০৯ জুন ২০২৫, সোমবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালভার ক্যানসার: বৃদ্ধার নতুন জীবন দেবেন মাহাতো মেডিক্যালে

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ৮ জুন ২০২৫, রবিবার
  • / 29

পুবের কলম প্রতিবেদক, পুরুলিয়াঃ দেশে প্রতি দেড় হাজার মহিলার মধ্যে এক-দু’জন ভালভার ক্যানসারে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা। পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সেই বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত ৬২ বছরের বৃদ্ধার সফল অস্ত্রোপচার করলেন চিকিৎসকরা। যা এই হাসপাতালের ইতিহাসে প্রথম।

আনাড়ার বাসিন্দা পার্বতী দেবীর গোপনাঙ্গে ক্রমশ একটি সিস্ট বড় হতে থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে বায়োপসি হয়। রিপোর্টে ধরা পড়ে ক্যানসার। স্থানীয় চিকিৎসকরা বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও পরিবারের আর্থিক অসহায়তার কারণে তারা পুরুলিয়ার সরকারি মেডিক্যালে আসেন।

ক্যানসার বিভাগের চিকিৎসক অলোকদূত সরকারের তত্ত্বাবধানে ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বসে। অস্ত্রোপচারে গোপনাঙ্গের বাইরের অংশ ও পাশের লসিকা গ্রন্থি বাদ দেওয়া হয়। প্রস্রাবের পথ আলাদা করে তৈরি করা হয়। এই সফল অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেন গাইনো বিভাগের প্রধান তারাশংকর বাগ, শিবশংকর মুর্মু, সুসার হাঁসদা, সার্জেন সব্যসাচী মণ্ডল ও স্বল্পক্ষত বিশেষজ্ঞ পবন মণ্ডল। অ্যানেস্থিসিয়ায় ছিলেন কৌশিক মাঝি ও নবনীত কুমার।

চিকিৎসক পবন মণ্ডল বলেন, ‘এটা ছিল বিরল ও জটিল অস্ত্রোপচার। সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আমরা গর্বিত।’ মেডিক্যাল সুপার সুকমল বিষয়ী বলেন, ‘স্বল্প পরিকাঠামোতেও চিকিৎসকরা নজির গড়েছেন।’

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভালভার ক্যানসার: বৃদ্ধার নতুন জীবন দেবেন মাহাতো মেডিক্যালে

আপডেট : ৮ জুন ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, পুরুলিয়াঃ দেশে প্রতি দেড় হাজার মহিলার মধ্যে এক-দু’জন ভালভার ক্যানসারে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা। পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সেই বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত ৬২ বছরের বৃদ্ধার সফল অস্ত্রোপচার করলেন চিকিৎসকরা। যা এই হাসপাতালের ইতিহাসে প্রথম।

আনাড়ার বাসিন্দা পার্বতী দেবীর গোপনাঙ্গে ক্রমশ একটি সিস্ট বড় হতে থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে বায়োপসি হয়। রিপোর্টে ধরা পড়ে ক্যানসার। স্থানীয় চিকিৎসকরা বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও পরিবারের আর্থিক অসহায়তার কারণে তারা পুরুলিয়ার সরকারি মেডিক্যালে আসেন।

ক্যানসার বিভাগের চিকিৎসক অলোকদূত সরকারের তত্ত্বাবধানে ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বসে। অস্ত্রোপচারে গোপনাঙ্গের বাইরের অংশ ও পাশের লসিকা গ্রন্থি বাদ দেওয়া হয়। প্রস্রাবের পথ আলাদা করে তৈরি করা হয়। এই সফল অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেন গাইনো বিভাগের প্রধান তারাশংকর বাগ, শিবশংকর মুর্মু, সুসার হাঁসদা, সার্জেন সব্যসাচী মণ্ডল ও স্বল্পক্ষত বিশেষজ্ঞ পবন মণ্ডল। অ্যানেস্থিসিয়ায় ছিলেন কৌশিক মাঝি ও নবনীত কুমার।

চিকিৎসক পবন মণ্ডল বলেন, ‘এটা ছিল বিরল ও জটিল অস্ত্রোপচার। সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আমরা গর্বিত।’ মেডিক্যাল সুপার সুকমল বিষয়ী বলেন, ‘স্বল্প পরিকাঠামোতেও চিকিৎসকরা নজির গড়েছেন।’