানের অন্য এটি মেয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক আছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে শীজান অভিনেত্রীকে চড় মারেন। এই অভিযোগের জবাবে শীজানের মা প্রশ্ন তুলেছেন, শীজান যদি সত্যিই তুনিশাকে আঘাত করে থাকে, তাহলে তুনিশার মা তখন কেন প্রতিবাদ করেননি? তিনি পাল্টা কেন শীজানকে চড় মারতে পরেননি? তাছাড়া তুনিশার মা শীজানদের বাড়িতে আসতেন। তাহলে তখন কেন তিনি শীজানের মা কে এই ঘটনার কথা জানান নি?

আরও পড়ুন: ‘আলি-বাবা’-র সেটে ফরেন্সিক দল

ধর্মন্তরণের চাপের অভিযোগের জবাবে শীজানের বোন অভিনেত্রী ফালাক নাজ বলেছেন, তুনিশার সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও, ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের মতই ছিল। আমার সঙ্গে তুনিশার গভীর সম্পর্ক ছিল। তুনিশা ও তুনিশার মা আমাদের বাড়িতে প্রায়শই আসতেন। আমরা কখনও আমাদের কোনো সংস্কৃতি জোর করে ওদের উপর চাপিয়ে দিইনি। তাছাড়া সে অধিকারও আমাদের নেই। আমরা কেন এমন কাজ করতে যাব? আমরাও চাই তুনিশা সুবিচার পাক। কিন্তু এমন মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়াটা অন্যায়।

তিনি আরও বলেন, ৪ জানুয়ারি তুনিশার জন্মদিনে ওকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য আমরা প্ল্যান করেছিলাম। তুনিশার মা ও জানতেন যে তুনিশা আমার ছোটো বোনের মত। আমরা ৬ মাস একসঙ্গে ছিলাম। ও আমাদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করত। এর জন্য আমরা গর্বিত।

তুনিশার হিজাব পরা একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেটি দেখিয়ে শীজানের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে একটি শুটিং এর জন্য তুনিশা ওই হিজাব পরেছিল। তাঁর উপর কোনোভাবেই ইসলামকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি।

উল্লেখ্য, আলিবাবার শুটিং এর সেটে গলায় ক্রেপ ব্যানডেজ জড়িয়ে অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা আত্মহত্যা করার পর থেকে একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারা ‘লাভ জিহাদ’ এর তত্ত্ব তুলে ধরেন। তারা অভিনেত্রীর আত্মহত্যায় রাজনীতির রং লাগিয়ে ফায়দা তোলার সবরকম চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।